চালের বস্তায় লিখতে হবে ধানের নাম
কৃষি বিভাগ
চালের ব্র্যান্ড নাম যাই হোক, বস্তায় ধানের জাতের নাম লেখার বাধ্যবাধকতা রেখে একটি নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান খাদ্যসচিব মোছাম্মৎ নাজমানার খানম।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি গবেষণা করেছি, সেখানে আমরা পেয়েছি ধান কেটে যে চালই উৎপাদন করা হচ্ছে, তার নাম দেয়া হচ্ছে মিনিকেট। এ কারণে আমরা একটি ছাঁটাই নীতিমালা করছি।’
খাদ্যসচিব আরও বলেন ‘সাধারণভাবে ধানের সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ ছাঁটাই করা যায়, কিন্তু দেখা যাচ্ছে ৩০ ভাগ পর্যন্ত ছাঁটাই করে মিনিকেট নাম দিয়ে চাল বাজারে ছাড়া হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি না থাকলেও পুষ্টিঝুঁকি আছে। এ কারণে আমরা চেষ্টা করছি চালের ব্র্যান্ড নাম যা-ই হোক, বস্তার গায়ে অবশ্যই ধানের নাম লিখতে হবে।’
এর আগে গত ২১ নভেম্বর পুষ্টিগুণ নষ্ট করে বিভিন্ন অটোরাইস মিলে চাল কেটে বাজারজাত এবং বিক্রি বন্ধ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে চাল কেটে বা ছেঁটে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে বাজারজাত বা বিক্রি করা বন্ধে গাইডলাইন তৈরির কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চান আদালত।
জনস্বার্থে করা মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের এক রিটের শুনানি নিয়ে এসব আদেশ দেয় বিচারক মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারক মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ।
রিটে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, খাদ্যসচিব, কৃষি এবং বাণিজ্যসচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, র্যাবের প্রধান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের পরিচালক, বিএসটিআই, রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ৭ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং অটোরাইস মিলস মালিক সমিতির সভাপতি বা সেক্রেটারিকে বিবাদী করা হয়।
এ নিয়ে এর আগে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করা হয়।