ছাগল পালনে অনার্স পড়ুয়া ছাত্রের বছরে ৩৫ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন
প্রাণিসম্পদ
অনিক আহমেদ: নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার চৌমুহনী গ্রামের তরুণ মো. মাসুম বিল্লাহ। বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছেন। অনেক আগে থেকেই ছাগল পালনের প্রতি তার ব্যাপক আগ্রহ ছিল। তারই প্রেক্ষিতে বছরখানেক আগে গড়ে তুলেছেন ছাগলের খামার।
ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে দুয়েকটি ছাগল পালন করতেন তিনি। মূলত এসএসসি পাশের পর থেকেই বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেন। মাত্র ২৫ টি ছাগল নিয়ে যাত্রা শুরুর ১৫ মাস পর এখন তার খামারে সব মিলিয়ে ছাগলের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। এর মাঝে বেশকিছু ছাগল বিক্রিও করেছেন তিনি।
প্রধানত দেশী জাতের ছাগল নিয়েই খামার শুরু করেছেন উদ্যােক্তা মাসুম। কারণ হিসেবে এগ্রিভিউ`কে তিনি জানান, ‘মানুষের দেশী জাতের ছাগলের প্রতি সবসময়ই চাহিদা বেশী থাকে। ফলে বিক্রিতে সমস্যা হয় না। আর এরা আবহাওয়ার সাথে সহজে মানিয়ে নিতে পারে এবং রোগবালাই কম হয়।’
খামারের শুরুতে ছাগলগুলো নিকটস্থ হাট থেকে ক্রয় করেন। তবে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় খামার শুরুর সাতদিনের মধ্যে প্রায় ৭/৮ টি ছাগল পিপিআর রোগে মারা যায়। পরবর্তীতে সঠিক সময়ে টিকাদানের কারণে আর কোনো ছাগল মারা যায়নি।
ছাগল পালনের কারণ হিসেবে এ তরুণ উদ্যোক্তা আরও জানান, ‘স্বল্প পুঁজিতে ছাগল পালন করা যায়। রোগ-বালাই কম হয় এবং তাদের খাবারও কম লাগে। আমি মনে করি, ছাগল পালনে লাভ বেশি। তাই ছাগল পালন করছি।’
ছাগলের পাশাপাশি তিনি বেশ বড় পরিসরে হাঁসের খামার শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত ছাগল ক্রয়, বাসস্থান নির্মাণ, হাঁস ক্রয় এবং অন্যান্য সবকিছু মিলিয়ে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। প্রতি মাসে হাঁস ও ছাগল পালন বাবদ মাসে দেড় লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। এক্ষেত্রে তার পরিবার সাপোর্ট করে যাচ্ছে।
বর্তমানে তার খামারে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা সমমূল্যের হাঁস ও ছাগল রয়েছে। অনার্স পড়ুয়া এই তরুণ ১০০ মা ছাগল পালন করতে চান। সেখান থেকে বছরে প্রায় ৪০০ বাচ্চা উৎপাদনের আশা তার। প্রতিটি বাচ্চা ৮/১০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে চান। ফলে বছর শেষে খামার থেকে ৩৫-৪০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।