তাড়ুয়া সৈকতে অবৈধ খুঁটিজাল, কমছে অতিথি পাখি
প্রাণ ও প্রকৃতি
ভোলার তাড়ুয়ার সৈকতে প্রভাবশালীদের অবৈধ খুঁটিজালের ভয়ে কমছে অতিথি পাখি। জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে পাখি ও বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ। পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে সৈকতের সৌন্দর্য। এছাড়া সৈকতে ঘুরতে গিয়ে খুঁটি জালের কারণে চলাচলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ও পর্যটকরা।
বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষে জেগে ওঠা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি তাড়ুয়া সৈকত। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র এটি।
এই সৈকতে একসঙ্গে দেখা মিলবে চকচকে সাদাবালি, ঝাঁকঝাঁক লাল কাঁকড়া, ম্যানগ্রভ বন আর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি কেওড়া গাছ। শীত মৌসুমে সৈকতে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির কোলাহল, উড়ে বেড়ানো আর ডুব সাঁতারের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন শতশত ভ্রমণপিপাসু তাড়ুয়া সৈকতে ছুটে যান।
কিন্তু, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অসাধু কিছু জেলে তাড়ুয়ার সৈকতসহ আশেপাশের চরগুলোতে মাইলের পর মাইল এলাকা জুড়ে খুঁটি জাল দিয়েছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান ছালাম হাওলাদারের ছত্রছায়ায় কিছু জেলে এসব অবৈধ জাল দিয়ে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে
তবে, জেলেরা বলছে খুঁটি জাল বৈধ। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি জানে।
এদিকে খুঁটি জালের সাফাই গাইলেন ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছালাম হাওলাদার। তিনি বলেন, রাতে পাখিরা তো অন্ধকারে দেখতে পায়না তাই এ জালে রাতের অন্ধকারে ২/১ টা পাখি আটকা পড়লেও তেমন কোন ক্ষতি হয় না। আর ছোট মাছ তো এখানে আটকায় না।
অবৈধ জাল ফেলে কেউ প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান ভোলার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এম এম কায়চার। তিনি বলেন, কোনভাবেই যেন পাখি ধরা ও মারা না হয়। এ ধরনের ফাঁদ যারা পাতবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তাড়ুয়া সৈকতে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এখনি উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় ও পর্যটকরা।