দিশেহারা তিস্তাপাড়ের চাষিরা,ফসলি জমি এখন শুধু বালুচর
কৃষি বিভাগ
নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ফসলি জমি এখন পরিণত হয়েছে বালুচরে। অথচ আর ক’দিন বাদেই সোনালী ধান, আগাম ভুট্টা আর সবজি ঘরে তোলার কথা ছিল কৃষকের।
আকস্মিক বন্যায় তিস্তাগর্ভে বিলীন হয়েছে সব ধরনের ফসলি জমি। সর্বস্ব হারিয়ে এখন দিশেহারা তিস্তাপাড়ের মানুষ। তিন ফসলি জমির কোথাও এক ফুট, কোথাও দেড় ফুট বালুর স্তর। অথচ ক’দিন আগেও এখানে ছিল ধান, আগাম জাতের ভুট্টা আর শীতকালীন শাক-সবজি। ঘরে তোলার বদলে সেসব ফসল এখন তিস্তাগর্ভে বিলীন।
সম্প্রতি উজানের ঢলে ভেঙ্গে যায় তিস্তা নদীর ফ্লাডবাইপাস। নদীগর্ভে বিলীন হয় ১০টি বাঁধের ১১শ’ মিটার। বানের পানির সাথে ধেয়ে আসে বালু। উর্বর ফসলি জমি পরিণত হয়েছে বালুচরে। ভবিষ্যতে এসব জমিতে আবারও ফসল আবাদ নিয়ে শঙ্কায় নীলফামারীর ডিমলা আর জলঢাকার কৃষক।
কৃষকের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা না গেলেও তার পরিমাণ কয়েকশ কোটি টাকা।বর্তমানে তারা মানবেতর জীবন পার করছেন ।এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠার জন্য তার সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতা ও প্রনোয়দনা চান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। হঠাৎ বন্যায় দুই উপজেলার ১ হাজার ৭০৫ হেক্টর জমির ফসল বিলীন হয়েছে।