নদী ও খাল ভরাট হওয়ায় কৃষিতে সেচ বিঘ্নিত
কৃষি বিভাগ
অবৈধ দখল ও ভরাটের কারণে, নাব্যতা হারিয়ে পানিশূণ্য হয়ে পড়েছে নেত্রকোনার বেশিরভাগ নদী ও খাল। পানির অভাবে জমিতে সেচ দিতে পারছেনা কৃষকরা। ফলে অনাবাদি পড়ে থাকছে নদী তীরে অনেক ফসলি জমি। এ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব নদী খননের দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
শিগগিরই ভরাট হয়ে যাওয়া নদীগুলোতে খনন কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
নেত্রকোনায় মগড়া, সোমেশ্বরীসহ ছোট-বড় ৫৭টি নদ-নদী রয়েছে। কিন্তু দিন দিন দখল আর দূষণে, ভরাট হয়ে গেছে জেলার বেশিরভাগ নদী। আশেপাশের ফসলি জমিগুলোতে পানি সেচ দেয়ার উপায়ও নেই এখন। ফলে অনাবাদি হয়ে পড়েছে নদী তীরোবর্তী অনেক ফসলী জমি। সেচযন্ত্র বসিয়ে ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। নদীর পুরনো রূপ ফিরিয়ে আনতে দ্রুত খনন কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন কৃষক ও স্থানীয়রা।
স্থানীয় গবেষকরাও বলছেন কৃষি, প্রাণ বৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষায় নদী খননে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। এদিকে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ধাপে ধাপে খনন কাজ বাস্তবায়ন ও দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে বলে জানান, নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহনলাল সৈকত।
সরকার দ্রুত নদী খনন করে পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ নেবে, এমনটাই প্রত্যাশা নেত্রকোনাবাসীর।