পাকুন্দিয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি
কৃষি বিভাগ
পাকুন্দিয়া উপজেলায় কাল বৈশাখী ঝড়ে বোরোধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির পরিমান কম হলেও বাতাসের পরিমান ছিল তীব্র। প্রায় ১ ঘণ্টা স্থায়ী ছিল এ ঝড়। গরম বাতাসের পরিমান বেশী হওয়ায় বেশীর ভাগ ধান ক্ষেতের ফুল পড়ে যায়। উপজেলায় এ বছর চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমি ।
রবিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ ঝড় শুরু হয়।
ধানের ছড়া গুলো ইতোমধ্যে ফ্যাকাশে রং ধারণ করতে শুরু করেছে। কৃষকরা এবার আশঙ্কা করছেন যে চিটাধানের পরিমান বেশী হবে, আশানুরুপ ধান ঘরে তুলা সম্ভব হবে না। গ্রামের অনেক মানুষ এটাকে আল্লাহর গজব বলেও অভিহিত করছেন।
ঘাগড়া গ্রামের কৃষক মাহতাব উদ্দিন জানান-“করোনা মহামারির কারনে অর্থনৈতিকভাবে খুবই সম্যায় আছি। তারপরও ধার-দেনা করে জমিগুলোতে বোরো ধান আবাদ করেছি। এখন যদি সব ধান ধূরা (চিটা) হয়, তাহলে চলার মত আর কোন পথ আমার খোলা থাকবে না। না খেয়ে থাকতে হবে।”
কোদালিয়া গ্রামের কৃষক হাসিম মিয়া জানান ”সারা বছরে আমরা একটা ফসলের উপর নির্ভরশীল। আর সেটা হল বোরো। এই ফসলে যদি মাইর খাই, তাইলে আমি মইরা যামু।” উপজেলার চন্ডিপাশা,কোদালিয়া,ঘাগড়া,আজলদী ,সুখিয়া গ্রাম ঘুরে একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।