পাটের ভালো পলন হলেও পঁচাতে না পেরে হতাশ রংপুরের চাষিরা
কৃষি বিভাগ
বর্ষার মৌসুমে হচ্ছেনা বৃষ্টি। প্রচণ্ড রোদে শুকিয়ে গেছে খাল-বিল। গত কয়েক সপ্তাহের অনাবৃষ্টিতে পাট কেটে বিপাকে পড়েছেন রংপুর অঞ্চলের প্রায় ৭০ হাজার কৃষক। কৃষকরা বৃষ্টির অপেক্ষায় আছেন। বৃষ্টি আসলে খাল-বিল পানিতে ভরবে তারপর পাট পঁচাতে পারবেন। কিন্তু হতাশা যেন পিছু ছাড়ছেনা তাদের।
এবছর লালমনিরহাটে পাট চাষ হয়েছে ৪ হাজার ৮৫ হেক্টর, নীলফামারিতে ৬ হাজার ৭১০ হেক্টর, গাইবান্ধায় ১৫ হাজার হেক্টর, কুড়িগ্রামে ১৬ হাজার ৫৭৭ হেক্টর ও রংপুরে ৯ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা গ্রামের কৃষক নির্মল বর্মন জানান, এবছর ৭ বিঘা জমিতে পাটের চাষ করেছি। বৃষ্টি না হওয়ায় পাট পঁচাতে পারছি না। পাট কেটে জমিতে ফেলে রেখেছি। বৃষ্টি হলে খালে পানি জমলে তখন পঁচাতে পারবো। ‘রিবন রোটিং’ পদ্ধতিতে পাট পঁচানো যায়, কিন্তু এতে পাটকাঠি নষ্ট হয়ে যায়। যদি এ সপ্তাহে বৃষ্টি না হয় তাহলে ‘রিবন রোটিং’ পদ্ধতিতেই পাট পঁচাতে হবে।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, চলতি বছর রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারীতে প্রায় ৭০ হাজার কৃষক পাট চাষ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবছর পাট চাষের জমির পরিমান বেড়েছে।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা ড. আবু ফজল মোল্লা বলেন, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে চাষিরা পাট পঁচাতে পারছে না। আমরা তাদের ’রিবন রোটিং’ পদ্ধতিতে পাট পঁচানোর পরামর্শ দিচ্ছি।