ফরিদপুরে গাছ থেকে ফল না আসায় বিপাকে তরমুজ চাষীরা
কৃষি বিভাগ
মৌসুমী ফল তরমুজের চাষ করে বিপাকে পড়েছেন ফরিদপুরের চাষিরা। বীজ থেকে ভালো গাছ হলেও গাছে কোনো ফল ধরেনি। ফলে আবাদের পুরো অর্থই লোকসান তাদের। চাষিদের দাবি, খারাপ বীজ দেয়ার কারণেই এই অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
চাষীরা জানান, ডিলারের কাছ থেকে বীজ নেয়ার সময় কথা ছিল ৬০ দিনে ফলন আসবে। কিন্তু ৩ মাস পার হলেও গাছে কোনো ফল না আসায় এখন জমি থেকে গাছ তুলে ফেলছেন তারা।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চাষি মো. তুহিন বলেন, লাভের আশায় তিন একর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছিলাম। তরমুজ গাছ হলেও কোনো ফল আসেনি তার জমিতে। এখন দেনা শোধ করব কীভাবে সেই চিন্তায় আছি। একই এলাকার চাষি কামাল মোল্যা, শহীদ মোল্যা, মোশাররফ মোল্যাসহ অন্যান্য তরমুজ চাষিরও একই অবস্থা।
তারা জানান, প্রতি বিঘা তরমুজ চাষ করতে তাদের খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এই টাকা ধার করে তারা তরমুজ আবাদ করেছেন। কিন্তু এখন দেনা শোধ তো দূরে থাক, পরবর্তী ফসল আবাদের জন্য কোনো টাকাই তাদের হাতে নেই।
দত্ত বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী তাপস কুমার দত্ত জানান, কোম্পানি যেভাবে প্যাকেট করে পাঠিয়েছে আমরা সেভাবে বিক্রি করেছি। আমরা তো আর ভাল মন্দ জানি না। তবে ঘটনাটি তিনি কোম্পানিকে জানিয়েছেন বলে জানান।
ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হযরত আলী জানান, কৃষি বিভাগ খোঁজ খবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের কিভাবে সাহায্য করা যায় তা দেখবে।