মিষ্টি আলু চাষে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকের মুখে হাঁসি
কৃষি বিভাগ
ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় বছরের পর বছর বাড়িতে পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য পতিত জমিতে মিষ্টি আলু চাষাবাদ করা হলেও এবার বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে মিষ্টি আলু চাষ করায় কৃষি দপ্তরের পরামর্শ এবং সহযোগিতায় এই এলাকায় নতুন ফসল হিসেবে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। বারি-৮, বারি-১২, বারি-১৪ এবং বারি-১৬ জাতের মিষ্টি আলু চাষ করে ভালো ফলন এবং ভালো দাম পেয়ে খুশি এ এলাকার কৃষকরা।
মিষ্টি আলু বাংলাদেশের একটি অবহেলিত ফসল হলেও বেশ কয়েকটি দেশে এটি মানুষের প্রধান খাদ্য। মিষ্টি আলুর গাছ একটি লতানো বিরুৎ। বৈজ্ঞানিক নাম Ipomeoa batatas। এই লতানো উদ্ভিদ অতিরিক্ত ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। উষ্ণ আবহাওয়ায় মিষ্টিআলু অধিক ফলন দেয়।
জানা যায়, দোঁআশ ও বেলে দোআঁশ মাটি মিষ্টি আলু চাষের জন্য উপযুক্ত। মিষ্টিআলু দ্বিবীজপত্রী, তৃণজাতীয় ও বহুবর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ যা সাধারণত বর্ষজীবী হিসেবে চাষ করা। চাষের জন্য লতা কেটে লাগানো হয়। মিষ্টি আলু প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হয়, যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাকৃতিক চিনি কাজের শক্তি প্রদান করে অবসাদ, ক্লান্তি দূর করে থাকে।
কৃষকরা জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বাড়ির আনাচে-কানাচে ও পতিত জমিতে উন্নত জাতের মিষ্টি আলু চাষে কৃষকসহ কৃষাণিদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহে থেকে শুরু হয় মিষ্টি আলুর চারা বপন। ফালগুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে থেকে মিষ্টি আলু মাটির নিচে পরিপক্ক হয়। আর চৈত্র ও বৈশাখ মাস আলু তোলায় ব্যস্ততা থাকে চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ জানান, মিষ্টি আলু খেতে সুস্বাদু এবং উচ্চ পুষ্টিগুন সম্পন্ন। এবার এ ফসল এলাকায় ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমন খরচ নেই বললেই চলে। কম খরচে এবং অল্প পরিশ্রমে এ ফসল চাষে আর্থিকভাবে ভালো লাভবান হওয়া যায়।
আগামী মৌসুমে এ ফসল যেন এবারের চেয়ে বেশি চাষাবাদ হয় সেজন্য আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করবেন বলেও তিনি জানান।