মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে জাটকা নিধনের মহোৎসব
মৎস্য
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে চলছে অবাধে জাটকা নিধন। ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়া জাটকায় সয়লাব জেলার হাটবাজারগুলো। এরপরও প্রতিরোধে নেই প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ। আর এমন বেপরোয়া জাটকা নিধনের ফলে ইলিশের উৎপাদন ব্যাহত হবে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইলিশ সম্পদ রক্ষায় ১ নভেম্বর থেকে পরবর্তী ৮ মাস জাটকা ধরা, কেনাবেচা ও মজুত নিষিদ্ধ হলেও ভোলার চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে জাটকা শিকারে মেতেছেন জেলেরা।
এসব জাটকা আবার মজুত করা হচ্ছে নদীর পাড়ের মাছঘাটগুলোতে। হাঁকডাক দিয়ে প্রকাশ্যেই চলছে জাটকা বেচাকেনা। অসময়ে ধরা পড়া এসব জাটকা বিক্রি হচ্ছে নামমাত্র মূল্যে। প্রতি হালি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৮০ টাকায়। এরপরও প্রশাসনের নজরদারি শুধু কাগজে-কলমে থাকায় হতাশ সচেতন মানুষ। অন্যদিকে, জেলেদের দাবি, বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় বাধ্য হয়ে জাটকা ধরছেন তারা।
ভোলা সদর উপজেলার বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি সভাপতি মো. এরশাদ ফরাজি বলেন, জাটকা নিধন থেকে বিরত থাকতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে জেলে সমিতি। এরপরও ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে জাটকা রক্ষায় তৎপরতা আরও বাড়ানোর দাবি তাদের।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার কথা।
নিষেধাজ্ঞার প্রথম আড়াই মাসে ভোলায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ২৫৫টি অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন। এ সময় প্রায় ৭ মেট্রিক টন জাটকা ও ৯০ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়।