লকডাউনে হৃষ্টপুষ্ট সাফারি পার্কের পশু-পাখি
প্রাণ ও প্রকৃতি
করোনায় মানুষে চলমান কাজ থেমে গেলেও থেমে যাইনি পশু পাখির সতেজতা। কারণ পশু পাখির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ হলো নির্মল প্রকৃতি। আর করোনার বিধিনিষেধের মাঝে পশু-পাখি পাচ্ছে তার শতভাগ।ঠিক তেমনি কারণে শেখ মুজিব সাফারি পার্ক। প্রকৃতির নির্জনতায় বেড়েছে প্রাণীদের প্রজনন সক্ষমতা। প্রাণীদের নিয়মিত পরিচর্যার কারণে মোটাতাজাও হয়ে উঠেছে পশু পাখি। তাদের ঘরেও এসেছে অনেক নতুন অতিথি। লকডাউনের এ সময়ে মৃত্যু কিংবা অসুস্থতার শিকার হয়নি প্রাণী।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, দুই দফা লকডাউনে আট মাসের বেশি বন্ধ রাখা হয় পার্কটি। এসময় বেশ কিছু প্রাণী বাচ্চা প্রসব করেছে।
দ্বিতীয় ধাপের লকডাউনে পার্কে জেব্রার ৫টি, চিত্রা হরিণের ১৩টি, ওয়াইন্ড বিস্টের ৬টি, উট পাখির ১১টি, ইমু পাখির ৫টি এবং ময়ুরের ১১টি বাচ্চা এসেছে।
প্রাণীদের প্রজনন ও বিশেষ পরিচর্যার কথা বিবেচনা করে প্রতি বছর তুলনামূলক কম দর্শনার্থী আসার সময় অর্থাৎ মার্চ থেকে থেকে মে এই তিনমাস পার্ক বন্ধ রাখার জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠানোর কথা জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে বন্যপ্রাণীরা মানুষের ওপর বেশ বিরক্ত। করোনার সময়ে সে জায়গায় তারা বেশ খানিকটা স্বস্তি পেয়েছে। কেবল বন্যপ্রাণী নয়, যেসব প্রাণী খাঁচায় ছিল তাদের আচরণেও এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। এটা ধরে রাখতে পারলে একদিকে যেমন বাড়বে প্রাণীদের সংখ্যা অন্যদিকে দর্শনার্থীরা পাবেন বাড়তি আনন্দ।