৪:৪৮ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • লোকসানের শঙ্কায় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ ৪:৪১ অপরাহ্ন
লোকসানের শঙ্কায় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা
মৎস্য

মেঘনা তীরবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লালপুরে শুরু হয়েছে শুঁটকি উৎপাদন। তবে এ বছর মিঠাপানির মাছের স্বল্পতা থাকায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় চড়া সুদে দাদন ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে লোকসানের শঙ্কায় তারা। তবে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মেঘনার তীরবর্তী লালপুরে সারি সারিভাবে স্থাপন করা হয়েছে বাঁশের মাচা। এসব মাচায় মেঘনা এবং হাওর অঞ্চল থেকে আহরণ করা মিঠাপানির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুকানো হচ্ছে। বিশেষ করে পুঁটি, ট্যাংরা, শৈল, আইড় এবং ম্যানি মাছের শুঁটকি অন্যতম। রোদে শুকানো এই শুঁটকি নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিক্রি উপযোগী করে তোলা হয়। এর মধ্যে চ্যাপা শুঁটকি উৎপাদনের অন্যতম জোগান পুঁটি মাছের আমদানি বাজারে কম হওয়ায় বিপাকে ব্যবসায়ীরা। মৌসুমের শুরুতে দাদন ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে উচ্চ সুদে পুঁজি সংগ্রহ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা ভালো না হলে সেই টাকা পরিশোধ করা নিয়ে শঙ্কায় তারা।

এ বিষয়ে শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনার কারণে মাছ কম, তাই ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারছি না। ব্যবসার পরিস্থিতি যদি এবার ভালো না হয়, তাহলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ দিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মতে, সরকারের বাস্তবমুখী পরিকল্পনার পাশাপাশি সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে এই শিল্প আরও বিকশিত হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল খায়ের বলেছেন, সরকার যদি পরিকল্পিতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে এটি আরও বেশি বিকশিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ জেড এম আরিফ হোসেন বলেছেন, ব্যাংকিং খাত যদি তাদের ঋণ দানে এগিয়ে আসে, তাহলে তারা চড়া সুদের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারবে।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান আশ্বাস দেন, শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে, শুঁটকি শুকানোর কাজে যারা নিয়োজিত, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের এ পুঁজি সমস্যাসহ বিপণনে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলো স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করে, তাদের সমস্যা লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

প্রতি বছর এ অঞ্চলে অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ৬ মাসে অন্তত অর্ধশত কোটি টাকার শুঁটকি উৎপাদন হয়।

 

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop