সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ
কৃষি বিভাগ
জামালপুরের মেলান্দহে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ, দৃষ্টিজুড়ে হলুদের অপার সৌন্দর্যের সমারোহ। ভোরে সরিষা ক্ষেতের ওপর ভেসে থাকা কুয়াশা সকালবেলার প্রকৃতি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। সরিষার ভালো ফলন নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
সোমবার সকালে (১৩ ডিসেম্বর) মেলান্দহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সরিষার সবুজ গাছের ফুল গুলো শীতের সোনাঝরা রোদে যেন ঝিকিমিকি করছে। এ যেন এক অপরূপ সৌন্দযের দৃশ্য। দেখে যেন মনে হচ্ছে প্রকৃতি কন্যা সেজেছে গায়ে হলুদ বরণ মেখে। মৌমাছির গুন গুন শব্দে ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে পদার্পণ এ অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যিই যেন মনোমুগ্ধকর এক মুহূর্ত।ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সরিষা মাঠ জুড়ে ভিড় করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের বিনোদন প্রেমিরা। সরিষা খেত ঘুরে ঘুরে দেখছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ১৬০ হেক্টর জমি। উপজেলায় সরিষা চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমি। সরিষাবাড়ী চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বেশি চাষ হয়েছে।
মেলান্দহ উপজেলার বীর ঘোষেরপাড়া এলাকার বলেন কৃষক আলম মিয়া , গতবছর থেকে এবার সরিষা বুনছি কম। সরিষা আবাদে খরচ অনেক কম কিন্তু দাম যদি একটু হয় তাহলে আমাদের একটু ভাল হবে।
বাগবাড়ি এলাকার কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমার সরিষা খেত খুবই ভালো হয়েছে। দুইদিন বৃষ্টি হলো, যদি বেশি বৃষ্টি হয় তাহলে ক্ষেতের ক্ষতি হবে। কারণ বৃষ্টি হলে ফুল নষ্ট হয়ে যায়। যদি বৃষ্টি বাদল না হয়, তাহলে একটু লাভের মুখ দেখতে পারবো।
সরিষা খেতে ঘুরতে আসা নাহিদ হাসান নামে একজন বলেন, সরিষা খেতে ঘুরতে এসেছি খুবই ভালো লাগছে, চোখ যতদূর যায় ততদূর শুধু হলুদ আর হলুদ। গতবছরের ঘুরতে এসেছিলাম। গত বারের থেকে এবার একটু বেশি ভালো লাগছে।
এ ব্যাপারে মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে সরিষার ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে কোন প্রকার ক্ষতি না হলে মেলান্দহ উপজেলায় সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। শুধু তাই নয় সরিষা চাষের জমিগুলো উর্বরতা বেশি থাকায় কৃষকরা এবার বোরো চাষেও এর ভালো সুফল পাবে।