হিলিতে তীব্র শীত, রবিশস্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা
কৃষি বিভাগ
দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তীব্র শীত অব্যাহত রয়েছে। সকালের দিকে ঘন কুয়াশা ঝরছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাস শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। তীব্র শীত ও কুয়াশায় গম ও সরিষার আবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা।
হিলির দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, শীত আর কুয়াশায় গমের আবাদ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছি। শীতের কারণে গমের গাছ বাড়ছে না। কয়েকদিন আগেও যেমন ছিল এখনও তেমন আছে। রস না থাকায় গাছ একেবারে ঝিম ধরে আছে। শীতের কারণে গমে লাল বর্ণের একটি রোগ আসে, যেটা নিয়ন্ত্রণে ওষধ স্প্রে করতে হয়। এতে খরচ একটু বেশি। তবে শীত গেলে ঠিকমতো রোদ ও বাতাস পেলে এগুলো কেটে যাবে।
একই গ্রামের কৃষক সুজন হোসেন বলেন, পরে বোনা সরিষার ফলনে সমস্যা হতে পারে। গাছগুলো হলুদ হয়ে যাবে। অনেক গাছ মারাও যাবে। ঠিকমতো ফলন হবে না। শীতের কারণে রবিশস্য আবাদ করে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, যে কুয়াশা পড়ছে তাতে তীব্রতা সেরকম নেই। ফসলের তেমন কোনও সমস্যা হবে না। তবে এরপর যদি আরও বেশি কুয়াশা ঝরে তাহলে আলুর সমস্যা হতে পারে। গম শীতের ফসল আর সরিষার কোনও সমস্যা হবে না।
আবহাওয়া অধিদফতর দিনাজপুরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনাজপুর অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক শূন্য ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯০ শতাংশ, গতিবেগ ঘণ্টায় ৩-৪ কিলোমিটার, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যা ৮-১২ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।