‘২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে কোনো কৃষি জমি থাকবে না’
কৃষি বিভাগ
পরিবেশ অধিদফতর এর মহাপরিচালক একেএম রফিক আহম্মেদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন বর্তমান হারে ভূমি অবক্ষয় চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে কোনো কৃষি জমি থাকবে না।
রবিবার (১৪ মার্চ) পারিবেশ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “প্রতি বছর বাংলাদেশে এক শতাংশ হারে কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে কোন কৃষি জমি থাকবে না।”
মহাপরিচালক আরও বলেন, “২০০১ সালে ন্যাশনাল ল্যান্ড ইউস পলিসির ড্রাফট হয়েছিলো। এর কোনো ব্যবহার দেখছি না। ভূমি ব্যবহার পলিসি আপডেট করা প্রয়োজন। এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে, দারিদ্র দূর করতে হলে ভূমির বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে হবে। ভূমিকে অবক্ষয়ের হাত থেকে বাচাতে হবে।”
“বিশ্বব্যাপী ইতিমধ্যে ২৫ শতাংশ ভূমি অবক্ষয় ঘটেছে। প্রতিবছর ২৪ বিলিয়ন টন উর্বর ভূমি নষ্ট হচ্ছে। ২০৫০ সাল নাগাদ পৃথিবীর অর্ধেক ভূমির অবক্ষয় ঘটবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ” বাংলাদেশ রিও কনভেনশনে স্বাক্ষর করে বিশ্ববাসীর সাথে মরুময়তা, ভূমির অবক্ষয় ও খরা মোকাবেলা, জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর। মাটির পুষ্টি উপাদান হ্রাস, মাটিতে জৈব পদার্থের ঘাটতি, মাটির অম্লতা বৃদ্ধি, ভূমিক্ষয়, নদী ভাঙ্গন, জলাবদ্ধতা, উপকূলীয় এলাকায় লবনাক্ততা বৃদ্ধি বাংলাদেশে ভূমি অবক্ষয়ের প্রধান প্রক্রিয়া বলে বিবেচিত।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের অনেক টেকসই ভূমি ব্যবহার প্রযুক্তি আছে যার মাধ্যমে আমরা ভূমি অবক্ষয় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারবো। এছাড়া অবক্ষয় রোধে ভূমিতে বিনিয়োগ হলে স্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং এদেশের মানুষকে টিকে থাকার লড়াইয়ের সুযোগ করে দিবে যা পক্ষান্তরে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যত উন্নয়নও টেকসই হবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।