বিরামপুরে বোরো চাষীরা বীজতলার পরিচর্যায় ব্যস্ত
কৃষি বিভাগ
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের পরেই বোরো চাষিরা বীজতলা প্রস্তুতিসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক, মুকন্দপুর ইউনিয়নের পলিখাপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, হাবিবপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, শীত পড়ার আগেই বীজ বপণ করলে বীজের চারা ভাল গজায় এবং চারার রোগ বালাই কম হয়। এতে চারার গোঁছা মোটা ও পুষ্ঠ হয়। ফলে চারা রোপণের সময় বীজের অপচয় কম হয় এবং অল্প চারায় অধিক জমি রোপণ সম্ভব হয়।
চলতি ডিসেম্বর মাসের ২০ তারিখের পর থেকে দেশে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তাই কৃষকরা বোরোর বীজতলার চারার যত্ননিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই বোরোর জমিতে পানি সরবরাহের পর চারা রোপণের মৌসুম শুরুহবে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, চলতি মাসে বোরো মৌসুমে কৃষি প্রণোদনার আওতায় বিরামপুর উপজেলায় ২ হাজার ২’শ ২০ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার ডিএপি, এমওপি সার ও বিভিন্ন জাতের ধান বীজ প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, উপজেলার পৌর এলাকাসহ ৭টি ইউনিয়নে ১৫ হাজার ১’শ হেক্টর জমিতে বোরো রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বোরো আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের মধ্যে বিনামূল্য ৪ হাজার ৬’শ ১০জনকে হাইব্রিড জাতের বীজ ও ১ হাজার ৭’শ ৭০ জনকে উচ ফলনশীল জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
লক্ষ্যমাত্রারার অনুপাতে কৃষকরা প্রায় ৮’শ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরী এবং বীজ বপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। বপণকৃত বীজের মধ্যে রয়েছে ব্রি-২৮,২৯,৭৪,৮১,৮৯,৯২, বিনা-১৮, জিরাশাইল ও বিভিন্ন হাইব্রীড জাতের ধান চাষের প্রস্তুতি চলছে।