১২:০৪ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ৪ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • আউশের বাম্পার ফলনে খুশি শরীয়তপুরের কৃষকরা
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন
আউশের বাম্পার ফলনে খুশি শরীয়তপুরের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

চলতি মৌসুমে শরীয়তপুর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আউশ কাটা ও মাড়াই উৎসব। ভালো ফলনের পাশাপাশি এ ধানের দাম বেশি পেয়ে খুশি কৃষকরা। জানা গেছে, গত বছর ফলন ভালো হওয়ায় এবং আশানুরূপ দাম পাওয়ায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আউশের আবাদ করেছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১২ হাজার ৫০৫ হেক্টর জমিতে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে জেলায় মোট ১৩ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫৮৩ হেক্টর বেশি। চাষ করা জমিতে ২৭ হাজার ৫৮৮ হাজার মেট্রিক টনের বেশি চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চাষি সেকান্দর সরদার জানান, ‘কৃষি অফিস থেকে বিনা ধান-১৯-এর একটি প্রদর্শনী করা হয়। সেখান থেকে ওই ধানের নতুন আমি বীজ সংগ্রহে রেখেছি। অনেকেই আমার কাছ থেকে বীজ কিনে নিচ্ছেন। আমার এক বিঘা জমিতে কাঁচা ২২ মণ ধান হয়েছে। বাবুই পাখি কিছু খেয়ে ফেলেছে, না হলে আরও বেশি হতো। আমরা এই জাত পেয়ে খুশি।’

ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর এলাকার কৃষক নুর ইসলাম জানান, ‘আগে ফলন খুবই কম হওয়ায় কৃষকরা আউশ ধান চাষ করতে আগ্রহ হারাচ্ছিলেন। চলতি মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলন হওয়ায় তারা ভীষণ উৎসাহিত হয়েছেন। যদিও চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আউশের আবাদে মনোযোগী হন চাষিরা।’

আরেক কৃষক সাত্তার মোল্লা বলেন, ‘বোরো ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকরা আউশ রোপণ করেন। মাত্র ১০০ দিনেই আউশ ধান কৃষকদের ঘরে আসে। ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই একই জমিতে কেউ চলতি আমনের চারা রোপণ করেছেন।’

জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জামাল হোসেন জানান, ‘সরকার বৃষ্টিনির্ভর আউশ উৎপাদনের চিন্তা করছে। যাতে গ্রাউন্ড ওয়াটার হার্ভেস্ট কম হয়, সেই সঙ্গে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা যায়। সেই লক্ষ্যে আমরা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের নিয়ে আউশ উৎপাদনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এই জন্যে স্থানীয় জাতের বদলে আধুনিক উফসী যেমন ব্রিধান ৮২, ব্রিধান ৮৫ এবং বিনাধান ১৯-এর মতো জাত নিয়ে এসেছি, যার গড় ফলন পাঁচ টনের মতো। বর্তমানে আউশ উৎপাদন বাড়াতে জাজিরাতে এক হাজার ৩৯০ জনকে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।’

ভেদরগঞ্জ উপজেলার কৃষি অফিসার ফাতেমা ইসলাম জানান, ‘আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঠ দিবস, উঠান বৈঠক, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। এজন্য সেচনির্ভর বোরো আবাদের পর তারা বৃষ্টির পানিতে আউশ চাষ করেছেন। ফলে আউশের ফলন ভালো হয়েছে। পাশাপাশি ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।’

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop