সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার অব্যাহত
মৎস্য
জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে সরকারি নির্দেশনায় সুন্দরবনে মাছসহ সব ধরনের প্রধান ও অপ্রধান বনজদ্রব্য আহরণের পাস পারমিট বন্ধ রয়েছে। কিন্তু অসাধু জেলেরা রাতের অন্ধকারে সুন্দরবনের নদী ও খালে ঢুকে বিষ প্রয়োগ করে নিষিদ্ধ ভেষালি জালে বিপুল পরিমাণ চিংড়ি মাছ শিকার করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে।
এ চিংড়ি কয়রার দেউলিয়া বাজার মৎস্য আড়ত, উত্তর বেদকাশির ফুলতলা মিনি মৎস্য আড়ত ও চাদালি মৎস্য আড়তে দেদার বিক্রি করা হয়।
এসব মাছ উত্তর মদিনাবাদের ফুলতলা, কাছারিবাড়ি, সাতহালিয়া, ইসলামপুর, পালের বাঁধ এলাকার ১০ থেকে ১২টি টংঘরে আগুনে পুড়িয়ে শুঁটকিতে রূপান্তরিত করা হয়। সূত্র জানায়, সুন্দরবনের আদাচাকি, মার্কি, নাকজোড়া, নলবুনি, চালকি, পিনমারা, দুধমুখ, হংসরাজ, বজবজা, ছেড়া, খড়খুড়ি, খাসিটানা, ভোমরখালি, পাথকষ্টা, শাপখালি, মান্দারবাড়ি, পুষ্পকাটিসহ বনের অন্যান্য নদী-খালে ঘন ফাঁসের ভেষালি জাল পেতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছে অসাধু জেলেরা।
বন কর্মকর্তারা চেষ্টা করেও বিষ দিয়ে মাছ শিকার রোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। কয়রার মৎস্য ব্যবসায়ী আবু মুছা জানান, অতীতের তুলনায় বর্তমানে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বেড়ে গেছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, বিষ দিয়ে মাছ শিকার রোধ করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।