আমেরিকার চাকরি ছেড়ে দেশে গরুর দুধের ব্যবসা, মাসিক আয় ৪০ কোটি!
পাঁচমিশালি
আমেরিকার বিপুল আয়ের চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন কর্ণাটকের ছেলে। তিনি আমেরিকার একটি নামজাদা সংস্থায় মোটা টাকায় কাজ করেছেন ৬ বছর ধরে। সেই সব ছেড়ে আসেন নিজ দেশে। আর এসেই শুরু করেন গরুর দুধের ব্যবসা৷ ২০১২ সালে মাত্র ২০ টি গরু দিয়ে শুরু করে এখন তাঁর মাসিক আয় ৪০ কোটি টাকা।
নিউজ১৮.বাংলা এর সূত্র মতে জানা যায়, গরুর দুধ দোয়ানের কাজও করতেন এই ব্যবসায়ীর পরিবারের সকলে৷ এইভাবেই ক্রেতাদের দারজায় দরজায় প্রতিদিন পৌঁছে দিতেন দুধ৷ এরপর কেনা হয় দুধ মজুত রাখার জন্য বিশেষ ফ্রিজ৷ যার ফলে দুধ জমিয়ে রাখতে পারতেন তাঁরা৷ ধীরে ধীরে ব্যবসার প্রসার ঘটে৷ ছেলের নাম সিদ্ধার্থ, সেই নামের সঙ্গে মিলিয়ে এই দুধের ব্যবসার নাম রাখা হয় সিডস ফার্ম৷
২০১৮ নাগাদ তাঁদের খদ্দের ছিল ৬হাজার৷ যা মূলত হায়দরাবাদ ও তার আশপাশেই ছিল৷ এখন এই ব্যবসা ফুলে ফেপে উঠেছে৷ ১২০জন কর্মী কাজ করেন এই সংস্থায়৷ মাসের আয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা৷ এবং খদ্দের সংখ্যা ১০হাজারেরও বেশি৷
এখন সাফল্য এলেও, শুরুর দিনগুলো ছিল বেশ কঠিন৷ নিজেরা গিয়ে গিয়ে অন্যদের বাড়িতে দুধ দিয়ে আসতে হত তাদের৷ পরিবারের সঞ্চিত সব টাকাই ঢালতে হয়েছিল এই ব্যবসায়৷ শুরুতে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়৷ পরের বছর আবার ২ কোটি বিনিয়োগ করতে হয়৷ আস্তে আস্তে লাভের মুখ দেখেন আইআইটির প্রাক্তনী৷ এরপর ২০১৮-এ নিজের ব্যবসা আরও বড় করতে ১.৩ কোটি লোন পান তিনি৷
গরু ও মোষের দুধ দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও, এখন এই ব্যবসা অনেক দূর এগিয়েছে৷ নানা ধরণের দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হয়৷ দুধ, ঘি, মাখন, পনির সবই মেলে এখানে৷ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কাজ হয় সিডস ফার্মে৷ যদিও কোভিড ও লকডাউন পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও মার খেয়েছে ব্যবসা, তবে তাতে কোনও সমস্যা হয়নি ব্যবসায়ীর৷ নিজের কাজ তিনি নিজে করে চলেছেন এবং অনেক যুবদের আদর্শ হয়ে উঠেছেন এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করে৷