১০:০১ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • করোনা আমাদের জন্য ‘অপরচুনিটি’ হয়ে এসেছে
ads
প্রকাশ : জুন ১২, ২০২১ ১১:৫১ অপরাহ্ন
করোনা আমাদের জন্য ‘অপরচুনিটি’ হয়ে এসেছে
প্রাণিসম্পদ

প্রতিটি চ্যালেঞ্জই একেকটি ‘অপরচুনিটি’। করোনা চ্যালেঞ্জও আমাদের জন্য ‘অপরচুনিটি’ হয়ে এসেছে। করোনাকালে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য ভূমিকা রেখেছে। মানুষ কখনো ভাবেনি যে সরকারি কর্মকর্তারা ঘুরে ঘুরে দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি করবে। করোনা আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে, তাদের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে, আত্মিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হচ্ছে সম্পদে সবার ‘একসেস’ তৈরি করে দেওয়া।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব রওনক মাহমুদ অদ্য ১২/০৬/২০২১ খ্রিঃ তারিখে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-তে “প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থপনা” শীর্ষক ১২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং “পিপিআর ও ক্ষুরারোগের মলিকুলার ডায়াগনোসিস (পিসিআর)” শীর্ষক ১৪ দিনব্যাপী উচ্চতর প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণাকালে এ কথা বলেন।

 

এসময় তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে কাজ করার মত প্রচুর স্থান রয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে জাত উন্নয়ন, জাত সংরক্ষণ, জাত বিশুদ্ধকরণ, অধিক উৎপাদনশীল জাত তৈরি, নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের জাত তৈরি প্রভৃতি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। একদিকে যেমন উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে হবে, অন্যদিকে তেমনই পুষ্টিগত গুণ-মানও বৃদ্ধি করতে হবে। একই সাথে তিনি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে গবেষণা লব্ধ জাতসমূহ খামারি পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উভয় সংগঠনকে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন এবং মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যসমূহ চিহ্নিত করে তা দূরীকরণের নির্দেশ দেন।

 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রাণিসম্পদ-২) শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান। অনু্ষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিএলআরআই-এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ সাজেদুল করিম সরকার এবং পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী মন্ডল।

সভাপতি ও বিএলআরআই’র মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল তাঁর বক্তব্যে সচিব মহোদয় ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, রমজানে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসমূহের মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং বড় পরিসরে দুগ্ধ সপ্তাহ আয়োজনের মত কাজ মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করেছে। দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিএলআরআইকে সহযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়কেই প্রধান সমন্বয়কারী ও দিক-নির্দেশকের ভূমিকা পালন করতে হবে।

 

বিএলআরআইতে কর্মরত বিজ্ঞানীবৃন্দের প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার নানা দিক সম্পর্কে ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে “প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থপনা” শীর্ষক প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হচ্ছে। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন বিএলআরআই-এর ২০ জন উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছেন। বিএলআরআই কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের আয়োজনে এই প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হচ্ছে।

 

অন্যদিকে পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আয়োজনে বিএলআরআইতে “পিপিআর ও ক্ষুরারোগের মলিকুলার ডায়াগনোসিস (পিসিআর)” শীর্ষক প্রশিক্ষণটি পরিচালিত হচ্ছে। আবাসিক এই প্রশিক্ষণটিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের ১০ জন বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করছেন যারা পরীক্ষাগারে অনুশীলনের মাধ্যমে হাতে কলমে পিপিআর ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণের কলাকৌশল আয়ত্ব করবেন। বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পিপিআর রোগ নির্মূল এবং ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop