কোরবানিকে সামনে রেখে ব্যস্ত খুলনার গরু খামারিরা
প্রাণিসম্পদ
আসন্ন কোরবানিতে গরুতে লাভবান হওয়ার আশায় খুলনার জেলার খামারিরা গরু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা এই উপলক্ষে গরু-ছাগল মোটাতাজাকরণে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। অধিক পুষ্ট গরু-ছাগলের ক্রেতার কাছে চাহিদা অনেক বেশি। সেখানকার খামারিরা তাই এই সময়টাতে ব্যস্ত সময় পার করেন।
জানা যায়, কোরবানির চাহিদার তুলনায় এ জেলায় ৪০ শতাংশ পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। এবার করোনার তাণ্ডবে অর্থনীতির অবস্থা সব দিকেই নাজেহাল। আর এই শঙ্কায় স্বল্প সংখ্যক পশু প্রস্তুত করেছেন তারা। নিরাপদ মাংস নিশ্চিতে খামারিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়,গত বছর কোরবানির ঈদে জেলায় ৭৪ হাজার ৮০০ গবাদীপশু কোরবানি করা হয়। এগুলোর মধ্যে ৩৮ হাজার ষাঁড়-বলদ এবং ৩২ হাজার ৮৬৯ টি ছাগল-ভেড়া। শুধুমাত্র নগরীতে বারো হাজার ১৮৬ টি ষাঁড়-বলদ কোরবানি হয়।
গত বছর কোরবানির পর পরই খামারিরা নতুন করে ষাড়, ছাগল মোটা তাজাকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। ইয়াসের কারণে কয়রা উপজেলায় এ প্রকল্পে যথারীতি খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া করোনায় মন্দা অর্থনীতির কারণে অন্যান্য উপজেলার খামারিরা খুব বেশি বিনিয়োগ করেননি।
খুলনা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অনেক খামারি গবাদিপশু মোটাতাজা করছেন। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাংস উৎপাদনের জন্য আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি বলে জানান তিনি।