গবাদিপশু পালনে স্বাবলম্বী কুডিগ্রামের মানুষ
প্রাণিসম্পদ
গবাদিপশু পালনে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ। চরাঞ্চলের মানুষের প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। বর্তমানে তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য কৃষি কাজের পাশাপাশি গবাদিপশু পালন করছেন।
জানা যায়, জেলার ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ফুলকুমার, জিঞ্জিরামসহ ছোট বড় ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকায় রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক চরাঞ্চল। এইসব চরে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। চরের মানুষের একমাত্র পেশা কৃষি কাজ হলেও বর্তমানে তারা কৃষির পাশাপাশি পশু পালন করে তারা আয় করছেন। চরের বালু মাটিতে ফসলের আবাদ করে তাদের চাহিদা পূরণ হচ্ছেনা। তাই তারা পশু পালনের দিকে ঝুঁকছেন।
কুড়িগ্রাম প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার ৯ উপজেলায় ৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৫২টি গরু রয়েছে।
কৃষকরা জানান, আমাদের চরে কৃষি কাজ করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। তাই অন্য এলাকা থেকে গরু বর্গা এনে চরের খোলা মাঠে পালন করি। গরু পালনে যা আয় হয় তাতে সংসার চলে যায়। আমাদের চরে কম-বেশি প্রতিটি বাড়িতেই গরু রয়েছে। সবাই গরু পালন করে।
কৃষক আবুল কাশেম জানান, আমরা চরে কৃষি কাজ করি। তার পাশাপাশি এখন গরু পালন করছি। ফসল আবাদ করে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যায়। তাই গরু পালন করে কিছু আয়ের চেষ্ট করছি। অনেক সময় বন্যায় ফসলের অনেক ক্ষতি হয়। তখন আমাদের জীবন যাবন খুব কষ্টকর হয়ে যায়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. ইউনুস আলী জানান, কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলের প্রায় অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। তারা তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের জন্য গবাদিপশু পালনে ঝুঁকছেন। চরে গরু পালন করা সহজ। কারণ চরে ঘাসের কোনো অভাব হয় না। মাঠে ছেড়ে দিয়েই গরু-ছাগল পালন করা যায়। এতে খাদ্য খরচ কম লাগে। ফলে তারা পশু পালনে লাভবান হন। আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগীতা করছি।