গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্র
কৃষি বিভাগ
বগুড়ার শেরপুরে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে শেরপুরের বালেন্দা গ্রামে ১০০ বিঘা জমিতে দুই জাতের ধান লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি। যা স্থান পেয়েছে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ ) ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’-এর আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
‘শস্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ প্রকল্পের মূল পরিকল্পনাকারী কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, প্রতিকৃতিটি বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আলাদাভাবে পরিচিত করবে। এর আগে প্রাকৃতিকভাবে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ যে প্রতিকৃতি চীনে তৈরি করা হয়েছিল, তার মোট আয়তন ছিল ৮১,৫২২ বর্গমিটার, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটি প্রায় তার দেড় গুণ।
তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে। এখন শুধুই ক্ষণ গণনা, বাংলাদেশের জন্য নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি করার জন্য। যদিও খালি চোখে দেখে বঙ্গবন্ধুর সম্পূর্ণ মুখাবয়ব দৃষ্টিগোচর করা সম্ভব নয়, তবুও প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসছে প্রকল্পটি দেখতে। ড্রোনের মাধ্যমে তোলা ছবি ও ভিডিও এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ফিচার, সম্পাদকীয় টেলিভিশন ও জাতীয় দৈনিকে এসেছে।
সত্যি এ এক নয়নাভিরাম দৃশ্য, যা দেখে বোঝার উপায় নেই যে শুধু দুই প্রকার ধানগাছ লাগিয়ে অপূর্ব এই প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে। স্বাধীনতার মাসে জাতির পিতার এ প্রতিকৃতি সবাইকে আরো একবার প্রেরণা জোগাবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে। জয় বাংলা।
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় একটায় একটি ওয়েবনিয়ারে তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবে, বলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই নেতা।
জানা যায়, ভবানীপুরের বেলেন্দিয়া গ্রামের ১০০ বিঘা জমির ওপর নেওয়া হয়েছে প্রকল্পটি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি এবং ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এটি সম্পন্ন করেছে। ৪০০ মিটার লম্বা ও ৩০০ মিটার চওড়া প্রতিকৃতিটি সর্বমোট ১,২০,০০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে নভেম্বর ২০২০ থেকে মে ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য জায়গাটি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। প্রতিকৃতিটিকে ফুটিয়ে তুলতে দুই ধরনের ধান ব্যবহার করা হয়েছে। সবুজ ধানটি ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার কর্তৃক স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এবং বেগুনী (হালকা খয়েরি) ধানটি চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে।
গত (১-১৫) ফেব্রুয়ারি স্থানীয় নারী শ্রমিক, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং বিএনসিসি সদস্যরা এই ধানের চারা রোপণ করেন। প্রকল্পের অংশ হিসেবে মূল প্রতিকৃতির নিচে খয়েরি রংয়ের ধানে বঙ্গবন্ধুর সম্পূর্ণ নাম লেখা হয়েছে।