চট্টগ্রামে অনলাইনে চলছে গরু বিক্রির হিড়িক
প্রাণিসম্পদ
সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। তবে আসন্ন কোরবানিকে কেন্দ্র করে খামারিদের মাঝে গরু বেচা-কেনার হিড়িক থাকলেও লকডাউন আর করোনায় যখন ভেঙে পড়া অবস্থা ঠিক তখনই জমে উঠেছে অনলাইনি বিক্রির হিড়িক।অনলাইনে পছন্দের কোরবানির পশু কিনে নিচ্ছেন। সরকারি ভাবেও এবার অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয়ে ক্রেতাদের উত্সাহিত করা হচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে অনলাইনে ৩৫ হাজার কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। লকডাউনের কারণে ক্রেতারা বেশি সাড়া দিচ্ছে। আবার খামারিরাও বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে ক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। তবে গত বছর অনলাইনে বেচাকেনায় বেশ কিছু প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। বিকাশে গরু বিক্রির টাকা নিয়ে পরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এতে ক্রেতারা অনলাইনে পশু কেনা নিয়ে সর্তক রয়েছে।
খামারিরা জানান, ক্রেতারা অনলাইনে গরুর খবরাখবর নিচ্ছে। তারাও ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। ইতিমধ্যে প্রচুর গরু বিক্রি হয়ে গেছে। খামারি নাজমুল হাসান বলেন, ‘এবার অনলাইনে বেশি সাড়া পাচ্ছি। আমার ২৮টি কোরবানির পশুর মধ্যে ১৬টি বিক্রি হয়ে গেছে। প্রতিটি গরু প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের।’ খামারি ইকবাল হোসেন বলেন, ‘অনলাইনে ইতিমধ্যে ১২টি বিক্রি করেছি। ক্রেতারা যোগাযোগ করছে। আশা করি, বাকিগুলো বিক্রি হয়ে যাবে। কোরবানির হাটে নিতে হবে না।’
চট্টগ্রাম মহানগরীতে এবার স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ছয়টি কোরবানির পশুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসন। করোনার কারণে এসব হাটে পশু বিক্রি নিয়ে নানা শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আবার কোরবানির বাজার নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা সংশয় রয়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত গরু পাওয়া যাবে কি না, নাকি গত বছরের মতো শেষ বাজারে গরুর সংকট দেখা দেবে- তা নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ চলছে। গত বছর কোনো কোনো বিক্রেতা অনলাইনে দেখিয়েছেন বড় গরু, সরবরাহ করেছেন ছোট গরু।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রিয়াজুল হক জানান, অনলাইনে কোরবানির পশু বেচাকেনায় বেশ সাড়া পড়েছে। সামনে বিক্রি আরো বাড়বে। এবার বাজারে কোরবানির গরুর সংকট হবে না।
এগ্রিভিউ/এসএমএ