তরমুজের গুনাগুন
পাঁচমিশালি
গরম পড়তেই বাজারে উঠছে তরমুজ। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এই রসালো ফলের দিকে ঝুঁকেছেন অনেকেই। বেলার দিকে তরমুজের জুসই হোক বা খাওয়ার পরের ফল হিসাবে, তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তাছাড়া শরীর ঠাণ্ডা রাখা থেকে শুরু করে, বহু রোগ থেকে সুরক্ষা দেয় তরমুজ। তবে তরমুজের গুণের পাশাপাশি এর খোসার উপকারিতাও একনজরে দেখে নেওয়া যাকঃ-
১. তরমুজের গুণ-হার্টের রোগ থেকে মুক্তি দিতে তরমুজ অপরিহার্য। কার্ডিওভ্যাসকুলার রোগ প্রতিরোধে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে, রোগের ঝুঁকি কমাতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার।
২. তরমুজের গুণ-তরমুজে বহু মিনারেল ও ভিটামিন থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তরমুজে থাকা উপাদান চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৩. তরমুজে রয়েছে লাইকোপিন। যা ত্বকের উজ্জ্বলাত বাড়ায়।
৪. তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। এছাড়াও রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। কিডনি ও লিভার সুস্থ রাখতে যা কার্যকরী। এছাড়াও তরমুজ মনকে শান্ত রাখে, প্রবল গরমে দেয় ঠাণ্ডার প্রভাব।
৫. রক্তশূন্যতার ক্ষেত্রে তরমুজ যেমন উপকারী, তেমনই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও তা উপকারী।
৬. তরমুজের খোসায় থাকে সিট্রুলাইন, যা রক্তনালীর প্রসারে সাহায্য করে। গবেষণা বলছে, এটি পেশীতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
৭. তরমুজের খোসায় থাকে রসালো ভাব, থাকে জলের পরিমাণ। যা শরীরকে ডিহাইড্রেড হতে দেয় না। এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকায়, তা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৮. তরমুজের খোসায় রয়েছে লিবিডো বর্ধক অ্যামিনো অ্যাসিড সিট্রুলাইন। এছাড়াও কিছু গবেষণা বলছে, তরমুজের সঙ্গে খোসার কিছু অংশ মুখে চলে গেলেও সমস্যা নেই। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৯. রক্তের শর্করা কমাতে সাহায্য করে তরমুজের খোসা। কমাতে পারে কোলেস্টেরলের সমস্যা। এছাড়াও শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়াতে তরমুজ গুরুত্বপূর্ণ।