দেশীয় গরুতে কোরবানির জন্য শতভাগ প্রস্তুত প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়
প্রাণিসম্পদ
আগামী ১০ ই জিলহজ পালিত হবে মুসলিমদের বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের মাঝে অন্যতম উৎসব ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। এই ঈদের অন্যতম মহত্ব হলো পশু কোরবানি দেওয়া। আর এবারের ঈদে শতভাগ দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি উদযাপন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
জানা যায়, এ বছর ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে দেশের খামারি ও গৃহস্থদের কাছে। আর কোরবানির সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছে ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৫টি। গত বছর তথা ২০২১ সালে কোরবানি করা হয়েছে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি পশু। সে তুলনায় এবার ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৩টি পশু বেশি রয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, এবার দেশে কোরবানির পশুর চেয়েও অতিরিক্ত পশু রয়েছে। যা চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি। কোরবানি দেওয়ার পরও পর্যাপ্ত পশু থেকে যাবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। যার ইতিবাচক প্রভাব এবার কোরবানিতে পড়বে। এক সময় কোরবানির পশু নিয়ে ফেরিঘাটে এসে দুই-তিনদিনও অপেক্ষা করতে হতো। পদ্মা সেতু দিয়ে যারা ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জায়গায় কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন তাদের জন্য পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায় থেকে ঢাকা বা ঢাকা থেকে অন্যত্র পশু পারাপারে এখন ফেরি পার না হলেও চলে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে কোরবানির পশু পারাপার সহজ হয়েছে। পথে অনেক সময় পশু ক্লান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যেত, অনেক সময় মারাও যেত, সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণ হয়েছে। এটা খামারি, বিপণনকারী ও ভোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এভাবে পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অকল্পনীয় সুযোগ করে দিয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত কয়েক বছর দেশের কোরবানির চাহিদা অনেকটা কমে গিয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ এবং ২০২১ সালে কোরবানি গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেকটা কম হয়েছে। ২০২০ সালে দেশে কোরবানি হয় মাত্র ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি পশু। ২০২১ সালে তা আরও কমে কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা কমে ৯০ লাখ ৯২ হাজার ২৪২টি নেমে আসে।