নওগাঁয় ধানের দাম কমল মণপ্রতি ২০০ টাকা
কৃষি বিভাগ
নওগাঁর হাটগুলোতে বেড়েছে ধানের সরবরাহ। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি দর কমেছে ১৫০-২০০ টাকা পর্যন্ত। এ জন্য মিলার ও ব্যবসায়ীদের কারসাজিকে দুষছেন কৃষকরা। এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে চাল আমদানির ঘোষণায় তাদের হিসাব করে ধান কিনতে।
সকাল হতে না হতেই ধান নিয়ে হাটে হাজির প্রান্তিক চাষিরা। নওগাঁর চৌকগরী স্কুল মাঠ শত শত মণ ধানে ভরে ওঠে।
গত সপ্তাহের চেয়ে কৃষকদের ধানের জোগান বেড়েছে কয়েক গুণ। গত ১০ দিন আগেও এসব হাটে প্রতি মণ মোটা জাতের ধান ১ হাজার ২৮০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা আর চিকন, কাটারি, জিরা ও মিনিকেট ১ হাজার ৫২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতো। অথচ এখন সরবরাহ বাড়ায় মণপ্রতি দর ১৮০-২২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
ফসল উৎপাদনে কৃষি উপকরণের দাম দফায় দফায় বাড়লেও ক্ষেত থেকে তোলা ধান হাটে আনার পর ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে বাঁধা ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ার অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
এবার ফলন ভালো না হওয়ায় ধানের হঠাৎ দরপতনে ব্যবসায়ী আর মিলারদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন প্রান্তিক চাষিরা। তারা বলেন, ধানের বাজার সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫০০ টাকা মণ না হলে কৃষক বাঁচবে না। বাজারে ধান এনে কৃষকেরই ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে চাল আমদানির ঘোষণায় তাদের হিসাব করে ধান কিনতে হচ্ছে। এ বিষয়ে নওগাঁর মহাদেবপুরের চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকারের ব্যাপক চাপের কারণে বড় বড় গ্রুপগুলো ধান কেনা অনেকটাই স্থবির করে দিয়েছেন। ফলে বাজারে ধানের দাম ১০০-১৫০ টাকা কম।