পাটের বাম্পার ফলনে বগুড়ার কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ
গত বছরের তুলনায় এবছর পাটের দাম বেশি পেয়ে খুশি বগুড়ার পাট চাষিরা।গত বছরের থেকে এবছর বগুড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাটের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। প্রচণ্ড খরার কারণে চাষিরা পাট জাগ দেয় নিয়ে সঙ্কায় থাকলেও পরে বৃষ্টি হওয়াতে স্বস্তি ফিরেছিল কৃষকের মনে।
জানা যায়, গত বছর বগুড়ায় ১২ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। এ বছর বগুড়ায় ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। বিগত বছরে পাটের দাম ভালো থাকায় এবছর পাট চাষে চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। তাই এবছর এজেলায় ৪ হাজার ১১০ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
পাট কল বগুড়া ভাণ্ডারের মালিক তোফাজ্জাল হোসেন জানান, চাষিরা তাদের পাট রোদে শুকিয়ে হাটে নিয়ে আসছেন। এবার পাটের বাজার কৃষকদের অনুকূলে। এবার জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার গত মঙ্গলবার হাটে ৩ হাজার টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পাবনা জেলায় উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পাটের হাট বসে। পাবনার হাটে বগুড়ার প্রায় ১৭ টি পাটকল মালিক পাট কিনতে ভিড় করেছেন। বগুড়ার সারিয়াকন্দির পাট বিখ্যাত এখনো প্রতিমণ পাট ২৭০০-২৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পাবনার কাশিনাথপুর, সাঁথিয়ার হাটে প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ থেকে ৩২০০ টাকায়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচলাক এনামুল হক জানান, বিঘাপ্রতি পাট উৎপাদন হয় ৮-১০ মণ। এতে চাষিদের ১০-১২ টাকা খরচ হয়। এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রতি বিঘায় গড়ে ৯ মণ পাট উৎপাদন হয়। বাজারে পাটের দাম ভালো থাকায় খুশি চাষিরা। পাটের এমন দাম থাকলে প্রতি বছর এ অঞ্চলে পাট চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।