প্রচণ্ড দাবদাহে ঝরে যাচ্ছে আম, শঙ্কায় নওগাঁর চাষিরা!
এগ্রিবিজনেস
সারাদেশে চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। এর মধ্যে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে, ২৬শে এপ্রিল ঢাকায় গত ২৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। ওইদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এই তীব্র তাপমাত্রা চলতি সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত চলবে। আর এতে বৃষ্টি শূণ্যতায় ভুগছে নওগাঁ জেলার আম বাগানগুলো। প্রচণ্ড খরায় ঝরে যাচ্ছে গাছের আম। আমের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ বলেন, খরার কারণে কিছুটা আম ঝড়ে পড়ছে। পাশাপাশি প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে উকুন পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে করেও গতবারের চেয়ে এবার আমের ফলন ভালো হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর নওগাঁ জেলায় ২৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। যেখানে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ২০০ মেট্রিক টন। এছাড়াও গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে ২৪ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমি বেশি জমি আম চাষের আওতায় এসেছে।
চাষিরা বলছেন, অতিরিক্ত খরায় আমে বোঁটা শুকিয়ে আম ঝরে পড়ছে। আমে হপার ও মাকর পোকার আক্রমণ খুব বেশি। পোকামাকড়ের আক্রমণে আম কালো হয়ে যাচ্ছে। প্রতিষেধক ব্যবহার করা হলেও কিছুদিন আবারও পোকার উপদ্রব দেখা দিচ্ছে। এবার অনাবৃষ্টির কারণে আমের ফলন কম হবে। একমাত্র বৃষ্টি হলে আম রক্ষা পেতে পারে বলে ধারণা করছেন চাষীরা।
পোরশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম জানান, প্রথম দিকে আমে ভাল গুটি এসেছিল। তীব্র দাবদাহে আমের গুটি ঝরে পড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তবে গত কয়েকদিন আগে প্রায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাটিতে রস এসেছে। এ বৃষ্টি আমের ভাল উপকারে এসেছে। আর রোগ বালাইয়ের পরিমাণ খুবই কম।