বিষমুক্ত সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে ঘিওরের কৃষকদের
কৃষি বিভাগ
রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই বেগুন চাষে সাফল্য পেয়েছেন মানিকগঞ্জের চাষিরা। এছাড়া বিষমুক্ত চাষের দিকেই আগ্রহ বাড়ছে তাদের। লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে সবজি চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে ঘিওরের কৃষকরা।
সূত্র মতে জানা যায়, জৈবিক বালাই দমনে সেক্স ফেরোমন ফাঁদের সাহায্যে বেগুন চাষ করে অধিক লাভবান হয়েছেন ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের জাবরা এলাকার কৃষক আজিম, মাইলাঘী এলাকার মুন্নাফ মিয়াসহ আরো অনেক কৃষক। সেক্স ফেরোমন পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে মুন্নাফ মিয়া বিটি-২ জাতের বেগুন চাষ করেছেন। কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ছাড়াই উৎপাদিত এই বেগুনের চাহিদাও অনেক বেশি। তিনি জানান, এ পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করায় তার ক্ষেতে পোকার আক্রমণ হয়নি। আলু, টমেটো, লালশাক, রসুন, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে ব্যবহৃত হচ্ছে কুইক কমপোস্ট সার।
বহুজা গ্রামের কৃষক বাবর আলীর এ পদ্ধতির সাফল্য দেখে এলাকার অনেক কৃষক এ পদ্ধতিতে বেগুনসহ অন্যান্য সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। জমির মধ্যে মাটিতে ছোট ছোট দুটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে তাতে প্লাস্টিকের বয়াম দু’পাশে বেঁধে ঝুলিয়ে রেখে তার মধ্যে দেয়া হয়েছে সাবান পানি। বয়ামের মাঝখানে একধরনের লেয়র ঝুলিয়ে দিতে হয়। যার ফলে পুরুষ পোকাগুলো গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে বয়ামের ভেতরে ঢোকে। বয়ামের নিচের অংশে রাখা সাবান পানিতে পড়ে মারা যায়। ফলে ক্ষতিকর পোকার বংশ বৃদ্ধি রোধ হয়।
কৃষক বাবর আলী বলেন, সেক্স ফেরোমন ফাঁদ বসিয়ে বিষমুক্ত বেগুন চাষের সাফল্য কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলে বিষমুক্ত সবজি চাষ করতে কৃষকরা আরো এগিয়ে আসবেন।
ঘিওর উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ বিপুল হোসেন জানান, এক সময়ের অনাবাদি জমিতে বেগুন চাষ করে যেমন উপজেলায় সবজি উৎপাদন বাড়ছে। তেমনি উৎপাদিত হচ্ছে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই বিষমুক্ত সবজি। কম খরচে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছে কৃষক। আর অপরদিকে বিষমুক্ত সবজিও পাচ্ছেন ক্রেতারা।