মাছ চাষে মুখে হাসি পাবনার চাষিদের
মৎস্য
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মারমী গ্রামে দুই বিলে মাছ চাষ করে ভাগ্য বদলেছেন গ্রামবাসীরা। বিলের পার্শ্ববর্তী পাঁচ গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ এক সময় দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করতো। বর্তমানে মাছ চাষে ফিরতে শুরু করেছে সুদিন।
জানা যায়, দুটি বিলের একটির নাম চামগড়া অপরটি পদ্ম। দুটি বিল প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ ও তিন কিলোমিটার প্রস্ত। এ দুই বিলজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ৪৫০টি পুকুর। প্রায় ১৫ বছর আগে এই বিলের জমির মালিকরা পুকুর খনন করে। প্রতি বছরই পুকুরের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
মাছ চাষিরা বলেন, এই দুই বিল মারমী গ্রামের বৃহৎ অংশ জুড়েই রয়েছে। পাশাপাশি সুলতানপুর, হাতিগড়া, বয়রা, শ্যামপুর গ্রামেও রয়েছে এ দুই বিলের সীমানা। বর্তমানে সেখানে মাছ চাষ করে প্রায় ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
লাডুলি গ্রামের মাছচাষি শরিফুল ইসলাম মণ্ডল জানান, ৩৭ বিঘার বড় পুকুর সহ আরো ৮টি পুকুরে মাছ চাছ করি। আমার মতো অনেকেই এখানে মাছ চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। সকল খরচ বাদ দিয়ে বছরে প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকা আয় হয়। তবে বর্তমানে মাছের খাদ্যের দাম বাড়ায় মাছ চাষিদের লাভের পরিমান কমেছে।
উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, ঈশ্বরদীতে মোট ২৪৭৬ পুকুর রয়েছে। দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মারমী ও সুলতানপুরসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামে মাছের ব্যাপক চাষ হয়।