মিষ্টি কুমড়া চাষে ভাগ্যবদল আফজালের
কৃষি বিভাগ
পাঁচ বছর আগে ভারতে গিয়ে বরগুনার কৃষক আফজাল এনেছিলেন মিষ্টি কুমড়ার বীজ। সেই বীজ থেকে উৎপাদিত কুমড়া বদলে দিয়েছে তার ভাগ্য। বরিশাল মহানগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে কুমড়া বিক্রি করেন তিনি। কুমড়া বিক্রি করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাতাকাটা গ্রামের এই কৃষক।
ক্রেতাদের অনেকেই জানিয়েছেন, আফজাল প্রতি কেজি কুমড়ার দাম নিচ্ছেন ২০ থেকে ৩০ টাকা। এর পাশাপাশি পৃথকভাবে বিক্রি করছেন কুমড়ার বীজও। আর এভাবেই জমে উঠেছে আফজালের কুমড়া বিক্রি।
তিনি জানান, বাবার কাছ থেকে কৃষিকাজের হাতেখড়ি তার। এরপর থেকে বিভিন্ন ধরণের কৃষিকাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে কৃষিকাজ নেশায় পরিণত হয়েছে আফজালের।
আফজাল হোসেন বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে ভারতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে চোখে পড়লো কুমড়ার বীজ। তখন বিক্রেতা জানায়- এ কুমড়া আমাদের দেশের মাটিতে ভালো ফলন দেবে। একেকটি কুমড়া সর্বোচ্চ তিন মণের ওপরে হবে। তখন বিশ্বাস করে বীজটা কিনি।’ দেশে এসে সেই বীজে চাষাবাদ শুরু করি। কিন্তু গত বছর সেভাবে ফলন পাইনি। কিছু কুমড়া বড় হলেও তার সংখ্যা ছিল খুবই কম। তবে আশা ছাড়িনি।’
এ বছর সেই আশা পূরণ হয়েছে। দেড় শতাধিক কুমড়ার আকৃতি হয়েছে দৈত্যাকার। ১১০ কেজি থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ৫০ কেজি ওজনের কুমড়া হয়েছে’, বলেন আফজাল।
আফজাল আরও জানান, বড় বড় কুমড়া হওয়ায় খবর পেয়ে বিভিন্ন জাগয়া থেকে লোকজন আসেন কুমড়া দেখতে। দেখতে এসে অনেকেই কুমড়া কিনেও নিয়ে যান। বড় কুমড়া থাকায় সেগুলো কেটে কেটে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে লাভও হচ্ছে ভালো।
‘আলাদা বীজ বিক্রি করতে পারছি। বড় জাতের কুমড়া হওয়ায় অনেকে বীজ কিনতে খুব আগ্রহী। তবে যারা কেজি দামে কুমড়া কিনছেন তাদের আবদারে কিছু বীজ বিনামূল্যে দিয়ে হচ্ছে’, যুক্ত করেন আফজাল।