মুরগির খামার করে যেভাবে বদলে গেলো শামিমের জীবন
পোলট্রি
হরিণাকুণ্ডু উপজেলার যুবক শামিম আহম্মেদ ঢাকা কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর শেষ করে গ্রামে ফিরে সিদ্ধান্ত নেন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর।এক স্বজনকে দেখে উৎসাহিত হন মুরগির খামারের প্রতি। বাবা ও স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে পৈতৃক জায়গায় গড়ে তোলেন মুরগির খামার। কোনো রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিজের মেধা, শ্রম আর একাগ্রতা দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নে এগোতে থাকেন খামার ঘিরে। সেই থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তার খামারে রয়েছে হাইলাইন ব্রাউন জাতের এক হাজার ১০০ মুরগি। পৈতৃক সম্পত্তির এক হাজার ২০০ স্কয়ার ফুট জায়গায় এই খামার গড়েছেন তিনি।
জানা যায়, শামিমের স্বপ্নের শুরুটা ছিল ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। মাত্র দেড় বছরেই ঘুরতে থাকে তার ভাগ্যের চাকা। নিজ বাড়ির পাশে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা খামারে তার আয় এখন বছরে প্রায় ৯ লাখ টাকা। তিনি এখন উপজেলার মডেল উদ্যোক্তা। শামিম উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দখলপুর গ্রামের আবু সালেকের ছেলে।
শামিম জানান, অভিজ্ঞতা ছাড়া এ কাজে প্রথমে শঙ্কা থাকলেও এখন আর সেই শঙ্কা নেই। একটি ফার্মের কর্মকর্তাদের পরামর্শে তিনি সঠিকভাবে মুরগির পরিচর্যা করছেন। খামার শুরুর পাঁচ মাস পর থেকেই এসব মুরগি ডিম দিতে শুরু করে। সেই থেকে প্রতিদিন গড়ে আটশর ওপরে মুরগি ডিম দেয়। জেলা-উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তার কাছ থেকে ডিম কিনে নেন। এতে সব খরচ বাদে প্রতি মাসে তার আয় ৬৫-৭০ হাজার টাকা। বছর শেষে লাভের খাতায় দাঁড়ায় প্রায় ৯ লাখ টাকা।
খামার পরিচালনায় স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতা না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে তার। করোনাকালে সরকারের প্রণোদনা পেলেও পাননি ব্যাংক ঋণ বা অন্য কোনো সহযোগিতা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, শামিম একজন সফল খামারি। প্রথমে আমরা তার খামার পরিদর্শন করে তাকে সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানিয়েছি।