লকডাউন: রাজশাহীতে কমছে মাছের যোগান!
মৎস্য
রাজশাহীর বাজারে করোনা লকডাউন, খারাপ আবহাওয়া আর পাইকারের অভাবে কমছে মাছের যোগান। খুচরা ক্রেতা বেশি থাকায় বেশি দামে মাছ কিনতে হচ্ছে পাইকারদেরও। আবার পুকুর মালিকরাও পাইকারের অভাবে উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে চিন্তিত।গাড়ি না চলাচল না করায় পাইকাররা আসছে না। সেজন্য মাছের দাম কমেছে বলে অভিযোগ জেলেদের।
যোগানের তুলনায় খুচরা ক্রেতা বেশি থাকায় পাইকারদের চড়া দামে কিনতে হয়েছে মাছ। প্রতিকেজি মৃগেল বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৮০, কাতলা ২৬০ থেকে ৩৭০ টাকা, ট্যাংরা ৬ ৫০ টাকা, সিলভার ও মিনার কার্প ১৮০ টাকা কেজি।
পাইকাররা জানান, আজকে মাছের অনেক দাম। গতকাল একটু কম ছিল। এছাড়াও বাজারে মাছের সরবরাহও কম। ঈদকে ঘিরে মাছ বিক্রির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি পুকুর মালিকদের। উৎপাদন খরচ তুলতে না পেরে চিন্তিত তারা।
একজন পুকুর মালিক জানান, মাছে পোনা ও খাবারের দাম অনেক বেশি। সে তুলনায় আমরা লাভবান হতে পারছি না।
জানা যায়, রাজশাহী জেলায় মাছের উৎপাদন হয় ৮৪ হাজার মেট্রিক টন। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে উদ্বৃত্ত ৩২ হাজার টন সরবরাহ হয়।