শ্রীনগরের আড়িয়াল বিলে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে কৃষক
কৃষি বিভাগ
শ্রীনগরের আড়িয়াল বিলে দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে জমির পাকা ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকেরা। ধান কাটতে কৃষি শ্রমিকের দৈনিক মজুরি হিসাবে কৃষকের গুনতে হচ্ছে ১২০০-১৩০০ টাকা। ধানের জমিতে জলাবদ্ধতা, কৃষি শ্রমিকের অভাব ও ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় চাষিরা ফসল ঘরে তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন।
কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলায় এ বছর বোরো মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে আড়িয়াল বিলের শ্রীনগর অংশেই ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম ধান চাষ করা হয়েছে।
ঝড়-বৃষ্টিতে অসংখ্য জমিতে পাকা ধান নুয়ে পড়ায় চাষিদের ভোগান্তি বেড়েছে। উপজেলার আলমপুর, শ্রীধরপুর, বাড়ৈখালী, মদনখালী, গাদিঘাট এলাকায় হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ধান কাটছেন শ্রমিকরা। পরে মাথায় কিংবা ছোট ডিঙ্গি নৌকায় করে লোকালয়ে নিয়ে আসছেন। এসব ধান সড়ক কিংবা বাড়ির বোঙ্গা (শ্যালো ইঞ্জিতচালিত) মেশিনে মাড়াই করা হচ্ছে।
জানা যায়, আড়িয়াল বিল ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য বিলে পাকা ধান কাটা হচ্ছে। এ অঞ্চলে অধিকাংশ জমিতে হাইব্রিড ২৮ ও ২৯ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এলাকায় মাড়াই করা ভিজা ধান সাড়ে ৭০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকেরা জানায়, আড়িয়াল বিলের বেশিরভাগ জমিতেই পানি উঠায় ধান কাটায় ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষি শ্রমিকের অভাবে অতিরিক্ত মজুরী দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ৩ বেলা খাবার দিয়ে একজন শ্রমিককে ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা রোজ দিতে হচ্ছে। কিন্তু ১ মণ ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার সান্ত্বনা রানী জানান, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি জমিতে উঠে গেছে। ঈদের ছুটির কারণে কৃষি শ্রমিকদের আসতে বিলম্ব হচ্ছে। জমিতে নুয়ে পড়া ধান আগে কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।