৫০০ টাকার লোভে সেজেছে কৃষক!
কৃষি বিভাগ
প্রতি কৃষককে ২শ গ্রাম করে পাটবীজ দেওয়া হয়েছে প্রায় দেড় মাস আগে। আর দেড় মাস পর সেই পাট বীজ জমিতে ফেলে কীভাবে উন্নতমানের বীজ উৎপাদন করা যাবে সেই কায়দা শেখানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে। এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে উপজেলা পাঠ উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়।
আজ সকাল ১১টার দিকে প্রশিক্ষণস্থল উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা পর্যায়ের অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেখানে কৃষকের বেশে অনেকেই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। প্রশিক্ষণ গ্রহীতার তালিকায় উপজেলার সরকারি কার্যালয়ের অফিস সহায়কের নামও রয়েছেন।
উপজেলা পর্যায়ের একটি সরকারি কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মো.জামাল উদ্দিন ও আবু বক্কর সিদ্দিকের নামও প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের তালিকায় রয়েছে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জামাল উদ্দিন জানান, তিনি ময়মনসিংহ সদরের দাপুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। নান্দাইলে চাকরি করেন। তিনি পাট বীজ পাননি। তবে তার নামটি একদিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
দেড় মাস আগে বীজ প্রদান করার পর এখন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলে বীজ উৎপাদনকারীদের কী লাভ হবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা পাট উন্নয়ন কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বৃষ্টির জন্য কৃষকরা জমিতে বীজ ফেলতে পারেননি। তাছাড়া যথাসময়ে অর্থ বরাদ্দ না আসায় প্রশিক্ষণ আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। কৃষক পরিচয়ে অন্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই চাইলে আগামীতে আপনাদেরও রাখা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোট প্রশিক্ষণার্থী ১০০ জন। প্রতিজনকে ৫শ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়েছে। এই টাকা পেতে কৃষক ছাড়াও সাধারণ লোকজনেরও নাম ওঠানো হয় তালিকায়। আনেছা বেগম নামে এক নারী এসেছেন উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের তারাপাশা থেকে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সদরে আইছলাম। এক নেকা কইলো এইনো থাকলে ৫শ টেহা পাওয়া যাইবো, তাই…। এখানে কি হবে জানতে চাইলে বলেন, মনে অয় গরুরে কিবায় খাওয়াইবো এইডা শিহাইবো।’ -কালের কণ্ঠ