২:৪৫ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • গোখাদ্যেরে দাম বৃদ্ধি, সিলেটের ছোট ও মাঝারি খামার বন্ধের পথে!
ads
প্রকাশ : জুন ৭, ২০২২ ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
গোখাদ্যেরে দাম বৃদ্ধি, সিলেটের ছোট ও মাঝারি খামার বন্ধের পথে!
পাঁচমিশালি

গত এক বছরের মধ্যে দ্রুততম সময়ে অস্বাভাবিক হারে গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। গত বছর ৩৫ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা গমের ভুসি বিক্রি হতো ১ হাজার ৪৩০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০ টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি প্রায় ৬২০ টাকা। গেল বছর ৫০ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা লবণ বিক্রি হতো ৬০০ টাকায়। এবার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকায়। এক বছরে প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ৪৫০ টাকা। সিলেটের গোখাদ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোয় দেখা মিলে এমন চিত্রের। যার ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিলেটের ছোট ও মাঝারি খামারগুলো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গেল বছর ৭৭৫ টাকায় এক বস্তা ফিড পাওয়া গেলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০ টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে প্রতি বস্তা ফিডের দাম বেড়েছে ২৪৫ টাকা। গেল বছর প্রতি বস্তা ভুট্টা বিক্রি হতো ১ হাজার ৩০০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ টাকায়। দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৬০০ টাকা। ৫০ কেজি ওজনের ১ হাজার ৭০০ টাকা দরের মিক্সার বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়। দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। ৪০ কেজি ওজনের রাইস পলিশ বা আটা কুঁড়া ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০০ টাকায়। এক বছরে দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। গোখাদ্যের এমন অস্বাভাবিক মূলবৃদ্ধির ফলে খামারিরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছেন।

সিলেটে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজেও একজন খামারি। শহরতলির ভাটা এলাকায় তিনি গড়ে তুলেছেন বিশাল একটি খামার। তাতে রয়েছে কয়েক শ’ গরু। দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার খামারের রয়েছে ব্যাপক সুনাম। গোখাদ্যের বর্তমান মূল্যবৃদ্ধির ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতে সিটি মেয়রের বাসভবনে সভা করেন সিলেটের খামারিরা। সভা থেকে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে খামারিরা পাইকারি দুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। পাইকারি দামে প্রতি লিটার দুধ ৭০ টাকা ও খুচরা ৯০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।

সিলেট জেলায় ছোট-বড় প্রায় এক হাজার খামার রয়েছে। এ অঞ্চলে কাঁচা ঘাসের উৎপাদন কম। যে কারণে বাজার থেকে কেনা দানাদার জাতীয় গোখাদ্য ছাড়া বিকল্প খাবার তেমন থাকে না। এজন্য বাজার থেকে দানাদার খাবারের বিকল্প বের করার তাগাদা দিচ্ছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রুস্তুম আলী জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক কারণে দানাদার খাদ্যের দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় পতিত জমিতে ঘাস চাষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। পাশাপাশি বর্ষায় পানি শুকানোর পর এ অঞ্চলের জমিতে মাষকলাইর চাষ করা যেতে পারে। দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভরশীলতা না কমালে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop