কিশোরগঞ্জে পাঁচ শতাধিক গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত
প্রাণিসম্পদ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত প্রায় পাঁচ শতাধিক গরু। এ রোগ দ্রুত এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে এ ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে জোড়ালো কোনো তৎপরতা না থাকায় অনেক কৃষক টোটকা চিকিৎসা এবং পল্লী চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হচ্ছে।
জানা গেছে, বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের আমিনুর রহমান, আনারারুল ইসলাম, ফয়জুল মিয়ার গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
কৃষকরা জানান, আক্রান্ত গরুর দেহে বিভিন্ন জায়গা প্রথমে ফুলে ওঠে। এরপর জল বসন্তের মতো গুটির সৃষ্টি হয়। দু-একদিনের মধ্যে গরুর পুরো শরীরে থাকা গুটিগুলো ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে চামড়া খুলে পড়ে। এ সময় গরুর শরীর তীব্র জ্বর দেখা দেয়। অনেক সময় পা ফুলে যাওয়াসহ গরুর বুকের নিচে পানি জমে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ক্ষত স্থান পচে গিয়ে সেখান থেকে মাংস খুলে পড়ে। মুখ দিয়ে সবসময় লালা পড়েতে থাকে। মাগুড়া ইউনিয়নের আকালি বেচা পাড়ার এনামুল হক, আব্দুস সালাম এবং ধনী পাড়ায় মাজেদুল হকের গরুসহ আরো অন্য কৃষকের প্রায় পাঁচ শতাধিক গরু এ রোগে আক্রন্ত হয়েছে।
কৃষকরা অভিযোগ করেন, গরুর আক্রান্ত স্থানে গরম পানি, পটাশ গুলানো পানি দিয়ে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করা হচ্ছে এবং পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসা নেয়া হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ দফতরের কোনো প্রকার সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে পল্লী চিকিৎসকরা কৃষকদের এক একটি গরু সারিয়ে তুলতে তিন থেকে চার হাজার টাকা আদায় করছে বলে তারা অভিযোগ করেন। কৃষকরা চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটাতে গিয়ে অনেক সময় হিমশিম খাচ্ছে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন নাহিদ সুলতান বলেন, আমাদের গ্রাম পর্যায়ে চিকিৎসা দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসা নিতে হলে আমাদের অফিসে আসতে হবে।