লকডাউন: ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় চলছে মাছ-মাংস-দুধ-ডিম বিক্রি
প্রাণিসম্পদ
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ঘোষিত লকডাউনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশে ন্যায্য মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও বিভিন্ন প্রাণিজাত পণ্যের ভ্রাম্যমাণ কেনা-বেচা চালু রয়েছে। এতে একদিনে সাধারণ মানুষ সহজে কিনতে পারছে প্রয়োজনী পণ্য আবার অন্যদিকে খামারিরাও তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারছেন ভোক্তাদের কাছে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর খামারবাড়িতে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ।
এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের লাইভস্টক ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী রফিকুজ্জামান, ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, গত ৫ এপ্রিল থেকে করোনা পরিস্থিতিতে ও পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরণে দেশের আটটি বিভাগের ৬৪ জেলায় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও বিভিন্ন প্রাণিজাত পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ এই বিক্রয় কেন্দ্রগুলোকে সারাদেশে ৯৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩১৯ টাকা মূল্যের মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, পোল্ট্রি ও বিভিন্ন প্রাণিজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে।
এ বছর জেলা প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে সংশ্লিষ্ট জেলার মৎস্য দফতর ও প্রাণিসম্পদ দফতরের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় ডেইরি ও পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
গত বছরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থায় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যের মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি করা হয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে।
আরো পড়ুন: