আউশ আবাদে ব্যস্ত কুমিল্লার চাষিরা
কৃষি বিভাগ
লাভের আশায় এবার কোমর বেঁধে মাঠে নেমে আউশ আবাদে ব্যস্ত কুমিল্লার চাষিরা। সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতেই মাঠে মাঠে আউশ রোপণে এখন তারা ব্যস্ত।
স্থানীয় চাষিদের থেকে জানা যায়, টানা বর্ষণ আর গত কয়েকদিনর বৈরী আবহাওয়ার কারণে বেশ ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিলেন অনেক চাষি। সেই সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যই ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা আশায় বুক বেঁধেছেন আউশ আবাদে। মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আউশের ফলন অনেক ভালো হবে বলে মনে করছেন চাষিরা। তাই বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে আউশ ধান রোপণ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। বর্তমানে ক্ষেতের অবস্থা নিয়েও সন্তুষ্ট চাষিরা।
আউশ চাষি কামরুজ্জামান বলেন, লাভবান হওয়ার আশায় ১৮০ শতাংশ জমিতে আউশের আবাদ করেছি, এখন পর্যন্ত ক্ষেতের অবস্থা ভালো।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এ বছর জেলার ১৫ উপজেলায় ১৩ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে স্থানীয় ও উফশি জাতের আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার ৬৫ ভাগ ধান ইতোমধ্যে রোপণ শেষ হয়েছে। মোট আবাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫১১ মেট্রিক টন চাল।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, কৃষকদের আউশ ধান আবাদে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে কৃষকরা বাড়তি আউশ আবাদ করে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে। বর্তমানে ধানের দাম ভালো থাকায় অনেকেই আউশ আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন, আমরাও তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সব জমি যেন কৃষি আবাদের আওতায় আসে সে লক্ষ্যে কুমিল্লাতে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৪ হাজার ৩২০ জন কৃষককে সবজি বীজও দেওয়া হচ্ছে, যাতে এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় এখনো আউশ আবাদ করছেন চাষিরা। আমরাও তাদের উৎসাহ দিচ্ছি বলে জানান তিনি।