অনলাইনই ভরসা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ১২ হাজার খামারির
প্রাণিসম্পদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ছোট, বড়, মাঝারি সাড়ে ১২ হাজার খামারি এক লাখ ২৪ হাজার ৭২৭টি গরু প্রস্তুত করেছে এবারের কোরবানির জন্য। তবে, এজেলায় চলতি বছর এক লাখ সাত হাজার গরু কোরবানি হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউাউনের কারণে এএখন পর্যন্ত হাট বসার অনুমতি পাননি খামারীরা। তাই বাধ্য হয়ে অনলাইরেনই ভরসা তাদের আর জমেও উঠেছে বেশ।
তবে জানা যায়, একাধিক সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসা গরু নিয়ে চিন্তায় আছে দেশীয় খামাারিরা। এখনো জেলার একাধিক বাজারে ভারতীয় গরুর আধিক্য থাকায় তাঁরা আর্থিকভাবে লোকসানের মুখে পড়তে পারেন বলে অনেক খামারি শঙ্কার মধ্যে আছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অন্যতম বড় খামার পৌরসভার আমীনপুর এলাকার নিউ প্রিন্স ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. নাসির উদ্দিন জানান, বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত গরু সরবরাহের লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন। তাঁর খামারে শাহিওয়াল, ফাইটার, নেপালি ঘির, রাজস্থানি, ওয়েস্টার্ন ফ্রিজিয়ান, উরবারি ষাঁড় জাতের গরু রয়েছে। সব মিলিয়ে গরুর সংখ্যা প্রায় আড়াই শ। এসবের দাম দেড় লাখ থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত।
অনলাইনে গরু বিক্রির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হচ্ছে ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রেড সেন্টার’ নামের একটি পেজে। দিন যাচ্ছে, সেখানে বিক্রিও বাড়ছে। এখানে প্রতিদিন ৬০-৭০টি গরু বিক্রির পোস্ট আসে বলে জানিয়েছেন পেজসংশ্লিষ্ট বিবর্ধন রায় ইমন।
রাফান অ্যাগ্রো ফার্ম থেকে অনলাইনের মাধ্যমে তিনটি গরু বিক্রি হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট মো. রাকিব।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ বি এম সাইফুজ্জামান জানান, এ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোরবানির মাংসের চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত থাকবে। সীমান্ত অঞ্চলে ভারতীয় গরুর প্রবেশ ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন ও বিজিবিকে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এগ্রিভিউ/এসএমএ