যশোরে পোল্ট্রি খামারিদের চমক
পোলট্রি
অধিক লাভ এবং মাংসের চাহিদা পূরণে এখন অনেকেই মুরগির খামারের দিকে ঝুঁকছেন। তেমনি করে পোল্ট্রি ফার্মে ব্রয়লার মুরগি, ডিমসহ অন্যান্য জাতের মুরগি পালনে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন যশোর জেলার কয়েকশো খামারী।
জেলা প্রাণি সম্পদ দফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় বড়, মাঝারি এবং ছোট আকারের পোল্ট্রি খামার রয়েছে প্রায় দুই সহস্রাধিক। এসব খামারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শত শত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও পোল্ট্রি ফার্ম মালিকদের সহযোগিতার লক্ষ্যে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারি ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে মোবাইল চিকিৎসক দল চিকিৎসা সেবা প্রদান করে চলেছেন।
জেলার চৌগাছা উপজেলার কেশবপুর উপজেলার পুটিয়াখালীর বাসিন্দা অনিমেষ দাস জানান, প্রতিবছর একটি হাইব্রিড মুরগি পালনের জন্য ৬০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা প্রয়োজন হয়। একটি মুরগি বছরে ৩০০ থেকে ৩১০ ডিম দেয়। ফার্মের ডিম বিক্রি করে খরচ বাদে লভ্যাংশ দিয়ে পরিবারের ব্যয়ভার বহন করছি
তিনি আরও জানান, বিএসসি অনার্স শেষে বেকার বসে না থেকে একটি লেয়ার মুরগির ফার্ম গড়ে তুলি। বর্তমান ২ হাজার ৫শ’৫০টি মুরগি আছে। প্রতিদিন ২ হাজার ৪শ’টি ডিম বিক্রি করছি এতে তিনি ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন বলেও জানান।
এদিকে পোল্ট্রি ডিম সংরক্ষণের জন্য জেলায় একটি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরাত্বারোপ করেছেন পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা। তাদের এই প্রয়োজন পূরণ করলে লেয়ার মুরগির ফার্ম গড়ে তুলতে আরো অনেকে উৎসাহিত হবে বলেও জানান তারা।