২:৫২ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বগুড়ায় আলুর দরপতনে শঙ্কিত কৃষক ও ব্যবসায়ীরা
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২১ ১:৫৫ অপরাহ্ন
বগুড়ায় আলুর দরপতনে শঙ্কিত কৃষক ও ব্যবসায়ীরা
এগ্রিবিজনেস

বেশ কয়েকদিন ধরে বগুড়ার বাজারে আলুর দরপতনে শঙ্কিত কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহেও যেখানে আলুর কেজি বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা কেজি সেখানে বর্তমান বাজারে বিক্রয় হচ্ছে খুচরা কেজি প্রতি ১৫ টাকা করে। আর পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা কেজিতে। এদিকে উৎপাদন থেকে হিমাগারে রাখা পর্যন্ত এক কেজি আলুর পেছনে কৃষক ও ব্যবসায়ীর খরচ হয়েছে ১৮ টাকা। এই হিসাবে হিমাগারে আলু রেখে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজিতে ৮ টাকা করে লোকসান গুনছেন।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশের শীর্ষ আলু উৎপাদনকারী জেলাগুলোর একটি বগুড়া। কয়েক মৌসুম ধরে জেলাটিতে আলু আবাদ ও উৎপাদন ভালো হওয়ার কারণে আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে ছিল। গত ২০১৮-১৯ মৌসুমে জেলায় আলুর ফলন ছিল প্রায় ১২ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ মৌসুমে বগুড়া জেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৫ হাজার ৪৫৪ হেক্টর। আর ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩৮ হাজার মেট্রিক টন। শেষ পর্যন্ত বগুড়ায় গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়।

জেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পাওয়া যায় বগুড়ায়। গত কয়েক বছর ধরে বগুড়ায় ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় আলুর দাম নিয়ে কৃষকরা খুশি না হতে পারলেও বাজার ব্যবস্থায় আলুর দাম স্থিতিশীল থাকায় নিশ্চিন্ত ছিল ভোক্তারা।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ভালো ফলনের কারণে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। বগুড়া সদর উপজেলার বারপুর, ঘোড়াধাপ, মরাকাটা, চাঁদমুহা এলাকার কয়েকজন আলু চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বছর আলুর ভালো ফলন পাওয়া যায়। ভালো ফলন পাওয়া গেলেও বাজারে ভালো দাম ছিল না। গত বছর মৌসুমের সময় বগুড়ার খোলা বাজারে একেবারে ভালোমানের আলু ২৮ থেকে ৩০ টাকা আর স্বাভাবিকভাবে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি। সেই আলু চলতি বছর এসে বর্তমানে কোল্ডস্টোরে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সাড়ে ১০ টাকা কেজিতে। এই আলু কোল্ডস্টোরে সংরক্ষণ করার সময় খরচসহ ব্যবসায়ীদের পড়েছে প্রায় ১৭ টাকা কেজি।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দুলাল হোসেন জানান, বগুড়ায় সবজি হিসেবে আলুর উৎপাদন বরাবরই ভালো। এ মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়েছে। অন্যদিকে এবার বন্যা হয়নি। সবজি রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। তাতে আলুর চাহিদা সামান্য কমেছে। আবার বগুড়া অঞ্চল থেকে অন্য জেলায়ও আলু খুব একটা যায়নি। হিমাগারে সংরক্ষণ করা আলু খালাস না করলে ব্যবসায়ীদের লোকসান হবে। সব মিলিয়ে আলুর বাজারমূল্য কমে গেছে। তবে সামনে আরো একটি আলু চাষের মৌসুম আসছে দাবী করেন ওই কৃষিবিদ।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop