খামারের প্রতি আগ্রহ কমছে ভোলার খামারিদের!
পোলট্রি
মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধি, মুরগি ও ডিমের দাম কমে যাওয়ায় সারাদেশের ন্যায় লোকসানে পড়েছেন ভোলার মুরগির খামারিরা। একদিকে লোকসান, অন্যদিকে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে অনেকেই পড়েছেন বিপাকে। লোকসানের কারণে অনেকের আগ্রহ কমে গেছে এই খাতের প্রতি।
পোলট্রি ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে জেলা পোলট্রি ব্যবসায় ধস নেমেছে। এ অবস্থায়ও কেউ কেউ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় আছেন।
ইলিশা ইউনিয়নের রাজা এন্টারপ্রাইজ ফার্মের মালিক কুটি ডিলার বলেন, আগে মুরগির খাবারের দাম কম ছিল, বেশি লাভ হতো। কিন্তু এখন খাবারের দাম বেড়েছে, আমরা লোকসানে আছি। বাজারে মুরগির দামও কমে গেছে। এখন খরচই উঠছে না।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, জেলায় ১৬৭টি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে, যা থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক পিস ডিম উৎপাদন হয়। এখানকার মুরগি ও ডিম জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হয় অন্যান্য বিভিন্ন জেলায়।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল জানান, সরবরাহ কম থাকায় মুরগির খাবারের দাম কিছুটা বেড়েছে। তাই খামারিদের কিছুটা লোকসান গুনতে হচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমতে পারে। তিনি সরকার থেকে প্রণোদনা এলে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের তালিকা তৈরির মাধ্যমে বিতরণ করা হবে বলে জানান।