৭:২০ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
বিএলআরআই কর্তৃক “বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৩” অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৩’ সমাপনী অনুষ্ঠান গত ২৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বিএলআরআই এর মূল কেন্দ্র সাভারে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির সমাপনী ঘোষণা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব জনাব এটিএম মোস্তফা কামাল। সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই দুই দিনব্যাপী চলা এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রাণী উৎপাদন গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. বিপ্লব কুমার রায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশের কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। সারা পৃথিবী এই উন্নয়নকে স্বীকার করে, এর প্রশংসা করে, এর পিছনের কারণ জানতে চায়। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নের পিছনে কাজ করেছে তিনটি জিনিস। একটি হলো সরকারের কমিটমেন্ট-ইচ্ছা, দ্বিতীয় হলো প্রযুক্তি আর তিন নম্বর হলো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো-নেটওয়ার্কিং।

বিএলআরআইতে নবনিযুক্ত বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞানীরা কখনো সাটিসফাইড হবে না। সেটিসফেকশন ইজ ডেথ ফর সাইন্টিস্ট। বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন জ্ঞানের মধ্যে সব সময় থাকতে হবে, পড়াশোনার মধ্যে থাকতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে ম্যাসিভ পরিবর্তন আনতে হবে, প্রোডাকটিভিটি বাড়াতে হবে। জিন এডিটেড জাত উদ্ভাবন করতে হবে। দেশকে কি দিতে পারলাম, সেটা সব সময় ভাবতে হবে।

উক্ত আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন ও খামার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ এবং সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিএলআরআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩ ৬:৫৫ অপরাহ্ন
সাহস, সততা ও আত্মনিবেদন নিয়ে কাজ করতে হবে: ড. নাহিদ রশীদ
প্রাণিসম্পদ

গৎবাধাঁ কাজ না করে সাহস, সততা ও আত্মনিবেদন নিয়ে কাজ করতে হবে। আবেগতাড়িত না হয়ে যুক্তি দিয়ে কাজ করতে হবে। সমালোচনা না হলে শুদ্ধি আসে না। বিএলআরআই অতীতে কি কি কাজ করেছে তা আমরা জানি। কিন্তু বিএলআরআই ভবিষ্যতে কি করবে, ভবিষ্যৎ বিএলআরআইকে আমরা কোথায় দেখতে চাই তা এখনই পরিকল্পনা করতে হবে। দেশ যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে, নিজের প্রয়োজনীয় সকল কিছু যেনো দেশেই উৎপাদন করা সম্ভব হয় এমন পরিকল্পনা নিতে হবে এবং সে ধরনের গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করতে হবে, খাদ্য করচ কমানো সম্ভব হয় এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।

আজ ২৩/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৩’ এর অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ একথা বলেন।

বিএলআরআই কর্তৃক ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ গবেষণা পরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আজ ২৩/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রোজ শনিবার সকালে বিএলআরআই এর মূল কেন্দ্র সাভারে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার। এছাড়াও সম্মনিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব জনাব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল এবং পরিকল্পনা কমিশনের বন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উইং এর অতিরিক্ত সচিব জনাব মোহাম্মাদ মফিজুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সচিব আরও বলেন, সকল পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে আজকের এই কর্মশালা সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। বিশেষজ্ঞ সদস্যগণ যেসব মতামত প্রদান করবেন সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। আরও অনেক বেশি স্টেকহোল্ডার নিয়ে কাজ করতে হবে। এমনভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে যেনো তা দেশের মানুষের কাজে লাগে। মাঠে সম্প্রসারণ করতে না পারলে গবেষণালব্ধ জ্ঞান মূল্যহীন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বিএলআরআই সব সময় সকলের মতামত নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিএলআরআই বর্তমানে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে এমন নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের কাজ করছে। খামারের খরচ কমানো, খাদ্য ব্যবস্থায় বিকল্প পুষ্টির উৎস খুঁজে বের করতে কাজ করে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিভিন্ন সংক্রামক রোগের টিকা উদ্ভাবনের কাজ করছেন।

সকাল ০৯.৩০ ঘটিকায় পবিত্র কোরআন হতে তেলোয়াত এবং পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং কর্মশালার সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন বিএলআরআই এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা।
স্বাগত বক্তব্যের পরে বিএলআরআই কর্তৃক প্রকাশিত “প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন প্রযুক্তি নির্দেশিকা (চতুর্থ সংস্করণ)” শীর্ষক বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ এবং অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ মোড়ক উন্মোচন করেন।
উক্ত আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন ও খামার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ এবং সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের খামারীগণ, বিএলআরআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম হতে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ।
উদ্বাধনী অনুষ্ঠানের পরে শুরু হয় কারিগরি সেশন। এবারের কর্মশালায় পাঁচটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত কারিগরি সেশনে সর্বমোট ৪৯ (উনপঞ্চাশ) টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে বিএলআরআই সম্মেলন কক্ষ (চতুর্থ তলা) ভেন্যুতে “অ্যানিম্যাল অ্যান্ড পোল্ট্রি ব্রিডিং অ্যান্ড জেনেটিকস” শীর্ষক প্রথম সেশনে ১০ (দশ) টি প্রবন্ধ, প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষ (দ্বিতীয় তলা) ভেন্যুতে “অ্যানিম্যাল অ্যান্ড পোল্ট্রি ডিজিজ অ্যান্ড হেলথ” শীর্ষক দ্বিতীয় সেশনে ১০ (দশ) টি প্রবন্ধ, ছাগল উৎপাদন গবেষণা বিভাগের সম্মেলন কক্ষ (চতুর্থ তলা) ভেন্যুতে “সোশিওইকোনোমিকস অ্যান্ড ফার্মিং সিস্টেম রিসার্চ” শীর্ষক তৃতীয় সেশনে ০৭ (সাত) টি প্রবন্ধ, ট্রেনিং ডরমিটরির সম্মেলন কক্ষ ভেন্যুতে “বায়োটেকনোলজি, এনভায়রনমেন্ট, ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট” শীর্ষক চতুর্থ সেশনে ১২ (বারো) টি প্রবন্ধ এবং পোল্ট্রি রিসার্চ সেন্টারের সম্মেলন কক্ষ (দ্বিতীয় তলা) ভেন্যুতে “অ্যানিম্যাল নিউট্রিশন, ফিডস অ্যান্ড ফডার ম্যানেজমেন্ট” শীর্ষক পঞ্চম সেশনে ১০ (দশ) টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। প্রবন্ধ উপস্থাপনার পাশাপাশি বিএলআরআই সম্মেলন কক্ষ (চতুর্থ তলা) এর ছাদে চলমান বিভিন্ন গবেষণার উপর মোট ২৮ (আটাশ) টি পোস্টারও প্রদর্শন করা হয়।
আগামী ২৪/১২/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে সমাপনী ও বিশেষজ্ঞ সুপারিশ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী চলমান ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৩’ শেষ হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২৩ ৯:২১ পূর্বাহ্ন
লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল
প্রাণিসম্পদ

গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরের মানুষও গরুর খামারে দিকে ঝুঁকছেন। গরু পালন শুরু করতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তা নতুন খামারির জানা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল:-
খামার শুরু করার আগে সীমিত খরচে ৩/৬ মাস মেয়াদী যুব উন্নয়ন বা বেসরকারি ভাবে ট্রেনিং নিতে হয়। প্রাণীসেবা হাসপাতালে সাপ্তাহিক ও মাসিক ট্রেনিং গুলোতে যোগ দিতে হবে।তবে একদিনে ট্রেনিং করে সব শিখতে চাইয়েন না।কারণ খামার বিষয়ক তথ্য গুলো একদিনে সব আয়ত্ত করা সম্ভব নয়।

গরুর যত্নে সঠিক সময়ে খাদ্য দেওয়া জরুরী। গরুকে যে খাদ্য খাওয়াতে হবে ২ বেলা কাঁচা ঘাস, খড়, দানাদার, পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি। এর মধ্য রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানিরর রেডি ফিড তো ফিড না দিয়ে নিজে খাদ্য তৈরী করতে হবে এতে খরচ কম হবে ও ভালো মানের খাদ্য তৈরী হবে।

গরুকে ঔষুধ খাওয়ানোর নিয়ম জানতে হবে। কারণ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কেননা,শ্বাসনালীতে ঔষুধ গেলে গরু মারা যাবার সম্ভবনা বেশির ভাগ। গরুকে ঔষুধ খাওয়ানোর সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো খাদ্যর সাথে বা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো।

পরিচিত কোন খামারে কিছু দিন সময় দেন খেয়াল করুন তার কাজকর্ম। সে কিভাবে কখন গরুকে খাদ্য দেয়,গোসল করাই,খামার পরিস্কার করে। ডাক্তারদের সাথে ভালো সমর্পক গড়ে তুলুন জেনে নিন কোন কোন রোগে কি কি চিকিৎসা দিতে হয়।

রোগে খামারে গরুর যে সমস্যাগুলো বেশি হয় তা বিষয়ে জানতে হবে ও সমাধানের উপায় জানতে হবে। সাধারণত জ্বর সর্দি, খাবারে খেতে রুচি কম,পেট ফাঁপা,ডায়রিয়া,ব্যাথা পাওয়া, হিটে আসার লক্ষণ, বীজ দেওয়ার সঠিক সময় টুকিটাক বিষয় গুলো জানতে হবে।

খামারে গরু অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কিছু দিন পর পর গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। লাভজনক গরুর খামার শুরু করার কৌশল সংবাদের তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩ ১১:১০ পূর্বাহ্ন
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে বিএলআরআই এ মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে দিনব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন করেন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরে মহাপরিচালক মহোদয়ের নেতৃত্বে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় মহাপরিচালক মহোদয়ের সাথে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা, অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্প পরিচালকগণসহ ইনস্টিটিউটের সকল পর্যায়ের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

এছাড়াও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ জোহর ইনস্টিটিউটের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগীয় ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জা করা হয়। একই সাথে বিএলআরআই এর আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহও পতাকা উত্তোলন, আলোকসজ্জাকরণসহ উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে অন্যান্য কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩ ৩:১৪ অপরাহ্ন
ছাগলের বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে করণীয়
প্রাণিসম্পদ

ছাগল পালনে বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে যা করতে হবে তা আমাদের মধ্যে অনেকেরই জানা নেই। ছাগলের বাচ্চা যেসব রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে নিউমোনিয়া অন্যতম। আজকে তাহলে জেনে নিব ছাগল পালনে বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে যা করতে হবে সেই সম্পর্কে-

ছাগল পালনে ছাগলের বাচ্চার নিউমোনিয়া রোগ প্রতিরোধে যা করতে হবেঃ
এই রোগের কারণঃ

১। ছাগলের বাচ্চা অপুষ্টিতে ভুগলেও এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

২। এছাড়াও আক্রান্ত ছাগলের সরাসরি সংস্পর্শেও এই রোগ ছাগলের বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করে থাকে।

৩। ছাগলের বাচ্চা যে ঘরে থাকে সেখানে প্রয়োজনীয় আলো ও বাতাস ঠিকভাবে না পৌঁছালে।

৪। ছাগলের বাচ্চাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে গেলেও এই রোগ হতে পারে।

৫। খাদ্য, পানি কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই রোগটি ছড়াতে পারে।

এ রোগের প্রতিরোধঃ

১। ছাগলকে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাদ্য খাওয়াতে হবে। খাদ্য প্রদানের পর প্রতিবার খাবার পাত্র পরিষ্কার করে রেখে দিতে হবে।

২। ছাগলের বাচ্চা যাতে নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত না হয় সেজন্য নিয়মিত ছাগলের ঘর পরিষ্কার করতে হবে। ঘরে যাতে কোন পানি না থাকে কিংবা ঘর যাতে ভেজা না থাকে সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩। কোন ছাগল আক্রান্ত হলে সেটিকে আলাদা করে পরিচর্যা ও চিকিৎসা করাতে হবে।

৪। ছাগলের ঘরে যাতে প্রয়োজনীয় আলো ও বাতাস চলাচল করতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ছাগলের ঘর তৈরি আগেই সেই পরিকল্পনা করতে হবে।

৫। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৩০, ২০২৩ ৯:৫০ পূর্বাহ্ন
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী ৫ম আহকাব আন্তর্জাতিক মেলা ২০২৩
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশে এ্যানিমেল হেল্থ কোম্পানিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) এর ৫ম আন্তর্জাতিক মেলা শুরু হচ্ছে আজ । ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা, ঢাকায় ৩ দিনের এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০:০০ ঘটিকা থেকে সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকা পর্যন্ত চলবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমর্থনে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মেলায় দেশী-বিদেশী মিলিয়ে ২১৫ টি কোম্পানীর ৫৮০টি ষ্টল রয়েছে। এ মেলা দেশের মৎস্য ও প্রাণিজ খাতের সমস্যা ও এর প্রতিকার, কারিগরি উন্নয়ন, নিরাপদ আমিষের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে ব্যাপকভাবে অবদান রাখবে। এ ছাড়াও এ মেলাতে পোাষা প্রাণির রোগ নিরাময় ও লালন পালনের বিবিধ তথ্য প্রদর্শন করা হবে।

সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় উদ্বোধন করবেন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান, এমপি। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ডঃ নাহিদ রশিদ বিশেষ অতিথি এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক ডাঃ মো এমদাদুল হক তালুকদার এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক জনাব খঃ মাহবুবুল হক গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। জনাব সায়েম উল হক, প্রেসিডেন্ট, এ্যানিমেল হেল্থ কোম্পানীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।

এ ছাড়াও মেলার উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানে প্রাণিজ ও মৎস্য খাতের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা সংক্রান্ত বিষয়ে দুইটি গবেষনাপত্র উপস্থাপন করা হবে।

মেলায় বাংলাদেশ, চীন, মিশর, জার্মানী, ভারত, পোল্যান্ড, দক্ষিন কোরিয়া, রোমানিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাাতিক অঙ্গনে খ্যাতনামা অনেক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে এবং এ্যানিমেল হেল্থ সেক্টরে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য ও উপকরনাদি উপস্থাপন করা হবে। বাংলাদেশের প্রাণিজ সেক্টরের সকল উদ্যোক্তা, খামারী, পেশাজীবি, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগন মেলায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে এ সেক্টরের বিভিন্ন সমস্যা, প্রতিকারের উপায়, নতুন বিনিয়োগ, সম্ভাবনা ও সার্বিক বিষয়ে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে এ সেক্টরে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। মেলা চলাকালীন সময় কোন প্রকার প্রবেশ ফি ছাড়াই যে কোন দর্শনার্থী মেলা পরিদর্শন করতে পারবেন।

 

এবারের মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে ইব্রাটাস ট্রেডিং কোম্পানী, গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ইন্টার এগ্রো বিডি লিমিটেড এবং সিলভার স্পন্সর হিসেবে আদিয়ান এগ্রো লিমিটেড পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২৩ ১:৩৫ অপরাহ্ন
5th AHCAB International Expo 2023 Starts on 30th November 2023
প্রাণিসম্পদ

The 5th AHCAB International Expo 2023, organized by the Animal Health Companies Association of Bangladesh (AHCAB), is a significant event aimed at showcasing technological advancements in animal and aqua farm management. The expo will take place from 30th November to 2nd December 2023 at the International Convention City Bashundhara (ICCB) in Dhaka, Bangladesh, from 10:00 AM to 7:00 PM.

The exhibition has garnered support from the Ministry of Commerce and the Ministry of Fisheries & Livestock, Government of Bangladesh.

A total of 215 companies from various countries, including Bangladesh, Egypt, Germany, India, Poland, South Korea, Romania, Thailand, Vietnam, and others, will participate to demonstrate their contributions to ensuring the supply of safe animal proteins to meet both local and international demands. Additionally, the event will address challenges related to disease and rearing of pet animals.

The Opening Ceremony, scheduled for 30th November 2023 at 10:30 AM, will be inaugurated by the Honorable Home Minister, Mr Asaduzzaman Khan, MP. Dr. Nahid Rashid, Secretary of the Ministry of Fisheries & Livestock, will attend as the Special Guest. Guests of Honor include Dr. Md. Emdadul Haque Talukder, Director General, Department of Livestock Services, and Mr. Kh. Mahbubul Haque, Director General, Department of Fisheries. Mr. Sayem ul Haq, President of AHCAB, will preside over the inaugural ceremony.

The event will also feature two key-note papers: “Smart Bangladesh: Contribution of Livestock, challenges and Opportunities” and “Potential of fisheries sector to adopt smart technologies for building smart Bangladesh.”

A diverse audience comprising farmers, investors, entrepreneurs, students, scientists, professionals, and representatives from business entities is expected to visit the expo. The sponsorship for the International Expo comes from Ibratas Trading Company as the Platinum sponsor, Inter Agro BD Ltd as the Gold Sponsor, and Adyan Agro Limited as the Silver sponsor.

Mr. Sayem ul Haq, President, and Mr. Mohammad Aftab Alam, Secretary General of AHCAB, along with Mr. Gias Uddin Khan, Convenor of the Media and IT Committee of the 5th AHCAB International Expo 2023, and other Executive Members, were present at the press conference to provide information and respond to questions about the expo.

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২৩ ১:৩৩ অপরাহ্ন
৫ম আহকাব আন্তর্জাতিক মেলা ২০২৩ শুরু ৩০ নভেম্বর ২০২৩
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশে এ্যানিমেল হেল্থ কোম্পানিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) ৫ম বারের মতো আন্তর্জাতিক মেলা আয়োজন করতে যাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা, ঢাকায় ৩ দিনের এই মেলা আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৩ হতে ২ ডিসেম্বর ২০২৩ইং পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০:০০ ঘটিকা থেকে সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকা পর্যন্ত চলবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমর্থনে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মেলায় দেশী-বিদেশী মিলিয়ে ২১৫ টি কোম্পানীর ৫৮০টি ষ্টল রয়েছে। এ মেলা দেশের মৎস্য ও প্রাণিজ খাতের সমস্যা ও এর প্রতিকার, কারিগরি উন্নয়ন, নরিাপদ আমষিরে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে ব্যাপকভাবে অবদান রাখবে। এ ছাড়াও এ মেলাতে পোাষা প্রাণির রোগ নিরাময় ও লালন পালনের বিবিধ তথ্য প্রদর্শন করা হবে।

মেলা আগামী ৩০ নভেম্বর ২০২৩ইং সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় উদ্বোধন করবেন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান, এমপি। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ডঃ নাহিদ রশিদ বিশেষ অতিথি এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক ডাঃ মো এমদাদুল হক তালুকদার এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক জনাব খঃ মাহবুবুল হক গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। জনাব সায়েম উল হক, প্রেসিডেন্ট, এ্যানিমেল হেল্থ কোম্পানীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।

এ ছাড়াও মেলার উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানে প্রাণিজ ও মৎস্য খাতের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা সংক্রান্ত বিষয়ে দুইটি গবেষনাপত্র উপস্থাপন করা হবে।

মেলায় বাংলাদেশ, চীন, মিশর, জার্মানী, ভারত, পোল্যান্ড, দক্ষিন কোরিয়া, রোমানিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাাতিক অঙ্গনে খ্যাতনামা অনেক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে এবং এ্যানিমেল হেল্থ সেক্টরে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য ও উপকরনাদি উপস্থাপন করা হবে। বাংলাদেশের প্রাণিজ সেক্টরের সকল উদ্যোক্তা, খামারী, পেশাজীবি, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগন মেলায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে এ সেক্টরের বিভিন্ন সমস্যা, প্রতিকারের উপায়, নতুন বিনিয়োগ, সম্ভাবনা ও সার্বিক বিষয়ে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে এ সেক্টরে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। মেলা চলাকালীন সময় কোন প্রকার প্রবেশ ফি ছাড়াই যে কোন দর্শনার্থী মেলা পরিদর্শন করতে পারবেন।

জনাব সায়েম উল হক, প্রেসিডেন্ট আহকাব; জনাব মোহাম্মদ আফতাব আলম, সেক্রেটারি জেনারেল আহকাব এবং এ মেলার আইটি ও মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সাব-কমিটির আহŸায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন খান ছাড়াও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এবারের মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে ইব্রাটাস ট্রেডিং কোম্পানী, গোল্ড স্পন্সর হিসেবে ইন্টার এগ্রো বিডি লিমিটেড এবং সিলভার স্পন্সর হিসেবে আদিয়ান এগ্রো লিমিটেড পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৩, ২০২৩ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
কবুতর পালন করে যুবকের ভাগ্য বদল
প্রাণিসম্পদ

কবুতর পালন করে ভাগ্য ফিরেছে বাগেরহাটের যাত্রাপুরের যুবক আইয়ুব আলীর। দেশী-বিদেশি এক হাজার কবুতর নিয়ে গড়ে তোলা তার খামার থেকে বছরে আয় হয় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। কবুতর পালনে তার এই সাফল্য দেখে এখন আগ্রহী হচ্ছেন আরও অনেকে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে প্রাণীসম্পদ বিভাগ। 

বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের মশিদপুর গ্রামের যুবক আইয়ুব আলী শেখ। ১৫ বছর আগে মাসে ১৩ হাজার টাকার চাকরী ছেড়ে দুই জোড়া বিদেশি কবুতর দিয়ে শুরু করেন কবুতর পালন। কিছুদিন যেতেই সাফল্যের দেখা পান। বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করেন কবুতর।

এখন তার খামারে ৮শ’ বিদেশী কবুতরের পাশাপাশি ২শ’ দেশী জাতের কবুতর রয়েছে। বিদেশী জাতের এক জোড়া কবুতরের ছানা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আইয়ুব আলী জানান, বছর শেষে সব খরচ খরচ বাদ দিয়ে তার ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লাভ থাকে।

আইয়ুব আলীর এমন সাফল্য দেখে স্থানীয় অনেকেই এখন কবুতর পালনে আগ্রহী হচ্ছেন।

কবুতর পালনে প্রয়োজনীয় সহযোগীতার কথা জানালেন জেলা প্রাণী বাগেরহাট সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান।

কবুতরের খামার করে অনেক লাভ হতে পারে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৫, ২০২৩ ১১:১১ পূর্বাহ্ন
গরু মোটাতাজাকরণে জৈব পদ্ধতির ব্যবহার
প্রাণিসম্পদ

গরু মোটাতাজাকরণে ইনজেকশন কিংবা গ্রোথ হরমোন ছাড়া কোন বাস্তবসম্মত উপায় নাই বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু এ্টি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং ইনজেকশনের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগে গরু মোটাতাজাকরণ ও সেই মাংস ভক্ষণ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এন্টিবায়োটিক কিংবা গ্রোথ হরমোনের ব্যবহার ছাড়াই জৈব পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে জোর দিতে হবে।

জৈব পদ্ধতিতে গরুমোটাতাজাকরণ করার জন্য চাই খামারীর ইচ্ছাশক্তি আর সৎ উদ্দেশ্য তাহলেই বিভিন্ন এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ব্যাতিত গরু মোটাতাজাকরণ করা সম্ভব। সেজন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করলেই চলবে।

মূলত গরুমোটাতাজাকরণ বলতে অধিক মাংস উৎপাদনের জন্য ২ থেকে ৩ বছর বয়সের শীর্ণকায় গরুকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় খাদ্য সরবরাহ করে হৃষ্টপুষ্ট গরুতে রূপান্তরিত করাকেই বুঝায়।

গরুমোটাতাজাকরণের গুরুত্বঃ
দারিদ্রতা হ্রাসকরণ, অল্প সময়ে কম পুঁজিতে অধিক মুনাফা অর্জন, অল্প সময়ের মধ্যে লাভসহ মূলধন ফেরত পাওয়া, প্রাণীজ আমিষের ঘাটতি পূরণ, স্বল্পমেয়াদি প্রযুক্তি হওয়ার কারণে পশু মৃত্যুর হার কম, কৃষিকার্য হতে উৎপাদিত উপজাত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে সহজেই মাংস উৎপাদন করা, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আয় বৃদ্ধি করা প্রভৃতি।

গরুমোটাতাজাকরণে জৈব পদ্ধতির ব্যবহার

মোটাতাজাকরণের সঠিক সময়:
বয়সের উপর ভিত্তি করে সাধারণত ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে গরু মোটাতাজাকরণ করা যায়। অনেক সময় ৫ থেকে ৬ মাসও সময় লাগতে পারে। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য সুবিধাজনক সময় হচ্ছে বর্ষা এবং শরৎকাল যখন প্রচুর পরিমাণ কাঁচাঘাস পাওয়া যায়। চাহিদার উপর ভিত্তি করে কোরবানী ঈদের ৫ থেকে ৬ মাস পূর্ব থেকে গরুকে উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা দিয়ে মোটাতাজাকরণ লাভজনক।

স্থান নির্বাচন:
গরু রাখার স্থান নির্বাচনে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে:

১। শুষ্ক ও উঁচু জায়গা হতে হবে, যাতে খামার প্রাঙ্গণে পানি না জমে থাকে।

২। খোলামেলা ও প্রচুর আলো বাতাসের সুযোগ থাকতে হবে।

৩। খামারে কাঁচামাল সরবরাহ ও উৎপাদিত দ্রব্যাদি বাজারজাতকরণের জন্য যোগাযোগ সুবিধা থাকতে হবে।

৪। পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকতে হবে।

৫। সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা থাকতে হবে।

গরু নির্বাচন:
উন্নত দেশের মাংসের গরুর বিশেষ জাত রয়েছে। বিদেশি গরুর জন্য উন্নত খাদ্য ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। তাই দেশীয় গরু মোটাতাজাকরণ অলাভজনক। ২ থেকে ২.৫ বছরের গরুর শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন মোটাতাজাকরণের জন্য বেশি ভাল। এঁড়ে বাছুরের দৈহিক বৃদ্ধির হার বকনা বাছুরের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। তবে বাছুরের বুক চওড়া ও ভরাট, পেট চ্যাপ্টা ও বুকের সাথে সমান্তরাল, মাথা ছোট ও কপাল প্রশস্ত, চোখ উজ্জ্বল ও ভেজা ভেজা, পা খাটো প্রকৃতির ও হাড়ের জোড়াগুলো স্ফীত, পাজর প্রশস্ত ও বিস্তৃত, শিরদাড়া সোজা হতে হবে।

গরুর খাদ্যের ধরণ:
খাদ্যে মোট খরচের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ব্যয় হয়। তাই স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত খাদ্য দ্বারা খরচ কমানো সম্ভব। এজন্য গরু মোটাতাজাকরণের একটি সুষম খাদ্য তালিকা নিচে দেওয়া হল:

ক) শুকনো খড়: দুই বছরের গরুর জন্য দৈহিক ওজনের শতকরা ৩ ভাগ এবং এর অধিক বয়সের গরুর জন্য শতকরা ২ ভাগ শুকনো খড় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে কেটে একরাত লালীগুড়/চিটাগুড় মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে প্রতিদিন সরবরাহ করতে হবে।

পানি: চিটাগুড় = ২০ : ১।

খ) কাঁচাঘাস: প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ কেজি তাজা ঘাস বা শস্যজাতীয় তাজা উদ্ভিদের উপজাত দ্রব্য যেমন- নেপিয়ার, পারা, জার্মান, দেশজ মাটি কালাই, খেসারি, দুর্বা ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে।

গ) দানাদার খাদ্য: প্রতিদিন কমপক্ষে ১ থেকে ২ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। নিচে ১০০ কেজি দানাদার খাদ্যে তালিকা দেওয়া হল:১. গম ভাঙা/গমের ভূসি-৪০ কেজি; ২. চালের কুঁড়া-২৩.৫ কেজি; ৩. খেসারি বা যেকোনো ডালের ভূসি-১৫ কেজি: ৪. তিলের খৈল/সরিষার খৈল-২০ কেজি; লবণ-১.৫ কেজি। তাছাড়াও বিভিন্ন রকমের ইউরিয়া মোলাসেস ব্লক ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি হচ্ছে ৩৯ ভাগ চিটাগুড়, ২০ ভাগ গমের ভূসি, ২০ ভাগ ধানের কুঁড়া, ১০ ভাগ ইউরিয়া, ৬ ভাগ চুন ও ৫ ভাগ লবণের মিশ্রণ।

রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা:
ক. প্রতিদিন নিয়মিতভাবে পশুর গা ধোয়াতে হবে;

খ. গো-শালা ও পার্শ্ববর্তী স্থান সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে:

গ. নিয়মিতভাবে গরুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে;

ঘ. বাসস্থান সর্বদা পরিস্কার রাখতে হবে।

ঙ. স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পরিমিত পরিমাণে পানি ও সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে।

চ. রোগাক্রান্ত পশুকে অবশ্যই পৃথক করে রাখতে হবে।

ছ. খাবার পাত্র পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

জ. খামারের সার্বিক জৈব নিরাপত্তা রক্ষা করতে হবে।

ঝ. পশু জটিল রোগে আক্রান্ত হলে পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বাজারজাতকরণ:
মোটাতাজাকরণ গরু লাভজনকভাবে সঠিক সময়ে ভাল মূল্যে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থাগ্রহণ হচ্ছে আরেকটি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়। বাংলাদেশে মাংসের জন্য বিক্রয়যোগ্য গবাদিপশুর বাজারমূল্যেও মৌসুমভিত্তিক হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। কাজেই একজন প্রতিপালককে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য অবশ্যই গরুর ক্রয়মূল্য যখন কম থাকে তখন গরু ক্রয় করে বিক্রয়মূল্যের উর্ধ্বগতির সময়ে বিক্রয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে। সাধারণত কোরবানীর ঈদের সময়ে গরুর মূল্য অত্যাধিক থাকে এবং এর পরের মাসেই বাজার দর হ্রাস পায়। তাই এখন গরু মোটাতাজাকরণের উপযুক্ত সময় এবং কোরবানীর সময় তা বিক্রি করে দেওয়া ভাল।
সূত্র: আজকের কৃষি

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop