৭:১৬ পূর্বাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ১১, ২০২১ ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
উন্নত জাতের “সুবর্ণ রুই” মাছ অবমুক্ত, বাড়বে উৎপাদন
মৎস্য

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) উদ্ভাবিত উন্নত জাতের সুবর্ণ রুই মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকাল ১১টায় বিএফআরআই মিলনায়তনে ভার্চুয়াল বৈঠকে উন্নত জাতের সুবর্ণ রুই মাছের উপকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ।

এছাড়া আরো ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বিএফআরআই মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ, বাংলাদেশ হ্যাচারি সমিতির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, উদ্ভাবিত উন্নত জাতের এই সুবর্ণ রুই মাছের চাষ দেশের কার্প জাতীয় মাছের সঙ্গে ২০ শতাংশ অধিক হারে উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, উন্নতজাতের চতুর্থ প্রজন্মের ‘সুবর্ণ রুই’ মাছ স্বাদু পানি ও আধা-লবণাক্ত পানির পুকুর, বিল, বাঁওড় এবং হাওরে চাষ করা যাবে। তাছাড়া উন্নত এ জাতের রেণু পোনা হ্যাচারি থেকে সংগ্রহ করে নার্সারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অনেকেই লাভবান হতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালে এটি যেহেতু উদ্ভাবন হয়েছে সেজন্য আমরা এর নাম দিয়েছি ‘সুবর্ণ রুই’। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সঙ্গে যেহেতু ‘সুবর্ণ’ নামের সামঞ্জস্য রয়েছে, আমরা আশা করছি মাঠপর্যায়ে এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং সহজেই সম্প্রসারিত হবে। সেই সঙ্গে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বর্তমানে দেশে চার লাখ মেট্রিক টন রুই মাছ উৎপাদন হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।

বিএফআরআই বিজ্ঞানীরা ২০০৯ সাল থেকে উন্নত জাতের কার্ফু জাতীয় রুই মাছ উদ্ভাবনে কাজ করে আসছেন। তবে তিন বছর ধরে গবেষণা এবং খামারের ট্রায়ালের মাধ্যমে এই জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়া বিএফআরআই বিজ্ঞানীরা ১০টি দেশীয় জাতের মাছ উদ্ভাবনে কাজ করে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১০, ২০২১ ৩:৫৮ অপরাহ্ন
তিস্তার তীরে ভুট্টাক্ষেতে ধরা পড়ল ১১ কেজির বোয়াল!
মৎস্য

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তা নদী তীরের ভুট্টাক্ষেত থেকে সাড়ে ১১ কেজি ওজনের একটি বড় বোয়াল মাছ ধরা পড়েছে।তিস্তা নদীতে বড় আকারের বোয়াল মাছ ধরা পড়ার খবরে বহু জেলেসহ অনেক ক্রেতার আগমন ঘটে। কিন্তু বোয়াল মাছটি জমির মালিক এলাকাবাসীর মধ্যে বিতরণ করে দিয়েছেন।

গতকাল বুধবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের রজবপাড়ায় তিস্তা নদীর তীরের ফারুকের ভুট্টাক্ষেত থেকে বোয়াল মাছটি ধরা পড়ে।

জমির মালিক ফারুক জানান, তিস্তা নদীতে পানি কমে যাওয়ার ফলে তীরবর্তী ফসলি জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। খবর পেয়ে ছুটে যাই ভুট্টাক্ষেতে। ওই সময় পানির স্রোতে ভুট্টাক্ষেতে দুটি বড় আকারের মাছ দেখা যায়। পরে এলাকার কয়কজন মিলে একটি বোয়াল মাছ ধরলেও আরেকটি মাছ নদীতে চলে যায়।

তিনি আরো জানান, সাড়ে ১১ কেজির মাছটি বিক্রি না করে উদ্ধারের সময় সহযোগীদের সবাইকে ভাগ করে বিতরণ করেছি।

এলাকার জেলে মানিক মিয়া বলেন, পানি বেড়ে কমে যাওয়ার কারণে তিস্তা নদীতে বোয়াল মাছটি ভেসে এসেছে। বোয়াল মাছ সহজে জেলেদের জালে ধরা পড়ে না। তবে বাজারে বিক্রি করলে ২০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করা যেত বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১০, ২০২১ ৮:২৭ পূর্বাহ্ন
বিলুপ্তপ্রায় পিয়ালী মাছের পোনা উৎপাদন
মৎস্য

দেশে প্রথমবারের মতো বিলুপ্তপ্রায় পিয়ালী মাছের কৃত্রিম প্রজনন ও পোনা উৎপাদন কৌশল উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের বগুড়া জেলার সান্তাহার প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা

জানা যায়, বৈশ্বিক পরিবেশ বিপর্যয় ও অতি আহরণের ফলে পিয়ালী মাছ সঙ্কটাপন্ন মাছের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তবে একসময় পদ্মা, যমুনা, বাঙ্গালী ও আত্রাই নদীতে প্রচুর পরিমাণে পিয়ালী মাছ পাওয়া যেত এই মাছ।

মলা, ঢেলা মাছের মতোই ভিটামিন ‘এ’, খনিজ উপাদান ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসে ভরা সুস্বাদু পিয়ালী মাছ অন্ধত্ব দূর করাসহ দাঁত ও হাড় গঠনে সহয়তা করে। তাই বাড়ন্ত শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের জন্য পিয়ালী মাছ অন্যতম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, করোনা সংক্রমণের মধ্যেই এক মাসের ব্যবধানে দেশিয় ছোট মাছ ঢেলা ও বাতাসীর পর এবার পিয়ালী মাছের পোনা উৎপাদন ইনস্টিটিউটের গবেষকদের জন্য এটা বিরাট সাফল্য।

ইনস্টিটিউটের গবেষণায় এ পর্যন্ত পাবদা, গুলশা, টেংরা, বাটা, ফলি, মহাশোল, খলিশা, বৈরালী, জাতপুটি, গজার, আঙ্গুস, খলিসা, মেনি, বালাচাটা, দাতিনা, গুতুম, ঢেলা, বাতাসী ও পিয়ালীসহ বিলুপ্তপ্রায় ২৯টি প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

পিয়ালী মাছের গবেষক দলে ছিলেন উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ডেভিট রিন্টু দাস, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও মালিহা খানম।

উপকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও গবেষক দলের প্রধান ড. ডেভিড রিন্টু দাস জানান, পিয়ালী মাছ আমিষ, চর্বি, ক্যালসিয়াম এবং লৌহ সমৃদ্ধ। ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণে এই মাছ দেশিয় অনেক ছোট মাছের তুলনায় বেশি কার্যকরী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৯, ২০২১ ১১:৫৩ অপরাহ্ন
কাতারে তেলাপিয়া প্রকল্পের অনুমোদন
মৎস্য

কাতারকে প্রতিবছরই প্রায় দুই হাজার টন তেলাপিয়া মাছ আমদানি করতে হয়। নির্ভরতা কমানোর জন্য ৩১০ টন করে উৎপাদনের লক্ষ্যে দুটি প্রকল্পকে লাইসেন্স প্রদান করা হবে। দেশটির চাহিদা পূরণে তেলাপিয়া মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য তৎপরতা করছে কাতার।

উপসাগরীয় দেশ কাতার প্রতি বছর ৬০০ টন তেলাপিয়া চাষের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশটির মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান মোহাম্মদ মাহমুদ আল-আব্দুল্লাহ মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি। কাতারের নগর ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, উপদ্বীপের খাদ্য-নিরাপত্তা ও উন্নত খামার নিশ্চিত করার জন্য অগ্রগতি করেছে তাদের মৎস্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরটি খামার মালিকদের সহায়তার মাধ্যমে দেশীয় বাজারে মাছের চাহিদা পূরণ ও বৈচিত্র্য বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। আর উৎপাদিত মাছগুলো কাতারে বাজারজাত করা হবে বলেও জানানো হয়। সূত্র: আরটিভি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৯, ২০২১ ৭:০৭ অপরাহ্ন
দেশীয় মাছের প্রজননকাল নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে
মৎস্য

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ বলেছেন, ‍‍“দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ রক্ষায় প্রজননকাল নির্ধারণ করে ঐ সময় মাছধরা নিষিদ্ধ করা হবে। তবে নিষিদ্ধকাল হবে স্বল্প সময়ের জন্য। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কম সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে হবে। এজন্য একটি কারিগরী কমিটি গঠন করা হবে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেপ্রয়োজনে উপজেলাভিত্তিক পাইলটিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ সংরক্ষণে সম্মিলিতভাবে কাজ করার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে জনসম্পৃক্ততাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

বুধবার (০৯ জুন) রাজধানীর মৎস্য ভবনে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত ‘বাণিজ্যিক গুরুত্বসম্পন্ন দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের প্রজননকাল নির্ধারণ ও সংরক্ষণ’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনমৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ এবং সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়েরঅতিরিক্ত সচিবশ্যামল চন্দ্র কর্মকার, যুগ্ম সচিব ড. মোঃ মশিউর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম, মৎস্য অধিদপ্তর ও বিএফআরআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক এবং মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটেরপরিচালক ড. এ এইচ এম কোহিনুর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব আরো বলেন, “দেশের মৎস্য খাতের প্রবৃদ্ধি অভাবনীয়। আমরা দেশের যে কয়টি বিষয়ে সফলতার কথা বলি, গর্বের কথা বলি মৎস্য খাত তার মধ্যে অন্যতম। জলাশয় কমে যাওয়াসহ নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বর্তমানে দেশে মাছের উৎপাদন প্রায় ৪৬ লক্ষ মেট্রিক টন।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ বলেন, “দেশীয় মাছের প্রজননকাল নিয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে নতুন প্রকল্পও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাছাড়া জনগণকে সচেতন করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাছের অভয়াশ্রম সংরক্ষণ ও বিএফআরআই উদ্ভাবিত মাছের চাষ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মৎস্য অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।”

সম্মানীয় অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। এজন্য স্থায়ীভাবে মা মাছ সংরক্ষণে বছরব্যাপী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে প্রজননকাল নির্ধারণ করে সাফল্য আসবে না।”

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, “গবেষণার ফলাফল মাঠে সম্প্রসারণ করা না গেলে গবেষণার কোন মূল্যই নেই। এজন্য বিএফআরআই এর সব গবেষণায় মৎস্য অধিদপ্তরকে সম্পৃক্ত করা হবে। তাছাড়া জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে কোন গবেষণায় সাফল্য পাওয়া যাবে না।”

কর্মশালা শেষে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত ‘বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজনন ও চাষ প্রযুক্তি নির্দেশিকা’ নামক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৯, ২০২১ ৫:২৯ অপরাহ্ন
ধামরাইয়ে বিষ দিয়ে দেড় লাখ টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য

ঢাকার ধামরাইয়ে একটি বিলে বিষ প্রয়োগের ডামে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই বিলের ওই বিলের প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ মারা গেছে বলে দাবি করেছেন মৎস্যচাষি মোহাম্মদ আলী।এই ঘটনায় দুইজনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।

বুধবার ভোরে উপজেলার হাতকোড়া ইউনিয়নে শৈলা বিলে এ মাছ নিধনের ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্তরা হলেন- ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের উত্তর হাতকোড়া এলাকার মৃত নাজিমুদ্দিনের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মজিদ (৬৫) ও একই এলাকার নছিমুদ্দিন নছু।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর প্রতি শতাংশ ১০০ টাকা হারে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ১৪০০ শতাংশ পরিমাণ জমির বিলের মাছ জাল দিয়ে আহরণ করা যাবে বিল মালিকের সাথে এমন চুক্তি হয়েছিল অভিযুক্তদের সঙ্গে। তবে এ চুক্তির মেয়াদ গত দেড় মাস আগে শেষ হয়ে যায়। এরপরও বিভিন্ন সময় মাছ ধরে আসছিলেন চুক্তিকারীরা।

গত ৭ জুন সকালে অভিযুক্তরা বিল থেকে মাছ বিক্রি করছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিল মালিক দেখতে পান বিষ প্রয়োগের কারণে সব মাছ মরে বিলের ওপর ভেসে উঠেছে।

ভুক্তভোগী বিল মালিক মোহাম্মদ আলী জানান, চুক্তি করা হয়েছিল জেলের জালের মাধ্যমে মাছ ধরার। কিন্তু বিলে বিষ প্রয়োগ করায় মাছের প্রজননেরও ক্ষতি হয়েছে। এতে অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন জানান, ওই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৯, ২০২১ ৩:২১ অপরাহ্ন
মাছ ছাড়াতে গিয়ে জালে মিলল লাশ!
মৎস্য

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিখোঁজের দুই দিন পর রুহুল আমিন (২৫) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রুহুল আমিন ঘাটাইল উপজেলার লাভলু মিয়ার ছেলে।

বুধবার (৯ জুন) সকালে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ইন্দারজানি মাদলা খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, রুহুল আমিন একজন মানসিক রোগী। সে প্রায়ই বাড়ির বাহিরে থাকতো আবার ফিরে আসতো। বাড়িতে আসা-যাওয়া থাকলেও সে গত দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিল।

ওই এলাকার জবান আলী বলেন, আমি প্রতিদিন মাদলা খালে জাল দিয়ে মাছ ধরি। বুধবার সকালে জাল থেকে মাছ ছাড়াতে যাই। গিয়ে দেখি জালে মাছের বদলে লাশ আটকা পড়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন জানান, রুহুল আমিন প্রায়ই ইন্দারজানি বাজারে আসতো। সে একজন মানসিক রোগী ছিল।

সখীপুর থানার উপ-পরির্দশক শাহিনুর আলম লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৯, ২০২১ ৮:২০ পূর্বাহ্ন
পুকুরে বিষ দিয়ে হাজারও পাঙাশ নিধন করলো দুর্বৃত্তরা!
মৎস্য

ঢাকার আশুলিয়ায় রাসেল নামের এক মৎস্য খামারির দুটি পুকুরে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে কয়েক হাজার পাঙাশ মাছ মারা গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা এখনো জানা যায়নি।

মঙ্গলবার(৮ জুন) সকালে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মোজার মিল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন দুটি পুকুরে এ অবস্থা দেখা যায়।

ভুক্তভোগী খামারি রাসেলের অভিযোগ, বছর খানেক আগেও তাঁর এই পুকুরে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। এবার দুটি পুকুরের প্রায় আট থেকে ১০ লাখ টাকার মাছ একই পদ্ধতিতে মেরে ফেলা হয়েছে।

রাসেল জানান, পুকুরগুলো তাঁর বাসা থেকে বেশ খানিকটা দূরে মোজার মিল বাসস্ট্যান্ডের পাশে। পুকুরগুলো আয়তনে প্রায় এক বিঘার মতো হবে। একটিতে ১২ হাজার ও আরেকটিতে ছয় হাজার পাঙাশের পোনা ছাড়া হয়েছিল। একেকটি পাঙাশ সবশেষ এক থেকে দেড় কেজি ওজনের হয়েছিল। এখন বাজারে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা কেজি দরে পাঙাশ বিক্রি হয়। সে হিসেবে তাঁর আট থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

রাসেল আরও জানান,‘মনে হয় সোমবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার দিকে বিষ দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে যখন মাছের খাবার দিতে এসেছি, তখন দেখি মাছ নড়ে না। পরে পুকুরে লোক নামিয়ে দেখি পানির নিচে সব মাছ মরে পড়ে গেছে। সেখান থেকে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মণ মাছ উঠিয়েছি।’

রাসেল জানান, ‘গেল বন্যায় আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ইপিজেডের বিষাক্ত পানি ঢুকে আমার এক পুকুরের প্রায় কোটি টাকার মাছ মারা যায়। অনেক টাকা ঋণ হয়ে আছি। এখন আবার এই মাছগুলো মেরে ফেলল। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল আমার।’

সাভার উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান সরকার জানান, ‘এ ধরনের বিষয়গুলোতে ডিপার্টমেন্টালি আমাদের করার মতো তেমন কিছু থাকে না। কারণ যে এখানে বিষ প্রয়োগ করেছে, এটার কোনো সাক্ষী নেই। আবার পানি পরীক্ষা করে বিষ আইডেন্টিফাই করার মতো ব্যবস্থাও আমাদের এখানে নেই। একমাত্র ময়মনসিংহে থাকতে পারে। তবে সেটাও সুনিশ্চিত না।

তিনি বলেন, এখন ভুক্তভোগীর প্রথম করণীয় হচ্ছে, উনি যদি কাউকে সন্দেহ করেন যে, সে বিষ দিয়েছে, তাহলে তিনি তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সুস্পষ্ট কারণ দেখাতে হবে। এ জন্য আমরা তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৭, ২০২১ ৪:৫৩ অপরাহ্ন
রাঙ্গুনিয়ায় পুকুরে মিলল বিরল জাতের মাছ
মৎস্য

রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় পুকুরে পাওয়া গেল ব্যতিক্রমী এক সাকার মাছ। আশেপাশের লোকজন মাছটি দেখার জন্য ভীড় করতে দেখা যায়।

রবিবার হাত জাল দিয়ে পুকুর থেকে মাছটি উঠানো হয়।

অনেকে বলাবলি করছে এমন মাছ জীবনে প্রথম দেখেছেন। বিস্ময় প্রকাশ করে অনেকে ফেসবুকেও শেয়ার করেছে এই মাছের ছবি।

তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে জানান, এটি সাকার ফিশ। এটি সাধারণত অ্যাক্যুরিয়ামে থাকে। তবে এটি ইদানিং বিভিন্ন পুকুর কিংবা খালে দেখা যাচ্ছে। এটি মাংসাশী। অন্য মাছ পেলে খেয়ে ফেলে এবং এটি খুব দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করতে পারে বলে তিনি জানান।

জানা যায়, এটি সাকার মাউথ ক্যাটফিশ অথবা কমন প্লেকো নামে পরিচিত। ক্যাটফিশ মানে শিং-মাগুর জাতের মাছ। এটির বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকোসটোমাস।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৭, ২০২১ ৯:১২ পূর্বাহ্ন
নওগাঁর আড়তে মাছ সরবরাহ বাড়লেও কমেছে দাম!
মৎস্য

নওগাঁর আড়তগুলোতে পাইকার কম থাকায় কমেছে সব ধরণের মাছের দর। কেজিপ্রতি কমেছে ২০ থেকে ৩০টাকার মত।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে রপ্তানি বন্ধ থাকায় মাছের দাম কমছে। এদিকে, চাষিরা বলছেন, মাছের খাবারের দাম বাড়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।

জানা যায়, সান্তাহার পাইকারি আড়তে মাছের দর: রুই ১২০ টাকা, কাতল ১২৫ টাকা, মৃগেল ১১০ টাকা, সিলভার কার্প ৮৫, পাঙ্গাস ৭৫ টাকা, শিং ও মাগুর ২২০ টাকা, ব্রিগেড ১২০, জাপানি কাপ, ৮৫, তেলাপিয়া, ৭০ টাকা, চাষ করা কৈ ১১৫ টাকা, টাকি ১২০ টাকা।

নওগাঁর সান্তাহারে মাছের এ আড়তগুলোতে ভোর থেকেই জমে উঠে বেচাকেনা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে মাছের সরবরাহ। স্থানীয় চাষিরা পুকুর আর জলাশয় থেকে মাছ নিয়ে আসেন এখানকার আড়তে। গত ক’দিনের তুলনায় এখানকার আড়তগুলোতে মাছের সরবরাহ আরো বেড়েছে। তবে দূরের পাইকার না থাকায় স্থানীয় বেপারীরা কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কম দরে মাছ কিনছেন। চাষিরা বলছেন, লাগাতার মাছের দর পড়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে আছেন তারা।

করোনার কারণে রপ্তানি বন্ধ থাকায় এ সময় মাছের দর কমছে বলে মনে করছেন সান্তাহার পৌর আড়ত কমিটির সহ-সভাপতি জিয়াউল হক জিয়া।

স্থানীয় মৎস্য অফিস জানায়, ১৮ হাজার নিবন্ধিত মাছ চাষি এ জেলায় বার্ষিক ৭৬ হাজার ৮ শ’ ৮৪ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করে থাকেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop