৪:৪৩ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২০, ২০২৪ ৪:০৩ অপরাহ্ন
নওগাঁর কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন
কৃষি বিভাগ

নওগাঁ জেলায় মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। মিষ্টি কুমড়া সব মানুষের একটি উপাদেয় এবং সুস্বাদু ও জনপ্রিয় সবজি। নওগাঁ সদর উপজেলার কিত্তীপুর ইউনিয়নের কির্ত্তীপুর, হরিরামপুর, মাধাইনগর ও শালুকান গ্রামের মাঠগুলোতে কুষকরা ব্যপকভাবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। এসব গ্রামের মাঠে মাঠে কেবলই মিষ্টি কুমড়ার জাংলা। যতদুর চোখ যাবে শুধুই এ ফসলের চাষ। জাংলার উপরে সবুজ লাউয়ের ডগা। আর জাংলার নিচে শুধু লাউ আর লাউ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি ভরিপ-১/২০২৩-২০২৪ এর আওতায় নওগাঁ জেলায় মোট ৪৪০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ হয়েছে। এর মধ্যে কেবল নওগাঁ সদর উপজেলার এ এলাকায় চাষ হয়েছে ১২৫ হেক্টর জমিতে। ফেব্রুয়ারী/ মার্চ মাসে জমিতে মিষ্টি লাউয়ের চারা রোপণ করতে হয়। আর জুলাই মাস থেকে ফসল বাজারজাত করন শুরু হয়।

মিষ্টি লাউ একটি লাভজনক ফসল। জাংলা তৈরী, কুমড়ার জমি প্রস্তুত, পরিচর্যা, সার কীটনাশক ইত্যাদি বাবদ প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় প্রায় ২০ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমি থেকে কমপক্ষে ২ হাজার কেজি কুমড়া উৎপাদিত হয়ে থাকে। বর্তমান বাজার প্রতি কেজি ২৫ টাকা হিসেবে ২ হাজার কেজি লাউয়ের বিক্রি মুল্য ৫০ হাজার টাকা। ফলে এক বিঘা জমি থেকে সমুদয় খরচ বাদ দিয়ে কৃষকরা প্রায় ২৫ থেকে ৩০- হাজার টাকা লাভ করতে পারেন
মাধাইনগ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র এনামুল হক তাঁর আড়াই বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন। তাঁর মোট খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। তিনি এ মওসুমে প্রায় ৫ হাজার কেজি কুমড়া বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমান বাজার অনুযায়ী তিনি কমপক্ষে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করতে পারবেন। একই ভাবে হরিরামপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র মুকুল তাঁর দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন মিষ্টি কুমড়া । তিনি তাঁর এ দেড় বিঘা জমি থেকে কুমড়া বিক্রি করে প্রায় লাভ করবেন প্রায় ৪৫ হাজার টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন খরিপ-১ এর আওতাভুক্ত এটি একটি উপাদেয় এনপ্রিয় সবজি। এটি ভিটামিন, প্রোটিন ও আয়রন সমৃদ্ধ একটি সবজি। মানুষের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। এ ফসল মোটামুটি লাভজনক হওয়ায় কৃষি বিভাগ কৃষকদের মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে উৎসাহিত করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৫, ২০২৪ ৯:০২ পূর্বাহ্ন
নওগাঁয় পাট কাটা কার্যক্রম চলছে
কৃষি বিভাগ

নওগাঁ জেলায় পাট কাটার মওসুম চলছে। ইতিমধ্যে জমি থেকে পাট গাছ কেটে পানিতে জাগ দেয়া ও পচন শেষ হলে আঁশ আলাদা করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।  এ বছর জেলায় মোট তিনহাজার পাঁচশ’ ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। মূলত দেশী, তোষা এবং মেস্তা- এ তিন জাতের পাট চাষ করেছেন জেলার কৃষকরা।

চলতি মৌসুমে জেলার নওগাঁ সদর উপজেলায় ২৮৫ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ৫০ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ১৩৫ হেক্টর, বদলগাছী উপজেলায় ৫৭৫ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ১২০ হেক্টর, পতœীতলা উপজেলায় ৭৫ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ৮৫৫ হেক্টর এবং মান্দা উপজেলায় একহাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে । তবে, জেলার সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় কোন পাট চাষ হয়নি।
জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় দুইহাজার হেক্টর জমির পাট কাটা সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছর জেলায় পাঁচহাজার পাঁচশ’ ৫০ মেট্রিক টন বা একলাখ ৩৮ হাজার ৭৫০ মন পাট উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মওসুমে জেলার দুইহাজার প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে একবিঘা জমির বিপরীতে জনপ্রতি এককেজি করে পাট বীজ দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২৪ ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
শরীয়তপুরের জাজিরায় বর্ষাকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত কৃষক
কৃষি বিভাগ

শরীয়তপুর জেলার অন্যতম সবজি উৎপাদনকারী উপজেলা জাজিরা। জাজিরাকে জেলার শস্য ভান্ডারও বলা হয়। সারা বছরই মৌসুম ভিত্তিক সবজি উৎপাদন করে থাকেন এখানকার কৃষকরা। এবারও এখানকার কৃষকরা বর্ষাকালীন সবজি আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত দুই বছর কৃষকরা সবজির দাম ভালো পাওয়ায় আবাদের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছেন। মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাতের ফলে সবজির ভালো ফলনেরও আশা কৃষকসহ কৃষি বিভাগের। উপজেলায় এবার বর্ষকালীন সবজি আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। তুলনামূলক উঁচু জমিতে ইতিমধ্যে ১শ’ ৩৫ হেক্টরে সবজি আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। কৃষকরা আশা করছেন আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই তারা বাজারে সবজি বিক্রি করতে পারবেন।
জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: ওমর ফারুক বাসস’কে বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও জেলার সবজি ভান্ডার খ্যাত জাজিরা উপজেলার কৃষকরা বর্ষাকালীন সবজি আবাদে ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। জমির উপযোগীতা অনুযায়ী তুলনামূলক উঁচু জমিতে অধিক লাভের আশায় ১৩৫ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ সম্পন্ন করেছেন। আশা করা যায় কোন ব্যত্যয় না ঘটলে আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই কৃষক বাজারে সবজি তুলতে পারবেন। উপজেলার ৬শ’ ৫০ হেক্টর সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বাকিটা আগস্ট মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলেও তিনি জানান।
কৃষি বাণিজ্যিকীকরণের এ সময়ে উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে কৃষককে অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভবান করতে আমরা মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছি। আমরা কৃষকদেরকে মালচিং ও বেড পদ্ধতিতে জমির প্রকারভেদে বেগুন, শশা, করলা, লাউ, কাঁচামরিচ, ধুন্দলসহ বিভিন্ন শাক—সবজি আবাদে উদ্বুদ্ধ করছি। আশা করছি কৃষকরা তাদরে কাংখিত ফলন পেয়ে অধিক লাভবান হবেন।
উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের মিরাশার গ্রামের কৃষক, ফরহাদ খান বলেন, গত দুই বছরে আমরা সবজির দাম ভালো পাওয়ায় এবার বেশি জমিতে সবজি আবাদ করছি। বড় কোন প্রাকৃতি দুর্যোগ বা সমস্যা না হলে বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করে এক লাখ ২০ হাজার থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।
একই গ্রামের কৃষক মো: ফারুক মোল্লা বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় আমাদের সবজি খুব সহজেই ঢাকায় পাঠাতে পারছি বলে আগের তুলনায় দাম বেশি পাচ্ছি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগীতায় তাই আমরাও আগের তুলনায় কম উৎপাদন খরচে বেশি লাভবান হচ্ছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৮, ২০২৪ ৯:০৬ পূর্বাহ্ন
নওগাঁ জেলায় মাঠে মাঠে চলছে আমন রোপণের উৎসব
কৃষি বিভাগ

উদ্বৃত্ত ধান উৎপাদনের জেলা নওগাঁয় মাঠে মাঠে চলছে প্রধান ফসল আমন ধান রোপণের উৎসব। কৃষকরা তাঁদের জমিতে আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলা জুড়ে মাঠে মাঠে আধুনিক প্রযুক্তি কলের লাঙ্গল দিয়ে জমিতে চাষ দেয়ার দৃশ্য। খন্ড খন্ড জমিতে সারিবদ্ধভাবে শ্রমিকের চারা রোপনের শৈল্পিক চিত্র আবহমান গ্রাম বাংলার চিরায়ত রুপ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে জেলায় মোট ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। এর মধ্যে হাইব্রীড জাতের ৯৭৫ হেক্টর, উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ১৮ হাজার ৮৮৫ হেক্টর।
মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় মোট ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধপানের চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬৮ শতাংশ। আমন ধানের চারা রোপণের শেষ তারিখ আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর। কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা চলতি মৌসুমে আমন ধানের উৎপাদনের পরিমাণ ধার্যকৃত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে।
কৃষি বিভাগের সূত্র মোতাবেক জেলায় উপজেলা ভিত্তিক আমন ধান চাষের পরিমাণ হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় ১০ হাজার ৫৯০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ১৯ হাজার ৬৮৫ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ৬ হাজার ২৭৫ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ১৪ হাজার ৪৮৫ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৮ হাজার ৬৭০ হেক্টর, পতœীতলা উপজেলায় ২৩ হাজার ৬২০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ২১ হাজার হেত্টর, সাপাহার উপজেলায় ৯ হাজার ৮৭৫ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ১৫ হাজার ৪০৫ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১৬ হাজার হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ৩০ হাজার ৬৯৫ হেক্টর।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১, ২০২৪ ৯:০০ পূর্বাহ্ন
পাট গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

আবহাওয়া অনুকূল আর সার সঙ্কট না থাকার ফলে কুমিল্লায় এ বছর সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর যথাসময়ে ভালো বৃষ্টিপাত, ভালবীজের সহজলোভ্যতা এবং সারের সঙ্কট না থাকার কারণে লক্ষমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়েছে। আবাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল, তার চেয়ে ৪শ’ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। এখন পাটের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কৃষক মনির হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমি চাষে খরচ হয়েছে প্রায় আট হাজার টাকা।

পিপুইয়া গ্রামের পাটচাষী সুলতান মিয়া জানান, তিনি এ বছর ২ বিঘা জমিতে পাট রোপণ করেছিলেন। ফলন ভাল হয়েছে। রোগবালাই মুক্ত পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন। একই কথা জানালেন, বাশরা গ্রামের পাট চাষী গোলাম কিবরিয়া। তিনি পাটের নায্য মূল্য আরও বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বলেন, এক সময়ে জেলার অনেক কৃষক পাট চাষ করত। এখনও পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ আছে। তাই নায্য মূল্য পেলে অনেকেই পাট চাষের দিকে ঝুঁকবেন।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমে যাওয়ায় কুমিল্লায় পাটের চাষাবাদ কমে গিয়েছিলো। তবে পাটের বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায় হওয়ায় এ জেলায় ধীরে ধীরে পাটের চাষাবাদ বাড়তে শুরু করেছে। পাটের চাহিদা বাড়ায় কুমিল্লার কৃষকেরা বিগত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে অধিক পাট চাষ করেছেন। এ জেলায় এ বছর ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাটের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশি, তোষা জাতের পাট। মৌসুমের এ সময়টাতে পাটের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা।

কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বাসসকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ মৌসুমে কুমিল্লায় পাটচাষ করায় এবার ফলন ভাল হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা তাদের সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৫, ২০২৪ ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
দিনাজপুরে ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ
কৃষি বিভাগ

চলতি আমন মৌসুমে খরিপ-১, এ-২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দিনাজপুর জেলা কৃষি বিভাগ। এই জেলায় এ পর্যন্ত আগাম জাতের ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে।
ভরা মৌসুমে এখন জেলার প্রতিটি উপজেলায় কৃষকেরা আমন ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান মিয়া এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, জেলায় চলতি আমন চাষ মৌসুমে খরিপ-১, এ ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ২ লাখ ৩৬ হজার ২৫০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ২৫ হাজার ১৫০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের জন্য রয়েছে ৯ হাজার ১৫০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টন চাল।

চলতি বর্ষা মৌসুমে ভালো বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে রোপা আমন চাষে এবার কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গত ৫ জুলাই থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় প্রায় ১ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
রোপা আমন চাষের জন্য উপজেলা ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। দিনাজপুর সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ৫০০ হেক্টর, বিরল উপজেলায় ২৪ হাজার ৫০০ হেক্টর, বোচাগঞ্জ উপজেলায় ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর, কাহারোল উপজেলায় ১৪ হাজার ৭০০ হেক্টর, বীরগঞ্জ উপজেলায় ২৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর, খানসামা উপজেলায় ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর, চিরিরবন্দর উপজেলায় ২৪ হাজার ৪০০ হেক্টর, পার্বতীপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৭৫০ হেক্টর, ফুলবাড়ী উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, বিরামপুর উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, হাকিমপুর উপজেলায় ১২ হাজার ১৫০ সেক্টর ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হবে।

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় চলতি আমন মৌসুমে রোপা আমন চাষ সফল করতে ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। গত মৌসুমে জেলায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের সূত্র অনুযায়ী জেলায় এবার বোরো চাল উৎপাদন হয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন চাল। জেলায় বোরো ধান কাটা ও মাড়াই ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। কৃষকরা এখন তাদের জমিতে রোপা আমন চাষের প্রস্তুতি শুরু করেছে। চলতি জুলাই মাসের প্রথম থেকেই জেলায় আগাম জাতের আমন ধান রোপন কার্যক্রম শুরু করেছে কষকেরা।

কৃষি বিভাগ আরো জানায়, চলতি আমন মৌসুমে বাম্পার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ জন্য বিএডিসি বিভাগ পর্যাপ্ত পরিমাণ কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী রাসানিয়াক সার তাদের গুদামে আগাম মজুদ রেখেছে। বিএডিসি তালিকাভুক্ত জেলায় ১২৬ জন রাসায়নিক সারের ডিলারদের গতকাল ১১ জুলাই এর মধ্যেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী ইউরিয়া, ডিওপি, টিএসপি এবং এমওপি সার সরবরাহ করা হয়েছে। প্রত্যেক ডিলারের অধীনে ৩ জন করে সাব ডিলার রয়েছে। কৃষকদের আমন চাষে রাসায়নিক সারের কোন ধরনের ঘাটতি না হয় এজন্য বাজারে সারের অবাধ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৪, ২০২৪ ৩:৪৩ অপরাহ্ন
এক জমিতে বছরে চার ফসল ফলিয়ে লাভবান হচ্ছেন কুমিল্লার কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

এক জমিতে বছরে চার ফসল ফলিয়ে লাভবান হচ্ছেন কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার কৃষকরা । এক সময় এই গ্রামের কৃষকরা মৌসুমে দুইবার ধান চাষ করতো। বাকি সময় জমি খালি পড়ে থাকতো। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সেখানে সরিষা ও তিল চাষ করা হচ্ছে। চার ফসল হিসেবে ফলানো হচ্ছে সরিষা, তিল, রোপা আউশ ও রোপা আমন।

কৃষি অফিসের সূত্রমতে, উপজেলার পাহাড়পুর এলাকায় ৬০ বিঘা জমিতে বারি সরিষা ১৪ চাষ করা হয়। সরিষা ফসল তোলার পর ২০ বিঘা জমিতে বিনাতিল-২, বারি তিল-৪ এবং হোমনার স্থানীয় তিল চাষ করা হয়েছে। এক জমিতে বছরে চার ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
সূত্রমতে, এই মাঠে বিঘাপ্রতি ৪-৫ মণ তিল উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য ১৬-১৮ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ ১২-১৪ হাজার টাকা। সরিষা উৎপাদন হয় বিঘাপ্রতি ৪-৫ মণ, যার বাজার মূল্য ১৬-২০ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ ১২-১৬ হাজার। আউশ ধান বিঘা প্রতি ১৪ মণ করে ফলন হলে আয়-১৫ হাজার টাকা, ব্যয়- ১১ হাজার টাকা ধরলে লাভ হতে পারে ৪ হাজার টাকা।

স্থানীয় কৃষক রমজান হোসেন বাসস’কে বলেন, রবি মৌসুমে সরিষা চাষের পর পাহাড়পুর গ্রামের মাঠের জমিগুলো পতিত থাকতো। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের তিল চাষের পরামর্শ দেয় ও বীজ বিতরণ করে। শুরুতে তিল চাষের অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে সকল শঙ্কা কাটিয়ে ২০ বিঘা জমিতে তিল চাষ সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে জমির পরিস্থিতি দেখে বিঘা প্রতি ১২-১৪ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বাসস’কে জানান, বোরো-রোপা আমন শস্য বিন্যাসের স্থলে সরিষা-তিল-রোপা আউশ- রোপা আমন শস্য বিন্যাসে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত আয় সম্ভব গড়ে ২৫ হাজার টাকা। পাহাড়পুরের মোট ৮০ বিঘা জমিতে প্রতি বছর অতিরিক্ত ২০ লাখ টাকা যুক্ত হবে অর্থনীতিতে। যা দেশে তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১০, ২০২৪ ৪:৩৯ অপরাহ্ন
শরীয়তপুরে ৪৮৬ কোটি টাকার পাট উৎপাদনের আশা
কৃষি বিভাগ

জেলায় এবার ৬৪ হাজার ৮৩১ টন পাট উৎপাদন হবে বলে আশাবাদ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের। যার বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী মূল্য ৪৮৬ কোটি ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। পাটের বাজর দর ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশাবাদি কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শরীয়তপুর সূত্র বাসসকে জানায়, জেলার ছয় উপজেলায় চলতি ২০২৩-২৪ খরিপ-১ মৌসুমে পাট আবাদ হয়েছে ২৮ হাজার ৮১৪ হেক্টর জমিতে। ফলন অনুযায়ী ৬৪ হাজার ৮৩১ টন ফলন পাওয়ার আশা কৃষি বিভাগের। বর্তমান বাজার অনুযায়ী (প্রতি মণ ৩২০০-৩৬০০ টাকা) ৪৮৬ কোটি ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন কৃষক। আবাদকৃত জাতের মধ্যে রয়েছে দেশী, তোষা, মেসতা ও কেনাফ জাতের পাট। আবাদকৃত পাটের মধ্যে সবচাইতে বেশি (৭২ শতাংশ) আবাদ হয়েছে তোষা জাতের। জেলার জাজিরা উপজেলায় সবচাইতে বেশি ৯ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। এর পর পর্যায়ক্রমে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৪০১, গোসাইরহাট উপজেলায় ৩ হাজার ৯০৯, নড়িয়া উপজেলায় ৩ হাজার ৭১০, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৩ হাজার ১৩০ ও ডামুড্যা উপজেলায় ১ হাজার ৮৩৪ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
নড়িয়া উপজেলার রাজ নগর ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের পাট চাষি আলাউদ্দিন মাদবর বলেন, পাট আবাদের সময় আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবার পাটের ফলন কিছুটা কম হবে। প্রচন্ড খরার কারনে জমিতে পাটের বীজ বোনার পর তা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সেচের ব্যবস্থা করে আবার বীজ বোনায় খরচ একটু বেশি হয়েছে। আবার অতি খড়ার কারনে ফলনও কম হবে। আগে গত মৌসুমে যেখানে বিঘায় ৮—১০ মণ ফলন পেয়েছি, এবার সেখানে বিঘায় কিছু-কিছু জমিতে ফলন দেড় থেকে দুই মণ কম হবে। গতবছর আমি ৩ বিঘা জমিতে পাট আবাদ কলে লাভবান হওয়ায় এবার ৮ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলাম। তবে গতবারের চেয়ে দাম বেশি থাকায় ফলন একটু কম হলেও টাকায় পুষিয়ে যাবে। তবে ভরা মৌসুমের সময় সিন্ডিকেট করে ফড়িয়ারা যাতে পাটের দাম না কমিয়ে দেয় সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার নজরদারি আশা করছি।
জাজিরা উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের মিরাশার গ্রামের কৃষক কামাল মাদবর বলেন, গত দুইবছর থেকে আমি নিজেদের উৎপাদিত রবি—১ জাতের লাল পাট আবাদ করছি। এ জাতের পাটের খড়া ও পানি সহিষ্ণুতা একটু বেশি হওয়ায় খড়াও ফলন কমবে না। ৫ বিঘাতে আমি ৪৫—৪৮ মণ ফলন পাব বলে আশা করছি
শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের কৃষক মামুণ খান বলেন, এবার আমার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। খরার কারনে আমাকে একটু সেচ বেশি দিতে হয়েছে। তবে গতবারের চেয়ে বাজার দর ভালো থাকায় আমার পুষিয়ে যাবে। আমার ৬ বিঘা জমি থেকে ৪৮-৫৩ মণ পর্যন্ত ফলন পাবো বলে আশা করছি। বর্তমানে প্রতি মণ পাট পাইকাররা ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকায় কিনছেন। যদি ভরা মৌসুমে সিন্ডিকেট করে দাম না কমায় তাহলে আমি বেশ লাভবান হবো।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুহুল আমিন বলেন, পাট উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কৃষকদেরকে প্রণোদনা, কারিগরি সহায়তা ও মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করে আসছি। আমরা পাটের সঙ্গে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে উচ্চফলনশীল জাতের আমন ধান আবাদে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করার ফলে কৃষকরাও বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ১০ মণ পর্যন্ত ধান পাচ্ছেন। ফলে সামগ্রিকভাবে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কিছুটা কমে আসছে। আর কৃষকরাও আগের চেয়ে কিছুটা বেশি লাভবান হচ্ছেন।
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল হোসেন বাসস’কে বলেন, কৃষি নির্ভর শরীয়তপুর জেলার কৃষকদেরকে অধিক লাভবান করতে মাটির উপযোগিতা অনুযায়ী ফসল আবাদে প্রণোদনা, মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পাশে রয়েছি। ফলশ্রুতিতে জমির উপযোগিতা অনুযায়ী কষকরা যে কোন ফসলের সঙ্গে সাথী ও অতিরিক্ত ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আমরা খোরপোশ কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তরিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। যাতে করে কৃষক অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন। এবার অতি খরার কারণে পাট আবাদ ও ফলন কিছুটা কম হলেও ভালো দামের কারনে শেষ পর্যন্ত কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। জেলার কৃষকগণ পাট কর্তন শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে ২৫ শতাংশ কর্তন হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২৪ ১০:০১ পূর্বাহ্ন
কৃষিক্ষেত্রে ২২ জন এআইপি সম্মাননা পাচ্ছেন
কৃষি বিভাগ

ঢাকা, ৫ জুলাই, ২০২৪ (বাসস) : কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা-২০২১ পাচ্ছেন ২২ জন। এআইপি নীতিমালা ২০১৯-এর আলোকে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ৫টি ক্যাটাগরিতে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। তার আলোকে ২০২০ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে এ সম্মাননা। ২০২০ সালে এআইপি পেয়েছিলেন ১৩ জন।
আগামী ৭ জুলাই সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ সালের এআইপি পুরস্কার প্রদান করা হবে। এতে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ প্রধান অতিথি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। ২০২২ ও ২০২৩ সালের এআইপি নির্বাচনের কাজ চলমান আছে।
স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত কৃষি সংগঠন শ্রেণিতে তিন জনকে এআইপি নির্বাচিত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাইখ সিরাজ, পরিবেশ বিষয়ক সংগঠক চট্টগ্রাম ভিত্তিক সংগঠন তিলোত্তমার প্রতিষ্ঠাতা সাহেলা আবেদীন ও সমবায় উদ্যোক্তা সাতক্ষীরার ধানদিয়া সিআইজি মহিলা সমবায় সমিতির সভাপতি শিখা রানী চক্রবর্তী।

জাত বা প্রযুক্তি উদ্ভাবন শ্রেণিতে নির্বাচিত ব্যক্তিরা হলেন এসিআই অ্যাগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এ কে এম ফারায়েজুল হক আনসারী, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বিষমুক্ত নিরাপদ সবজির কৃষি উদ্যোক্তা এম এ মতিন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য চুয়াডাঙ্গার জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. ওলি উল্লাহ এবং জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের জন্য বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাশ।
কৃষি উৎপাদন, বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প শ্রেণিতে ১০ জন এআইপি হয়েছেন। তাঁরা হলেন উন্নতজাতের ফলচাষের জন্য টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের কৃষি উদ্যোক্তা মো. ছানোয়ার হোসেন, পেঁয়াজ বীজ চাষের জন্য ফরিদপুরের খান বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী শাহীদা বেগম, সাথী ফসল উৎপাদন করে জমির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য খুলনার ডুমুরিয়ার কৃষি উদ্যোক্তা সুরেশ্বর মল্লিক, ফলচাষের জন্য চুয়াডাঙ্গার জীবন নগরের গ্রিন প্ল্যানেট অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো. রুহুল আমীন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অ্যাগ্রো বেইজড সোশিও ইকোনমিক্যাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন, দুগ্ধ উৎপাদনে পাবনার ঈশ্বরদীর তন্ময় ডেইরি খামারের স্বত্বাধিকারী মো. আমিরুল ইসলাম, মাছ চাষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আল বারাকা মৎস্য খামার অ্যান্ড হ্যাচারির স্বত্বাধিকারী মাছুদুল হক চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মৌচাষী কৃষি উদ্যোক্তা মো. রফিকুল ইসলাম, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ফলচাষী সিরাজ, বহুমুখী খামারের স্বত্বাধিকারী মো. সিরাজুল ইসলাম ও শেরপুর সদর উপজেলার ফলচাষী মা-বাবার দোয়া ফ্রুট গার্ডেন নার্সারি অ্যান্ড অ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. হযরত আলী।
রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন শ্রেণিতে দুজন এআইপির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। বৃক্ষরোপণ ও বনসাই নার্সারীর জন্য গাজীপুর সদর উপজেলার লিভিং আর্ট গার্ডেনের পরিচালক কে এম সবুজ ও বারোমাসি আম চাষি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের কৃষি উদ্যোক্তা মোহা. রফিকুল ইসলাম।
বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শ্রেণিতে তিনজনকে এআইপি নির্বাচন করা হয়েছে। জৈবসার ও কেঁচোসার উৎপাদক নীলফামারীর ডোমার উপজেলার অন্নপূর্ণা অ্যাগ্রো সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী রাম নিবাস আগরওয়ালা, বাণিজ্যিক কৃষি খামারি হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জের অমিত ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মায়া রানী বাউল ও সফল বীজ উৎপাদকারী পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা মো. আবদুল খালেক।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এআইপি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর মোট ৫টি বিভাগে এআইপি সম্মাননা প্রদান করা হয়ে থাকে। এআইপি কার্ডের মেয়াদকাল হচ্ছে ১ বৎসর। এআইপিগণ সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পান। এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রণালয় হতে একটি প্রশংসাপত্র, সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ এবং বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার। এছাড়া নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার সুবিধা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২, ২০২৪ ৭:০৭ অপরাহ্ন
দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজের উৎপাদন বাড়াতে হবে’ পিকেএসএফ আয়োজিত কর্মশালায় বক্তাদের অভিমত
কৃষি বিভাগ

বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বাড়াতে হবে। গত ২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার, ঢাকার পিকেএসএফ ভবনে ‘মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা পূরণে পিকেএসএফ-এর উদ্যোগ’ শীর্ষক একটি কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার dviæK, উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন এবং সাবেক সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এতে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ শাহজাহান কবীর, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট (ব্রি) এবং মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পিকেএসএফ। সমন্বিত কৃষি ইউনিট-এর কার্যক্রম শীর্ষক উপস্থাপনা প্রদান করেন তানভীর সুলতানা, উপ-মহাব্যবস্থাপক (সমন্বিত কৃষি), পিকেএসএফ। অনুষ্ঠানে ‘মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা পূরণে পিকেএসএফ-উদ্যোগ’ শীর্ষক উপস্থাপনা প্রদান করেন ড. মোঃ আব্দুল মালেক, মহাব্যবস্থাপক (সমন্বিত কৃষি), পিকেএসএফ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন দেশের কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে দেখা যায়, ২০২২-২৩ বছরে বিভিন্ন ফসলের মোট বীজের চাহিদা ১২,১০,৩৫১ টন হলেও বিএডিসি, ডিএই ও বিএমডিএ- এর উৎপাদিত বীজ এবং বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে উৎপাদিত ও আমদানিকৃত বীজের পরিমাণ ৩,৬১,২৬৪ মে. টন, যা মোট দেশীয় চাহিদার মাত্র ৩০%।

পিকেএসএফ সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় কৃষক পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে ফসলের (ধান, সরিষা, ডাল, পেঁয়াজ) বীজ উৎপাদন করছে। সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে এ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop