৭:০০ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২৪ ৭:৫৩ অপরাহ্ন
বিনা’র বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০২৪-২০২৫ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি থেকে : বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনা’র পাঁচ দিন ব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৭ জুন ২০২৪) ৩টি বৈজ্ঞানিক সেশন অনুষ্ঠিত।সেশন ৩টি সভাপতিত্ব করেছেন পৃথকভাবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.আরিফ হাসান খান রবিন,অধ্যাপক ড. আব্দুল মোমেন মিয়া এবং বিনার পরিচালক ড.শরিফুল হক ভূঞা। বিনার বিভিন্ন গবেষণা নিজ বিভাগের বিজ্ঞানীরা তাদের আগামী পরিকল্পনা বিভিন্ন সেশনে পাউয়ার পয়েন্টের উপস্থাপনার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের সামনে তুলে ধরেন ।

গত মঙ্গলবার ২৫ জুন বিনা’র সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিনা’র মহাপরিচালক ড.আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয় গবেষণা শাখা এর যুগ্ম সচিব রেহানা ইয়াছমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপসচিব ও সম্প্রসাণ-৩ কৃষি মন্ত্রনালয় দেবীচন্দ, ময়মনসিংহ অঞ্চল ডিএই এর অতিরিক্ত পরিচালক আবু মোঃএনায়েত উল্লা,পরিচালক (প্রশিক্ষক ও পরিকল্পনা)বিনা ড.শরিফুল হক ভূইয়া প্রমুখ।সিএসও (গবেষণা সমন্বয়কারী),ডক্টর মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বিনা-এর ২০২৩-২৪ সালের গরেষণার অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ উপস্থাপনা করেন। ক্রপ ফিজিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.মঞ্জুরুল আলম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ডল স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিনার প্রতিটি সাবস্টেশনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পলানের জন্য বিনার গবেষকদের পরামর্শ প্রদান করেন।বিনার বিজ্ঞানীরা কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখায় ভূয়সী প্রশংসা করেন ।
বিনা’র বিজ্ঞানীরা আগামী এক বছরে যেসমস্ত গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে সেই সমস্ত গবেষণা কার্য্যক্রমের পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সামনে উপস্থাপন করবেন । আগামী ২দিন বিজ্ঞানীরা বিশেষজ্ঞগনের উপস্থিততে গবেষণা পরিকল্পনা চূলচেরা বিশ্লেষণ করে তাদের মতামত প্রদন করবেন । বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে বিনার আগামী এক বৎসরের কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করা হবে। বিভিন্ন বিভাগের উপস্থাপনার সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র বিজ্ঞানীরা উপস্থিত থাকবেন ও তাদের মতামত পেশ করবেন। ৫দিন ব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনার মূল্যায়নে ১৫০ জন বিজ্ঞানী বিভিন্ন সেশনে উপস্থিত ছিলেন যাদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জন বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী শিক্ষক এক্সপার্ট হিসাবে রয়েছেন। ২৯ জুলাই ৩টি কারিগরি সেশন এবং আগামী ০১ জুলাই ২০২৪ সোমবার ২টি কারিগরি সেশনসহ সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালাটি সমাপ্ত হবে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৪ ৮:২৭ অপরাহ্ন
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ছয়টি জেলার কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের নিয়ে রোপা আমন ধান আবাদ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনু বাকৃবি থেকেঃ মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে “আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোপা আমন ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয়” শীর্ষক এক কর্মশালায়  ১৬ জন কৃষক কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ‘কৃষক পুরস্কার’  দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৬জন উপসহকারি কৃষি অফিসার ও ১৬ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকেও কৃষিতে অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত করা হয়। 
২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষিতে অবদানের জন্য ৬ জনকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।

ময়মনসিংহের ডিএই’র অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আবু মো এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো মাহবুবুল হক পাটওয়ারী।


বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই’র সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা শাখার পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো আব্দুল লতিফ। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্যাপ প্রোটোকল অনুসরণে উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
কৃষিকে আধুনিকায়ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কর্মকর্তারা। আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোপা আমন ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক এই কর্মশালায়  দ্বিতীয় পর্বে ১৬ জন কৃষককে কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ‘কৃষক পুরস্কার’  দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৬জন উপসহকারি কৃষি অফিসার ও ১৬ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকেও কৃষিতে অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত করা হয়। 
এছাড়াও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষিতে অবদানের জন্য ৬ জনকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২০, ২০২৪ ১০:০১ অপরাহ্ন
ঝিনাইদহে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা পর্যায়ে কৃষি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের দেশের একমাত্র সংগঠন ঝিনাইদহ এগ্রিকালচারাল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো ঈদ পুনর্মিলনী ঝিনাইদহ জেলা শহরে আয়োজিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার , ২০ জুন শহরের এইড কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কৃষিবিদরা। এবছর নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর গুরুত্বারোপ করে অনুষ্ঠানে নবীনবরণের আয়োজন করা হয়।


উৎসবমুখর পরিবেশের শুরু হয় শিক্ষার্থী রহমাতুল্লাহ সজীবের পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও শিক্ষার্থী প্রকাশ সরকারের গীতা পাঠের মাধ্যমে। অতিথিদের আসন গ্রহণের পর তাদের ক্রেস্ট দিয়ে শিক্ষার্থীরা বরন করে নেন। এরপর একে একে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই মিলনমেলায় আসার অনুভূতি প্রকাশ করতে থাকেন। বিশেষ করে নবীন শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবনের শুরুতে এমন চমকপ্রদ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে অনুপ্রাণিত হবার অনুভূতি উপস্থিতিদের মাঝে প্রকাশ করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রথমে বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা নূর-ই-কুতুবুল আলম। তিনি সংগঠনের শুরুতে নানান প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়ার ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা দেন। নবীন শিক্ষার্থীরা এসোসিয়েশনকে আরো এগিয়ে নিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাবেক আহবায়ক শ.ম. মেহেদী আলম তম। এরপর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (মেহেরপুর সদর, মেহেরপুর) মোঃ মনিরুজ্জামান উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন। এরপর সংক্ষেপে বক্তব্য প্রদান করেন গোল্ডেন এগ্রোভেট লি:-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জাহিদ হাসান। সবশেষে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঝিনাইদহ) মোঃ মোশাররফ হোসেন। শিক্ষার্থীরা যেন নিজেকে ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জায়গা না করার হতাশায় যেন না পুড়ে এ ব্যাপারে অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্য দেন। দেশের কৃষি খাত থেকে অন্যান্য খাতে কৃষিবিদদের অবারিত সুযোগের কথা উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেন।


এছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. জিলহাস আহম্মেদ জুয়েল (সহযোগী অধ্যাপক, কৃষি বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি)। গবেষণা খাতে দেশে ও বিদেশে নানান সুযোগের ব্যাপারে বিস্তর ধারণা তিনি শিক্ষার্থীদের দেবার চেষ্টা করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মোঃ ইমরানুজ্জামান হৃদয় (সভাপতি, ঝিনাইদহ এগ্রিকালচারাল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন) এবং সঞ্চালনা করেন মোঃ সাইদুর রহমান (সাধারণ সম্পাদক, ঝিনাইদহ এগ্রিকালচারাল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন)।

মধ্যাহ্নভোজ শেষে ফটোসেশনের আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য দেয়ালিকা ও বছর জুড়ে কার্যক্রমের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। দেয়ালিকায় শিক্ষার্থীরা এসোসিয়েশন নিয়ে তাদের মনের কথা দেয়ালিকায় লিপিবদ্ধ করেন। সবশেষে উৎসবমুখর পরিবেশে র‍্যাফেল ড্র হবার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৩, ২০২৪ ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
কৃষকদের ওয়ান স্টপ সেবা দেবে ‘খামারী’ অ্যাপস : কৃষি সচিব
কৃষি বিভাগ

ঢাকা, ১২ জুন, ২০২৪ (বাসস): কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, কৃষকদের ওয়ান স্টপ সেবা দেবে ‘খামারী’ অ্যাপস। দেশের কৃষকরা তাদের প্রায় সব ধরনের অসুবিধার উত্তর পাবে খামারী অ্যাপসে। তিনি বলেন, দেশের জমিগুলো অতি ক্ষুদ্র, এজন্য অনেক ক্ষেত্রে বড় প্রযুক্তি জনপ্রিয় হয় না। যান্ত্রিকীকরন এগিয়ে নিতে সমবায়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আজ বুধবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) মিলনায়তনে ‘স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এসব কথা বলেন।

কৃষি সচিব বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৭ টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সাংবাদিকরা এসব প্রতিষ্ঠানে তথ্য সংগ্রহ করে। কৃষি সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করতে ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস’কে (এআইএস) সাংবাদিক-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষি তথ্য সরবরাহ করাই এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই প্রকল্পের কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান পূরবী মতিন। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের কৃষি উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’ এর উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক, চ্যানেল আই এর বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান। কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৮, ২০২৪ ৬:১২ অপরাহ্ন
আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক অবহিককরণ কর্মশালা ও কৃষক পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৪ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ আজ মঙ্গলবার (২৮ মে ২০২৪ ) সকাল ১০টায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত ) এর আওতায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক অবহিককরণ কর্মশালা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত) ডিএই কর্মশালাটি আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ,খামারবাড়ি ঢাকা এর মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক , বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প ,কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান , নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক মো:নুরুজ্জামান , এবং নাসরীন আক্তার বানু ,উপ-পরিচালক ময়মনসিংহ জেলা । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ,খামারবাড়ি ময়মসিংহের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সালমা আক্তার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প এর প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ।কর্মশালার কারিগরি সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর এমএমআর জাহাঙ্গীর।

পরে কৃষিতে কৃতিত্বপূর্ণ সফলতা অর্জন করায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ এর প্রকল্পভুক্ত ৬ জেলার ৪৮০জন কৃষককে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ৬ জেলার ৪৮জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং ৪৮জন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়া প্রকল্পের ৬ জেলার আওতাভুক্ত মোট ১২৪৮জন কৃষককে বিশেষ পুরষ্কার দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে নারস ভূক্ত বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রতিনিধি, প্রকল্পভুক্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৬ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দসহ পুরষ্কারপ্রাপ্ত কৃষক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২১, ২০২৪ ৯:২৪ পূর্বাহ্ন
গোপালগঞ্জে নতুন জাতের ব্রি হাইব্রিড ৮ ধান চাষাবাদে বাজিমাত
কৃষি বিভাগ

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) নতুন জাতের ব্রি হাইব্রিড ৮ ধান উদ্ভাবন করেছে। এই জাতের ধান গোপালগঞ্জে এই প্রথম আবাদ করে বাজিমাত করেছে কৃষক । দেশে প্রচলিত যে কোন হাইব্রিড জাতের ধানের তুলনায় ব্রি হাইব্রিড ৮ ধান অনেক বেশি ফলন দিয়েছে। এই জাতের ধান দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সেই সাথে এ জাতের ধান আবাদ করে অধিক লাভের আশা করছেন কৃষক । গোপালগঞ্জে ৮ হেক্টরে সাড়ে ১০টন ফলন দিয়েছে ব্রি হাইব্রিড ধান। গোপালগঞ্জ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক প্রধান ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলায় ২০ হেক্টর জমিতে ৫০ টি প্রদর্শনী প্লটে ব্রি হাইব্রিড ৮ ধান এর আবাদ করেছে কৃষকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা , কৃষি বিজ্ঞানী, কৃষক ও পরিসংখ্যান বিভাগের কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই প্রদর্শনী প্লট থেকে ধান কেটে মাড়াই ও পরিমাপ করা হয়। সেখানে হেক্টর প্রতি সাড়ে ১০ টন ফলন পাওয়া গেছে। এই জাতের ধান কৃষিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী গ্রামের কৃষক নাজমুল মোল্লা, রমজান সরদার, জাহাঙ্গীর গাজী, আরিফ গাজী ও মিজান মোল্লা বলেন, আমরা এর আগে হীরা হাইব্রিড ধান-২, এসএল-৮ সহ আরো অনেক জাতের হাইব্রিড ধানের আবাদ করেছি। ওইসব জাতে হেক্টরে ৮ থেকে সাড়ে ৮ টন ফলন পেয়েছি। কিন্তু ব্রি হাইব্রিড ৮ ধান চাষাবাদ করে শতাংশে ১ মনের বেশি ফলন পেয়েছি। সে হিসাবে হেক্টরে এই ধান সাড়ে ১০ টন ফলন দিয়েছে। এ ধানের চাল লম্বা। ওজনও বেশি। প্রতিটি ছড়ায় ধানের পরিমানও বেশি পেয়েছি। জমিতে আগে এতো ধান ফলেনি। এই ধান চাষাবাদে সেচ ও সার খরচ কম লেগেছে। তেমন কোন রোগ বালাই নেই। তাই কম খরচে বেশি ধান উৎপাদন করতে পেরে আমরা লাভবান হয়েছি। আমাদের দেখাদেখি অনেকেই আগামী বছর এ জাতের ধান চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার নিলফা গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ধানটি হাইব্রিড। আবার লম্বা ও চিকন। নতুন এ জাতের ধান ফলনও বেশি দিয়েছে। বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই আগামী বছর এ জাতের ধান আবাদ করব।

গোপালগঞ্জ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৃজন চন্দ্র দাস বলেন, এ ধানের জীবন কাল ১৪৫ দিন থেকে ১৪৮ দিন। ১ হাজারটি পুষ্ট ধানের ওজন ২৪.৩ গ্রাম। ধানের আকৃতি লম্বা ও চিকন এবং ভাত হয় ঝরঝরে। চালে অ্যামাইলোজ ২৩.৩% এবং প্রোটিন ৯.২%। দানার পুষ্টতা ৮৮.৬%। ভাল পরিচর্যা পেলে এ জাতের ধান ১১ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। তাই বাংলাদেশর কৃষিতে এ ধান সমৃদ্ধির আশা জাগিয়েছে।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আ. কাদের সরদার বলেন, গোপালগঞ্জে অন্তত ৭৮% জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ হয়। প্রথম আবাদে এই ধান বাজিমাত করেছে। হওর অঞ্চলসহ অনেক নিচু জলাভূমি বেষ্টিত জেলায় হাইব্রিড ধানের আবাদ হয়ে থাকে। এই জাতের ধানের আবাদ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে ধানের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই ধান অবদান রাখবে।

 

(বাসস)

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১২, ২০২৪ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
কৃষিতে আধুনিক যান্ত্রিকীকরণের ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, কৃষিতে আধুনিক যান্ত্রিকীকরণের ফলে ফসল উৎপাদন বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে।  আজ শনিবার গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় স্থাপিত সমলয়ে বোরো ধান (হাইব্রিড) কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে শস্য কর্তনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

সিমিন হোসেন রিমি বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতিহারের একটি অন্যতম লক্ষ্য ছিল। যার ধারাবাহিকতায় সরকার নানামুখী ফসল উৎপাদনের আধুনিক যান্ত্রিকীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রচেষ্টায় অনেক নতুন প্রজাতির ধানের আবিষ্কার হয়েছে। ফলে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, পূর্বে এক বিঘা জমিতে থেকে ৭-৮ মন ধান পাওয়া যেত কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে ১৫-২০ মন হয়েছে। অনেক সময় গ্রামে ধান কাটার সময় শ্রমিক পাওয়া যেত না কিন্তু কম্বাইন হারভেস্টারের এর মাধ্যমে ১৫-২০ মিনিটে এক বিঘা ধানকাটা সম্ভব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী একখন্ড জমিও খালি না রেখে বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদনের জন্য চাষী ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
প্রতিমন্ত্রী জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কৃষকদের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম, কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম লুৎফর রহমান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমন বসাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২, ২০২৪ ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লার ভুট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিতে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আগাম জাতের ভুট্টা কাটা শুরু হয়েছে। এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হওয়ায় উপজেলার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। বাজারে প্রতি মণ ভুট্টা ১২০০-১৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভুট্টার ফলন এবং দাম ভালো হওয়ায় দাউদকান্দির কৃষকরা এ বছর খুবই লাভবান হচ্ছেন।
জানা যায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ও ১টি পৌরসভায় গতবারের তুলনায় অনেক বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠে মাঠে ভুট্টার গাছগুলো দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিল। বৈরি আবহাওয়া ও কালবৈশাখীর আঘাত থেকে মুক্ত থাকায় এবারে ভুট্টার কোনো ক্ষতি হয়নি।

উপজেলার চর মাহমুদ্দী গ্রামের কৃষক রাসেল খন্দকার বাসসকে বলেন, এক বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করতে বীজ, সার, সেচ ও অন্যান্য খরচসহ মোট ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এবার প্রতিমণ ভুট্টা গ্রাম থেকেই ১ হাজার ৩০০ টাকা দরে ক্রেতারা নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি বিঘা জমির ভুট্টা প্রায় ৩৫ হাজার টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। একই গ্রামের কৃষক ময়নাল হোসেন বলেন, শুধু ভুট্টা বিক্রির টাকাই আসছে না, ভুট্টার গাছ এবং মোচা সারা বছরের রান্নাবান্নার জ্বালানির জোগান দেয়। তিনি বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভুট্টা-চাষিরা অধিক লাভবান হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর গ্রামের ভুট্টা চাষি আমির হোসেন জানান, তিনি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ভুট্টার বীজ, সারসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে ৬ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। তার ধারণা, প্রতিবিঘায় প্রায় ৫০ মণ করে ফলন হবে। তাতে ৬ বিঘা জমিতে তিনি শত মণ ভুট্টা পাবেন।

এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জামান বাসসকে বলেন, চলতি বছরে দাউদকান্দিতে ৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। যেসব কৃষক আলু উঠিয়ে ভুট্টার আবাদ করেছে সেগুলো আরো কিছুদিন পরে উঠবে। যারা আগাম আবাদ করেছে তাদের ভুট্টা উঠছে এবং প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে ১০ টন থেকে ১১ টন। ফলন এবং দাম দুটোই ভালো পাচ্ছে বিধায় কৃষকরা খুবই লাভবান হচ্ছেন। এ ছাড়াও আমরা কৃষকদের উন্নত বীজ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সব সময়ই উৎসাহ দিয়ে এসেছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৮, ২০২৪ ৩:৪৯ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামে ফল ও সবজির সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ, বিএআরআই এর সহযোগিতায় এবং স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রকল্প (এসএসিপি), বারি অংগের অর্থায়নে ফল ও সবজির সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ আজ ১৮ এপ্রিল শেষ হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ সহিদুল ইসলাম খান বলেন, উৎপাদিত ফল ও সবজির বড় একটি অংশ প্রায় শতকরা ২৩-৪৩ ভাগ যথাযথ সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নষ্ট হওয়া থেকে বাচানো সম্ভব। তিনি সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার গুরুত্বারোপ করে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।


সমাপনী অনুষ্ঠানে উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্ব আরো বক্তব্য রাখেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মসিউর রহমান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন মোল্লা, ড. মো. মনিরুজ্জামান, ড. মো. তোফজ্জল হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, যেখানে একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের দৈনিক প্রায় ২০০ গ্রাম ফল ও ৩০০ গ্রাম সবজি খাওয়া প্রয়োজন সেখানে দেশে উৎপাদিত পরিমান অনুযায়ী আমরা পাই মাত্র ৮২ গ্রাম ফল ও ১৬৬ গ্রাম সবজি। উপরন্তু উৎপাদিত ফল ও সবজির শতকরা ২৩.৬০-৪৩.৫০ ভাগ যথাযথ সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার অভাবে নষ্ট হচ্ছে। তাই ফল ও সবজির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নত উৎপাদন কলাকৌশল অবলম্বন করার পাশাপাশি সংগ্রহোত্তর পর্যায়ের অপচয় এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করাও অত্যন্ত জরুরী। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল চট্টগ্রাম রাজধানী ঢাকা থেকে অনেক দূরে হওয়ায় সেইসব এলাকার ফল ও সবজি পরিবহনে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়। ফলে অধিকাংশই সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে অপচয়ের সন্মুখীন হচ্ছে। তাই উৎপাদন ১০ % বৃদ্ধির চাইতে সংগ্রহোত্তর ক্ষতি ১% কমানো অনেক শ্রেয়। সভাপতি ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সংগ্রহোত্তর ক্ষতি কমানোর একটি বড় পদক্ষেপ হচ্ছে প্রক্রিয়াজাতকরণ। প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির বিস্তারের সাথে গ্রহণেরও নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এই লক্ষ্যেই গত ১৭ এপ্রিল হতে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৫ জন প্রশিক্ষক তৈরীর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৫, ২০২৪ ১০:০১ পূর্বাহ্ন
গোপালগঞ্জে বোরো মৌসুমে চাল উৎপাদনের লক্ষ্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৭ মেট্রিক টন
কৃষি বিভাগ

চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৭ মেট্রিকটন বোরো ধানের চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর গোপালগঞ্জে চালের উৎপাদন ২ হাজার ৫২ মেট্রিক টন বৃদ্ধি পাবে।  আর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৮১ হাজার ৬৫৩ হেক্টরে । গত মৌসুমে আবাদ হয়েছিলো ৮১ হাজার ২২৯ হেক্টরে। সেই হিসেবে এ বছর জেলায় বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪২৪ হেক্টরে।
গত বছরের চেয়ে এ বছর ২ হাজার ৫২ টন চাল বেশি উৎপাদিত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অফিস সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার বলেন, চলতি সৌমুমে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০ হাজার ৯৫৮ হেক্টরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। গত বছর হয়েছিল ২০ হাজার ৯২৮ হেক্টরে। বেড়েছে ৩০ হেক্টরে। মুকসুদপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩২৩ হেক্টরে।গত বছর চাষ হয়েছিল ১৩ হাজার ২৯১ হেক্টরে। বেড়েছে ৩৩২ হেক্টরে। কাশিয়ানী উপজেলায় চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৮৮০ হেক্টরে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১১ হাজার ৭২৫ হেক্টরে। বেড়েছে ১৫৫ হেক্টরে। কোটালীপাড়া উপজেলায় চাষ হয়েছে ২৬ হাজার ৬১৭ হেক্টরে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ২৬ হাজার ৪২০ হেক্টরে। আবাদ বেড়েছে ১৯৭ হেক্টরে।টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৫৭৫ হেক্টরে। গত বছর চাষ হয়েছিল ৮ হাজার ৮৬৫ হেক্টরে। টুঙ্গিপাড়ায় আবাদ কমেছে ২৯০ হেক্টরে। তারপরও জেলায় মোট আবাদ বেড়েছে ৪২৪ হেক্টরে। এতে গত বছরের চেয়ে ২ হাজার ৫২ মেট্রিক টন চাল বেশি উৎপাদিত হবে বলে আশা করছি ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলায় ধানের উৎপাদন ও আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭০ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ সার প্রদান করা হয়। প্রণোদনার বীজ-সার দিয়ে কৃষক ৭০ হাজার বিঘা জমি আবাদ করেছে। সব মিলিয়ে গোপালগঞ্জে চার্গেটের চেয়েও ৪২৪ হেক্টরে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গত কারণেই গোপালগঞ্জ জেলায় ধানের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩০ হেক্টর জমিতে বোরা ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কৃষককে এ ব্যাপারে সহায়তা, পরামর্শ, প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। তারা এটিকে কাজে লাগিয়ে ধানের আবাদ বৃদ্ধি করেছে। এ কারণে এ উপজেলায় প্রায় ১৪৬ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop