৩:৪১ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুলাই ১৫, ২০২৪ ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
দিনাজপুরে ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ
কৃষি বিভাগ

চলতি আমন মৌসুমে খরিপ-১, এ-২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দিনাজপুর জেলা কৃষি বিভাগ। এই জেলায় এ পর্যন্ত আগাম জাতের ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে।
ভরা মৌসুমে এখন জেলার প্রতিটি উপজেলায় কৃষকেরা আমন ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান মিয়া এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, জেলায় চলতি আমন চাষ মৌসুমে খরিপ-১, এ ২ লাখ ৭০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ২ লাখ ৩৬ হজার ২৫০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ২৫ হাজার ১৫০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের জন্য রয়েছে ৯ হাজার ১৫০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টন চাল।

চলতি বর্ষা মৌসুমে ভালো বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে রোপা আমন চাষে এবার কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গত ৫ জুলাই থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় প্রায় ১ হাজার ২’শ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপন হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
রোপা আমন চাষের জন্য উপজেলা ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। দিনাজপুর সদর উপজেলায় ২৫ হাজার ৫০০ হেক্টর, বিরল উপজেলায় ২৪ হাজার ৫০০ হেক্টর, বোচাগঞ্জ উপজেলায় ১৭ হাজার ৬০০ হেক্টর, কাহারোল উপজেলায় ১৪ হাজার ৭০০ হেক্টর, বীরগঞ্জ উপজেলায় ২৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর, খানসামা উপজেলায় ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর, চিরিরবন্দর উপজেলায় ২৪ হাজার ৪০০ হেক্টর, পার্বতীপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৭৫০ হেক্টর, ফুলবাড়ী উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, বিরামপুর উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ২৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর, হাকিমপুর উপজেলায় ১২ হাজার ১৫০ সেক্টর ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হবে।

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় চলতি আমন মৌসুমে রোপা আমন চাষ সফল করতে ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। গত মৌসুমে জেলায় বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের সূত্র অনুযায়ী জেলায় এবার বোরো চাল উৎপাদন হয়েছে ৭ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন চাল। জেলায় বোরো ধান কাটা ও মাড়াই ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। কৃষকরা এখন তাদের জমিতে রোপা আমন চাষের প্রস্তুতি শুরু করেছে। চলতি জুলাই মাসের প্রথম থেকেই জেলায় আগাম জাতের আমন ধান রোপন কার্যক্রম শুরু করেছে কষকেরা।

কৃষি বিভাগ আরো জানায়, চলতি আমন মৌসুমে বাম্পার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ জন্য বিএডিসি বিভাগ পর্যাপ্ত পরিমাণ কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী রাসানিয়াক সার তাদের গুদামে আগাম মজুদ রেখেছে। বিএডিসি তালিকাভুক্ত জেলায় ১২৬ জন রাসায়নিক সারের ডিলারদের গতকাল ১১ জুলাই এর মধ্যেই তাদের চাহিদা অনুযায়ী ইউরিয়া, ডিওপি, টিএসপি এবং এমওপি সার সরবরাহ করা হয়েছে। প্রত্যেক ডিলারের অধীনে ৩ জন করে সাব ডিলার রয়েছে। কৃষকদের আমন চাষে রাসায়নিক সারের কোন ধরনের ঘাটতি না হয় এজন্য বাজারে সারের অবাধ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১৪, ২০২৪ ৩:৪৩ অপরাহ্ন
এক জমিতে বছরে চার ফসল ফলিয়ে লাভবান হচ্ছেন কুমিল্লার কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

এক জমিতে বছরে চার ফসল ফলিয়ে লাভবান হচ্ছেন কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার পাহাড়পুর এলাকার কৃষকরা । এক সময় এই গ্রামের কৃষকরা মৌসুমে দুইবার ধান চাষ করতো। বাকি সময় জমি খালি পড়ে থাকতো। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সেখানে সরিষা ও তিল চাষ করা হচ্ছে। চার ফসল হিসেবে ফলানো হচ্ছে সরিষা, তিল, রোপা আউশ ও রোপা আমন।

কৃষি অফিসের সূত্রমতে, উপজেলার পাহাড়পুর এলাকায় ৬০ বিঘা জমিতে বারি সরিষা ১৪ চাষ করা হয়। সরিষা ফসল তোলার পর ২০ বিঘা জমিতে বিনাতিল-২, বারি তিল-৪ এবং হোমনার স্থানীয় তিল চাষ করা হয়েছে। এক জমিতে বছরে চার ফসল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
সূত্রমতে, এই মাঠে বিঘাপ্রতি ৪-৫ মণ তিল উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য ১৬-১৮ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ ১২-১৪ হাজার টাকা। সরিষা উৎপাদন হয় বিঘাপ্রতি ৪-৫ মণ, যার বাজার মূল্য ১৬-২০ হাজার টাকা। গড়ে খরচ হয় বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি লাভ ১২-১৬ হাজার। আউশ ধান বিঘা প্রতি ১৪ মণ করে ফলন হলে আয়-১৫ হাজার টাকা, ব্যয়- ১১ হাজার টাকা ধরলে লাভ হতে পারে ৪ হাজার টাকা।

স্থানীয় কৃষক রমজান হোসেন বাসস’কে বলেন, রবি মৌসুমে সরিষা চাষের পর পাহাড়পুর গ্রামের মাঠের জমিগুলো পতিত থাকতো। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের তিল চাষের পরামর্শ দেয় ও বীজ বিতরণ করে। শুরুতে তিল চাষের অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করেন। তবে সকল শঙ্কা কাটিয়ে ২০ বিঘা জমিতে তিল চাষ সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে জমির পরিস্থিতি দেখে বিঘা প্রতি ১২-১৪ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বাসস’কে জানান, বোরো-রোপা আমন শস্য বিন্যাসের স্থলে সরিষা-তিল-রোপা আউশ- রোপা আমন শস্য বিন্যাসে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত আয় সম্ভব গড়ে ২৫ হাজার টাকা। পাহাড়পুরের মোট ৮০ বিঘা জমিতে প্রতি বছর অতিরিক্ত ২০ লাখ টাকা যুক্ত হবে অর্থনীতিতে। যা দেশে তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ১০, ২০২৪ ৪:৩৯ অপরাহ্ন
শরীয়তপুরে ৪৮৬ কোটি টাকার পাট উৎপাদনের আশা
কৃষি বিভাগ

জেলায় এবার ৬৪ হাজার ৮৩১ টন পাট উৎপাদন হবে বলে আশাবাদ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের। যার বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী মূল্য ৪৮৬ কোটি ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। পাটের বাজর দর ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশাবাদি কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শরীয়তপুর সূত্র বাসসকে জানায়, জেলার ছয় উপজেলায় চলতি ২০২৩-২৪ খরিপ-১ মৌসুমে পাট আবাদ হয়েছে ২৮ হাজার ৮১৪ হেক্টর জমিতে। ফলন অনুযায়ী ৬৪ হাজার ৮৩১ টন ফলন পাওয়ার আশা কৃষি বিভাগের। বর্তমান বাজার অনুযায়ী (প্রতি মণ ৩২০০-৩৬০০ টাকা) ৪৮৬ কোটি ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন কৃষক। আবাদকৃত জাতের মধ্যে রয়েছে দেশী, তোষা, মেসতা ও কেনাফ জাতের পাট। আবাদকৃত পাটের মধ্যে সবচাইতে বেশি (৭২ শতাংশ) আবাদ হয়েছে তোষা জাতের। জেলার জাজিরা উপজেলায় সবচাইতে বেশি ৯ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। এর পর পর্যায়ক্রমে শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৪০১, গোসাইরহাট উপজেলায় ৩ হাজার ৯০৯, নড়িয়া উপজেলায় ৩ হাজার ৭১০, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৩ হাজার ১৩০ ও ডামুড্যা উপজেলায় ১ হাজার ৮৩৪ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
নড়িয়া উপজেলার রাজ নগর ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের পাট চাষি আলাউদ্দিন মাদবর বলেন, পাট আবাদের সময় আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবার পাটের ফলন কিছুটা কম হবে। প্রচন্ড খরার কারনে জমিতে পাটের বীজ বোনার পর তা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সেচের ব্যবস্থা করে আবার বীজ বোনায় খরচ একটু বেশি হয়েছে। আবার অতি খড়ার কারনে ফলনও কম হবে। আগে গত মৌসুমে যেখানে বিঘায় ৮—১০ মণ ফলন পেয়েছি, এবার সেখানে বিঘায় কিছু-কিছু জমিতে ফলন দেড় থেকে দুই মণ কম হবে। গতবছর আমি ৩ বিঘা জমিতে পাট আবাদ কলে লাভবান হওয়ায় এবার ৮ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছিলাম। তবে গতবারের চেয়ে দাম বেশি থাকায় ফলন একটু কম হলেও টাকায় পুষিয়ে যাবে। তবে ভরা মৌসুমের সময় সিন্ডিকেট করে ফড়িয়ারা যাতে পাটের দাম না কমিয়ে দেয় সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার নজরদারি আশা করছি।
জাজিরা উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের মিরাশার গ্রামের কৃষক কামাল মাদবর বলেন, গত দুইবছর থেকে আমি নিজেদের উৎপাদিত রবি—১ জাতের লাল পাট আবাদ করছি। এ জাতের পাটের খড়া ও পানি সহিষ্ণুতা একটু বেশি হওয়ায় খড়াও ফলন কমবে না। ৫ বিঘাতে আমি ৪৫—৪৮ মণ ফলন পাব বলে আশা করছি
শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের কৃষক মামুণ খান বলেন, এবার আমার পাটের ফলন ভালো হয়েছে। খরার কারনে আমাকে একটু সেচ বেশি দিতে হয়েছে। তবে গতবারের চেয়ে বাজার দর ভালো থাকায় আমার পুষিয়ে যাবে। আমার ৬ বিঘা জমি থেকে ৪৮-৫৩ মণ পর্যন্ত ফলন পাবো বলে আশা করছি। বর্তমানে প্রতি মণ পাট পাইকাররা ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকায় কিনছেন। যদি ভরা মৌসুমে সিন্ডিকেট করে দাম না কমায় তাহলে আমি বেশ লাভবান হবো।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুহুল আমিন বলেন, পাট উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কৃষকদেরকে প্রণোদনা, কারিগরি সহায়তা ও মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করে আসছি। আমরা পাটের সঙ্গে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে উচ্চফলনশীল জাতের আমন ধান আবাদে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করার ফলে কৃষকরাও বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ১০ মণ পর্যন্ত ধান পাচ্ছেন। ফলে সামগ্রিকভাবে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কিছুটা কমে আসছে। আর কৃষকরাও আগের চেয়ে কিছুটা বেশি লাভবান হচ্ছেন।
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল হোসেন বাসস’কে বলেন, কৃষি নির্ভর শরীয়তপুর জেলার কৃষকদেরকে অধিক লাভবান করতে মাটির উপযোগিতা অনুযায়ী ফসল আবাদে প্রণোদনা, মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পাশে রয়েছি। ফলশ্রুতিতে জমির উপযোগিতা অনুযায়ী কষকরা যে কোন ফসলের সঙ্গে সাথী ও অতিরিক্ত ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আমরা খোরপোশ কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তরিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। যাতে করে কৃষক অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন। এবার অতি খরার কারণে পাট আবাদ ও ফলন কিছুটা কম হলেও ভালো দামের কারনে শেষ পর্যন্ত কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আমরা আত্মবিশ্বাসী। জেলার কৃষকগণ পাট কর্তন শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে ২৫ শতাংশ কর্তন হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৭, ২০২৪ ১০:০১ পূর্বাহ্ন
কৃষিক্ষেত্রে ২২ জন এআইপি সম্মাননা পাচ্ছেন
কৃষি বিভাগ

ঢাকা, ৫ জুলাই, ২০২৪ (বাসস) : কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা-২০২১ পাচ্ছেন ২২ জন। এআইপি নীতিমালা ২০১৯-এর আলোকে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ৫টি ক্যাটাগরিতে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। তার আলোকে ২০২০ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে এ সম্মাননা। ২০২০ সালে এআইপি পেয়েছিলেন ১৩ জন।
আগামী ৭ জুলাই সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ সালের এআইপি পুরস্কার প্রদান করা হবে। এতে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ প্রধান অতিথি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। ২০২২ ও ২০২৩ সালের এআইপি নির্বাচনের কাজ চলমান আছে।
স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত কৃষি সংগঠন শ্রেণিতে তিন জনকে এআইপি নির্বাচিত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাইখ সিরাজ, পরিবেশ বিষয়ক সংগঠক চট্টগ্রাম ভিত্তিক সংগঠন তিলোত্তমার প্রতিষ্ঠাতা সাহেলা আবেদীন ও সমবায় উদ্যোক্তা সাতক্ষীরার ধানদিয়া সিআইজি মহিলা সমবায় সমিতির সভাপতি শিখা রানী চক্রবর্তী।

জাত বা প্রযুক্তি উদ্ভাবন শ্রেণিতে নির্বাচিত ব্যক্তিরা হলেন এসিআই অ্যাগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এ কে এম ফারায়েজুল হক আনসারী, কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বিষমুক্ত নিরাপদ সবজির কৃষি উদ্যোক্তা এম এ মতিন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য চুয়াডাঙ্গার জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. ওলি উল্লাহ এবং জৈব বালাইনাশক ব্যবহারের জন্য বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাশ।
কৃষি উৎপাদন, বাণিজ্যিক খামার স্থাপন ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প শ্রেণিতে ১০ জন এআইপি হয়েছেন। তাঁরা হলেন উন্নতজাতের ফলচাষের জন্য টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের কৃষি উদ্যোক্তা মো. ছানোয়ার হোসেন, পেঁয়াজ বীজ চাষের জন্য ফরিদপুরের খান বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী শাহীদা বেগম, সাথী ফসল উৎপাদন করে জমির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য খুলনার ডুমুরিয়ার কৃষি উদ্যোক্তা সুরেশ্বর মল্লিক, ফলচাষের জন্য চুয়াডাঙ্গার জীবন নগরের গ্রিন প্ল্যানেট অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো. রুহুল আমীন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অ্যাগ্রো বেইজড সোশিও ইকোনমিক্যাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন, দুগ্ধ উৎপাদনে পাবনার ঈশ্বরদীর তন্ময় ডেইরি খামারের স্বত্বাধিকারী মো. আমিরুল ইসলাম, মাছ চাষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আল বারাকা মৎস্য খামার অ্যান্ড হ্যাচারির স্বত্বাধিকারী মাছুদুল হক চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মৌচাষী কৃষি উদ্যোক্তা মো. রফিকুল ইসলাম, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ফলচাষী সিরাজ, বহুমুখী খামারের স্বত্বাধিকারী মো. সিরাজুল ইসলাম ও শেরপুর সদর উপজেলার ফলচাষী মা-বাবার দোয়া ফ্রুট গার্ডেন নার্সারি অ্যান্ড অ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. হযরত আলী।
রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন শ্রেণিতে দুজন এআইপির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। বৃক্ষরোপণ ও বনসাই নার্সারীর জন্য গাজীপুর সদর উপজেলার লিভিং আর্ট গার্ডেনের পরিচালক কে এম সবুজ ও বারোমাসি আম চাষি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের কৃষি উদ্যোক্তা মোহা. রফিকুল ইসলাম।
বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শ্রেণিতে তিনজনকে এআইপি নির্বাচন করা হয়েছে। জৈবসার ও কেঁচোসার উৎপাদক নীলফামারীর ডোমার উপজেলার অন্নপূর্ণা অ্যাগ্রো সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী রাম নিবাস আগরওয়ালা, বাণিজ্যিক কৃষি খামারি হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জের অমিত ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মায়া রানী বাউল ও সফল বীজ উৎপাদকারী পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা মো. আবদুল খালেক।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এআইপি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর মোট ৫টি বিভাগে এআইপি সম্মাননা প্রদান করা হয়ে থাকে। এআইপি কার্ডের মেয়াদকাল হচ্ছে ১ বৎসর। এআইপিগণ সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পান। এর মধ্যে রয়েছে মন্ত্রণালয় হতে একটি প্রশংসাপত্র, সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ এবং বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ অগ্রাধিকার। এছাড়া নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার সুবিধা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২, ২০২৪ ৭:০৭ অপরাহ্ন
দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজের উৎপাদন বাড়াতে হবে’ পিকেএসএফ আয়োজিত কর্মশালায় বক্তাদের অভিমত
কৃষি বিভাগ

বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বাড়াতে হবে। গত ২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার, ঢাকার পিকেএসএফ ভবনে ‘মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা পূরণে পিকেএসএফ-এর উদ্যোগ’ শীর্ষক একটি কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার dviæK, উপদেষ্টা, বাংলাদেশ সীড এসোসিয়েশন এবং সাবেক সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এতে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ শাহজাহান কবীর, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট (ব্রি) এবং মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পিকেএসএফ। সমন্বিত কৃষি ইউনিট-এর কার্যক্রম শীর্ষক উপস্থাপনা প্রদান করেন তানভীর সুলতানা, উপ-মহাব্যবস্থাপক (সমন্বিত কৃষি), পিকেএসএফ। অনুষ্ঠানে ‘মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা পূরণে পিকেএসএফ-উদ্যোগ’ শীর্ষক উপস্থাপনা প্রদান করেন ড. মোঃ আব্দুল মালেক, মহাব্যবস্থাপক (সমন্বিত কৃষি), পিকেএসএফ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন দেশের কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে মানসম্পন্ন বীজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে দেখা যায়, ২০২২-২৩ বছরে বিভিন্ন ফসলের মোট বীজের চাহিদা ১২,১০,৩৫১ টন হলেও বিএডিসি, ডিএই ও বিএমডিএ- এর উৎপাদিত বীজ এবং বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে উৎপাদিত ও আমদানিকৃত বীজের পরিমাণ ৩,৬১,২৬৪ মে. টন, যা মোট দেশীয় চাহিদার মাত্র ৩০%।

পিকেএসএফ সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় কৃষক পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে ফসলের (ধান, সরিষা, ডাল, পেঁয়াজ) বীজ উৎপাদন করছে। সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে এ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২৪ ৭:৫৩ অপরাহ্ন
বিনা’র বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০২৪-২০২৫ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি থেকে : বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিনা’র পাঁচ দিন ব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২৭ জুন ২০২৪) ৩টি বৈজ্ঞানিক সেশন অনুষ্ঠিত।সেশন ৩টি সভাপতিত্ব করেছেন পৃথকভাবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড.আরিফ হাসান খান রবিন,অধ্যাপক ড. আব্দুল মোমেন মিয়া এবং বিনার পরিচালক ড.শরিফুল হক ভূঞা। বিনার বিভিন্ন গবেষণা নিজ বিভাগের বিজ্ঞানীরা তাদের আগামী পরিকল্পনা বিভিন্ন সেশনে পাউয়ার পয়েন্টের উপস্থাপনার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের সামনে তুলে ধরেন ।

গত মঙ্গলবার ২৫ জুন বিনা’র সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিনা’র মহাপরিচালক ড.আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয় গবেষণা শাখা এর যুগ্ম সচিব রেহানা ইয়াছমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপসচিব ও সম্প্রসাণ-৩ কৃষি মন্ত্রনালয় দেবীচন্দ, ময়মনসিংহ অঞ্চল ডিএই এর অতিরিক্ত পরিচালক আবু মোঃএনায়েত উল্লা,পরিচালক (প্রশিক্ষক ও পরিকল্পনা)বিনা ড.শরিফুল হক ভূইয়া প্রমুখ।সিএসও (গবেষণা সমন্বয়কারী),ডক্টর মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বিনা-এর ২০২৩-২৪ সালের গরেষণার অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ উপস্থাপনা করেন। ক্রপ ফিজিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.মঞ্জুরুল আলম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ডল স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিনার প্রতিটি সাবস্টেশনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পলানের জন্য বিনার গবেষকদের পরামর্শ প্রদান করেন।বিনার বিজ্ঞানীরা কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখায় ভূয়সী প্রশংসা করেন ।
বিনা’র বিজ্ঞানীরা আগামী এক বছরে যেসমস্ত গবেষণা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে সেই সমস্ত গবেষণা কার্য্যক্রমের পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সামনে উপস্থাপন করবেন । আগামী ২দিন বিজ্ঞানীরা বিশেষজ্ঞগনের উপস্থিততে গবেষণা পরিকল্পনা চূলচেরা বিশ্লেষণ করে তাদের মতামত প্রদন করবেন । বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে বিনার আগামী এক বৎসরের কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করা হবে। বিভিন্ন বিভাগের উপস্থাপনার সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র বিজ্ঞানীরা উপস্থিত থাকবেন ও তাদের মতামত পেশ করবেন। ৫দিন ব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনার মূল্যায়নে ১৫০ জন বিজ্ঞানী বিভিন্ন সেশনে উপস্থিত ছিলেন যাদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জন বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী শিক্ষক এক্সপার্ট হিসাবে রয়েছেন। ২৯ জুলাই ৩টি কারিগরি সেশন এবং আগামী ০১ জুলাই ২০২৪ সোমবার ২টি কারিগরি সেশনসহ সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালাটি সমাপ্ত হবে ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৪ ৮:২৭ অপরাহ্ন
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ছয়টি জেলার কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের নিয়ে রোপা আমন ধান আবাদ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনু বাকৃবি থেকেঃ মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে “আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোপা আমন ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয়” শীর্ষক এক কর্মশালায়  ১৬ জন কৃষক কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ‘কৃষক পুরস্কার’  দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৬জন উপসহকারি কৃষি অফিসার ও ১৬ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকেও কৃষিতে অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত করা হয়। 
২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষিতে অবদানের জন্য ৬ জনকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।

ময়মনসিংহের ডিএই’র অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আবু মো এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো মাহবুবুল হক পাটওয়ারী।


বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই’র সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা শাখার পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো আব্দুল লতিফ। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্যাপ প্রোটোকল অনুসরণে উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
কৃষিকে আধুনিকায়ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কর্মকর্তারা। আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোপা আমন ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক এই কর্মশালায়  দ্বিতীয় পর্বে ১৬ জন কৃষককে কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ‘কৃষক পুরস্কার’  দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৬জন উপসহকারি কৃষি অফিসার ও ১৬ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকেও কৃষিতে অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত করা হয়। 
এছাড়াও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষিতে অবদানের জন্য ৬ জনকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২০, ২০২৪ ১০:০১ অপরাহ্ন
ঝিনাইদহে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা পর্যায়ে কৃষি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের দেশের একমাত্র সংগঠন ঝিনাইদহ এগ্রিকালচারাল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো ঈদ পুনর্মিলনী ঝিনাইদহ জেলা শহরে আয়োজিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার , ২০ জুন শহরের এইড কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কৃষিবিদরা। এবছর নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর গুরুত্বারোপ করে অনুষ্ঠানে নবীনবরণের আয়োজন করা হয়।


উৎসবমুখর পরিবেশের শুরু হয় শিক্ষার্থী রহমাতুল্লাহ সজীবের পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও শিক্ষার্থী প্রকাশ সরকারের গীতা পাঠের মাধ্যমে। অতিথিদের আসন গ্রহণের পর তাদের ক্রেস্ট দিয়ে শিক্ষার্থীরা বরন করে নেন। এরপর একে একে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই মিলনমেলায় আসার অনুভূতি প্রকাশ করতে থাকেন। বিশেষ করে নবীন শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবনের শুরুতে এমন চমকপ্রদ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে অনুপ্রাণিত হবার অনুভূতি উপস্থিতিদের মাঝে প্রকাশ করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রথমে বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা নূর-ই-কুতুবুল আলম। তিনি সংগঠনের শুরুতে নানান প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়ার ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা দেন। নবীন শিক্ষার্থীরা এসোসিয়েশনকে আরো এগিয়ে নিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাবেক আহবায়ক শ.ম. মেহেদী আলম তম। এরপর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (মেহেরপুর সদর, মেহেরপুর) মোঃ মনিরুজ্জামান উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন। এরপর সংক্ষেপে বক্তব্য প্রদান করেন গোল্ডেন এগ্রোভেট লি:-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ জাহিদ হাসান। সবশেষে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঝিনাইদহ) মোঃ মোশাররফ হোসেন। শিক্ষার্থীরা যেন নিজেকে ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জায়গা না করার হতাশায় যেন না পুড়ে এ ব্যাপারে অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্য দেন। দেশের কৃষি খাত থেকে অন্যান্য খাতে কৃষিবিদদের অবারিত সুযোগের কথা উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেন।


এছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. জিলহাস আহম্মেদ জুয়েল (সহযোগী অধ্যাপক, কৃষি বিভাগ, বশেমুরবিপ্রবি)। গবেষণা খাতে দেশে ও বিদেশে নানান সুযোগের ব্যাপারে বিস্তর ধারণা তিনি শিক্ষার্থীদের দেবার চেষ্টা করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মোঃ ইমরানুজ্জামান হৃদয় (সভাপতি, ঝিনাইদহ এগ্রিকালচারাল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন) এবং সঞ্চালনা করেন মোঃ সাইদুর রহমান (সাধারণ সম্পাদক, ঝিনাইদহ এগ্রিকালচারাল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন)।

মধ্যাহ্নভোজ শেষে ফটোসেশনের আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য দেয়ালিকা ও বছর জুড়ে কার্যক্রমের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। দেয়ালিকায় শিক্ষার্থীরা এসোসিয়েশন নিয়ে তাদের মনের কথা দেয়ালিকায় লিপিবদ্ধ করেন। সবশেষে উৎসবমুখর পরিবেশে র‍্যাফেল ড্র হবার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৩, ২০২৪ ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
কৃষকদের ওয়ান স্টপ সেবা দেবে ‘খামারী’ অ্যাপস : কৃষি সচিব
কৃষি বিভাগ

ঢাকা, ১২ জুন, ২০২৪ (বাসস): কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, কৃষকদের ওয়ান স্টপ সেবা দেবে ‘খামারী’ অ্যাপস। দেশের কৃষকরা তাদের প্রায় সব ধরনের অসুবিধার উত্তর পাবে খামারী অ্যাপসে। তিনি বলেন, দেশের জমিগুলো অতি ক্ষুদ্র, এজন্য অনেক ক্ষেত্রে বড় প্রযুক্তি জনপ্রিয় হয় না। যান্ত্রিকীকরন এগিয়ে নিতে সমবায়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আজ বুধবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) মিলনায়তনে ‘স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এসব কথা বলেন।

কৃষি সচিব বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৭ টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। সাংবাদিকরা এসব প্রতিষ্ঠানে তথ্য সংগ্রহ করে। কৃষি সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করতে ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস’কে (এআইএস) সাংবাদিক-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষি তথ্য সরবরাহ করাই এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই প্রকল্পের কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান পূরবী মতিন। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের কৃষি উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’ এর উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক, চ্যানেল আই এর বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান। কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৮, ২০২৪ ৬:১২ অপরাহ্ন
আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক অবহিককরণ কর্মশালা ও কৃষক পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ২০২৪ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ আজ মঙ্গলবার (২৮ মে ২০২৪ ) সকাল ১০টায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত ) এর আওতায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক অবহিককরণ কর্মশালা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত) ডিএই কর্মশালাটি আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ,খামারবাড়ি ঢাকা এর মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক , বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প ,কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান , নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক মো:নুরুজ্জামান , এবং নাসরীন আক্তার বানু ,উপ-পরিচালক ময়মনসিংহ জেলা । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ,খামারবাড়ি ময়মসিংহের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সালমা আক্তার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প এর প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ।কর্মশালার কারিগরি সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর এমএমআর জাহাঙ্গীর।

পরে কৃষিতে কৃতিত্বপূর্ণ সফলতা অর্জন করায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ এর প্রকল্পভুক্ত ৬ জেলার ৪৮০জন কৃষককে পুরষ্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ৬ জেলার ৪৮জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং ৪৮জন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে পুরষ্কৃত করা হয়। এছাড়া প্রকল্পের ৬ জেলার আওতাভুক্ত মোট ১২৪৮জন কৃষককে বিশেষ পুরষ্কার দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে নারস ভূক্ত বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রতিনিধি, প্রকল্পভুক্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৬ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দসহ পুরষ্কারপ্রাপ্ত কৃষক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop