তরকারি হিসেবে বাড়ছে শাপলার কদর, যা বলছে পুষ্টিবিজ্ঞানীরা
কৃষি বিভাগ
জলের শাপলা এখন শহুরে বাসিন্দাদের জনপ্রিয় তরকারি। ব্যাপক পুষ্টিগুণ আর স্বাদের কারণে রাজধানীতে দিন দিন বাড়ছে সবজি হিসেবে শাপলার কদর। বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো বলে জানালেন বিক্রেতারা।
মুন্সিগঞ্জের আড়িয়াল বিলের শাপলা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় রাজধানীতে। এতেই রুটি-রুজির জোগান আসে এখানকার কৃষকদের।
তারা বলেন, ৬ মাস আমদের কোনো কাজ থাকে না। বর্ষার এই ৬ মাস আমরা শুধু শাপলা তুলে তা বিক্রি করেই সংসার চালাই। ৫০ থেকে ৬০ জন কৃষক শাপলা তুলে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করে।
ঢাকার বাজারে এই ফুল নাম লেখায় সবজির খাতায়। পুষ্টি আর স্বাদের কারণে তরকারি হিসেবে শাপলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে বলে দাবি বিক্রেতাদের।
বিক্রেতেরা বলেন, শাপলা প্রতিদিনই চলছে। যেহেতু এখন ইলিশ মাছের সিজন চলে আর শাপলা দিয়ে ইলিশ মোটামুটি জনপ্রিয় তাই এই সময়ে শাপলা ভালোই চলছে। ভোজন রসিকদের কাছে জাতীয় ফুল এখন সৌখিন আর নিরাপদ খাবার।
ক্রেতার বলেন, যেহেতু শাপলা ফ্রেস ফরমালিনমুক্ত তাই প্রায় শাপলা কেনা হয়। তাদের মতে শাপলা কেনার আরেকটি কারণ হলো শাপলা সারাবছর পাওয়া যায় না তাই এই সময়টাতে শাপলার যোগানের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বাড়তে থাকে।
শাপলায় আলুর চেয়ে সাত গুণ বেশি ক্যালসিয়াম আছে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও উপকারী ভূমিকা রাখে বলে জানালেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা।
পুষ্টিবিজ্ঞানী ড. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রতি ১০০ গ্রাম শাওলায় প্রায় ৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। কাজেই যাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আছে তারা শাপলা খেয়ে ঘাটতি মেটাতে পারেন। এ ছাড়া শাপলাতে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে যা শারীরিক সক্ষমতা বা শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শাপলা বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত করা গেলে দেশের অর্থনীতির নতুন খাত তৈরি হবে বলে, মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।