পোল্ট্রি খামার করে লাভের মুখ দেখার উপায়
পোলট্রি
অতীত কাল থেকে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ হাঁস – মুরগি পালন করে তাদের সংসারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনেছেন । গ্রাম অঞ্চলের মানুষ কোনো রকম খরচ ছাড়া নিজের বাড়িতে ছোট্ট একটা ঘর করে মুরগি পালন করেন । মুরগি পালন করে যেমন ডিম মাংসের চিহিদা পূরণ করা যায় তেমন অর্থনৈতিক ভাবে কিছু উন্নতি লাভ করা যায় । তাই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এখন মুরগি পালনে উদ্যোগী হচ্ছে ।
বর্তমানে ডিম ও মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় পোল্ট্রি পালন এখন লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। অনেক বেকার যুবক এই পেশাকে এখন নিজের প্রধান জীবিকা হিসাবে নিয়েছে। এই পোল্ট্রি পালন করতে হলে কিভাবে করতে হবে আর জন্য কী কী পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে , কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে , এবং এই পেশায় কেমন লাভ করা যায় ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে পোল্ট্রি পালন :
পোল্ট্রি পালন মূলত ডিপ – লিটার পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। আলো বাতাসযুক্ত সাধারণ ঘরে বা কাঠের প্ল্যাটফর্মের ওপর খাঁচার মতো করে ঘর তৈরি করে নিতে হয় তারপর মেঝেতে চুম ও ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কার করে কাঠের গুঁড়ো , ধানের তুষ ইত্যাদি ছড়িয়ে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পুরু করে লিটার তৈরি করা হয়।
জল ও খাদ্য পাত্র: পোল্টি ফার্মের জন্য জল ও খাদ্য পাত্রের বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়।
পাত্রগুলো যাতে উল্টে না যায় তার জন্য বিশেষ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এর জন্য স্বয়ংক্রিয় খাবারের পাত্র এবং জলের পাত্র রাখতে হয়।
কিভাবে ডিপ – লিটারের পরিচর্যা নিতে হয় :
ডিপ – লিটারের বিশেষ ভাবে পরিচর্যা করতে হয় কারণ মুরগির বেড়ে উঠার অধিকাংশই নির্ভর করে এই লিটারের উপর।
১ লিটার সবসময় শুস্ক রাখা আবশ্যক।
২ লিটারের গভীরতা ঠিক রাখতে হয়
৩ বছরে অন্তত একবার লিটার পরিষ্কার করতে করতে হয়
৪ পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘরের দেওয়ালে উউঞ দিয়ে স্প্রে করতে হয়।
মুরগির খাদ্য দ্রব্য:
মুরগির সঠিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য প্রোটিন যুক্ত খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। মুরগির খাদ্য মূলত গম , ভুট্টা ,চালের গুঁড়ো ,শুকটি মাছ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হয়। আবার উপযুক্ত পরিমানে ভিটামিন অ ,ই ২,উ ৩ খাদ্যে মিশিয়ে দিতে হয়।
পোল্ট্রি পালন কতটা লাভজনক :
পোল্ট্রি পালন অনেকটাই লাভজনক। পুষ্টির গুণমানের জন্য এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ৩১ থেকে ৩৫ দিনের মুরগির গড় ওজন দেড় থেকে পৌনে দুই কেজি হয়ে থাকে। একটি ১০০০ পোল্ট্রি মুরগির ফার্ম তৈরি করতে খরচ হয় মোট ৮০ হাজার টাকা।
৪০ দিনের মাথায় মুরগি বাজারজাত করলে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে ইনকাম থাকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।পোল্ট্রি মুরগির রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষভাবে যত্নবান হতে হয় সঠিক সময় মত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হয় ।